জিয়াউল হক মুক্তা
খুলনার লোকশিল্পী গুরুপদ গুপ্ত গেয়েছেন, ‘ও মানুষ, তোমার দুডো কান আর দুডো চোক, দ্যাকবা আর শ্যুইনবা/ কিন্তু একটা মুক তো, ইট্টু কতা কম কবা!’ গুরুপদ আমাদের বাঙালির চরিত্রের একটি বিশেষ দিক নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে এই সত্য সরল গানটি গেয়েছেন।
যেকোনো বিষয়ে কথা বলতে আমরা আসলে কম যাই না, তা ওই বিষয়ে আমরা কিছু জানি আর না জানি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে আমাদের এই অভ্যাস আরও লাগামহীন হয়ে গেছে। সত্যি বলতে কি, আমাদের প্রত্যেকের বক্তব্য আমাদের জীবনাচারের অভিজ্ঞতাজাত সাংস্কৃতিক মান প্রতিফলিত করে।
সিরাজুল আলম খান (৬ জানুয়ারি ১৯৪১-৯ জুন ২০২৩) প্রয়াত হয়েছেন। ৬০ বছর ধরে তাঁকে নিয়ে যত কথা হয়েছে, তার প্রায় অধিকাংশই অজ্ঞতাপ্রসূত, প্রতিহিংসাজাত এবং তথ্য ও বিশ্লেষণ ব্যবহারের বদলে আবেগজাত।
সিরাজুল আলম খানকে অনুধাবন করতে হবে তাঁর জীবনের তিনটি অধ্যায় দিয়ে। প্রথম অধ্যায়টি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পর্ব, দ্বিতীয়টি জাসদ-পর্ব, আর তৃতীয়টি স্বাধীন ব্যক্তি-পর্ব।
পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের কবল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার স্বপ্ন অনেক বাঙালিই দেখেছেন। কেবল সিরাজুল আলম খানই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ১৯৬২ সাল থেকে গভীর ও গোপন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পেরেছেন ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ বা নিউক্লিয়াসের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কাঠামো ব্যবহার করে এবং তিনি সফল হয়েছেন। যুবক সিরাজুল আলম খান তাঁর সহযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদের পরামর্শে তাঁদের সময়ের সব জাতীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁদের
নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য, কেউ রাজি হননি এই পথে এগোতে; তবে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে মিলে গিয়েছিল তাঁদের চিন্তাধারা। শেখ মুজিবকে নেতা মেনেই তাঁরা এগিয়ে নিয়েছেন তাঁদের সুকৌশলী কার্যক্রম। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব ছয় দফা ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে আগুনে পতঙ্গের ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদ এবং পরে মনিরুল ইসলাম ওরফে মার্শাল মনি এই ছয় দফাকে তাঁদের জীবনের ধ্যান-জ্ঞানসর্বস্ব করে বাঙালির জাতীয়তাবাদী সংগ্রামকে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপান্তর ঘটান এবং সংগঠিত প্রস্তুতি গ্রহণ করেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। যুদ্ধকালেও তাঁরা বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট বা মুজিব বাহিনীর নেতৃত্ব দেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর শুরু হয় তাঁর জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়। স্বাধীন দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি এবং পরিচালনা পদ্ধতি নিয়ে নিজের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর ও তাঁর সহযোদ্ধাদের আর সর্বোপরি তাঁদের হাজার হাজার যুদ্ধফেরত অনুসারীর বিরোধ দেখা দেয়। তাঁরা তাঁদের নেতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন এবং আওয়ামী ঘরানার রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হন।
অভ্যন্তরীণভাবে বঙ্গবন্ধুর চারপাশে তখন খন্দকার মোশতাক ও শেখ মনির সুকঠিন বলয়, যে বলয় গড়ে উঠেছিল ১৯৭১ সালের আগস্ট মাস থেকেই তাজউদ্দীন আহমদকে অপসারণ ও বিতাড়নে তাঁদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে, আর বাইরে রাজনীতির মাঠের সেই পুরোনো নেতৃত্ব ও সংগঠন যাঁরা ও যেগুলো ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতার সংগ্রামকে প্রাদেশিকতাবাদ ও হঠকারী মনে করতেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং আওয়ামী ঘরানার অভ্যন্তরীণ কোন্দল সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করল; বাকশাল নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু খুন হলেন। এই নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে এবং মোশতাক ও জিয়ার নেতৃত্বে পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িকতার পুনরুত্থান শুরু হলে জাসদ ও আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের পথে দেশকে ফেরাতে রাজনৈতিক উদ্যোগ নেয়।
সিরাজুল আলম খানের জীবনের তৃতীয় অধ্যায় শুরু হয় তাঁর কারামুক্তির পর। জিয়াউর রহমান তাঁকে ও অপরাপর জাসদ নেতৃত্বকে কারাগারে অন্তরীণ করেছিলেন নিজের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে। কারা জীবনের অবসানের পর নিজের সহযোদ্ধা ও অনুসারীদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ ঘটে ‘আন্দোলন ও সংগঠন প্রসঙ্গে’ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে। তিনি মনে করতেন নিচের বা মাঠের আন্দোলন পরিচালনার পাশাপাশি উপরকাঠামোয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেও পরিবর্তন সম্ভব। তাঁর সহযোদ্ধা ও অনুসারীরা বললেন, সেই সময়ের বিশ্বব্যবস্থায় বাংলাদেশের মতো অনগ্রসর পুঁজিবাদী সমাজে সেনাবাহিনীর মতো অতিশক্তিমান প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতার অংশীদার করলে তারা দানব হয়ে উঠবে। এই মতবিরোধের জেরে সিরাজুল আলম খান জাসদ রাজনীতি ত্যাগ করেন। তাঁর অবস্থান সামরিক শাসনকে মনোবল জোগায়।
গণ-আন্দোলনে সামরিক শাসনের পতন ঘটলে তিনি অংশীদারত্বের গণতন্ত্র, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, একুশ শতকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও প্রাদেশিক ব্যবস্থার প্রবর্তন ও আরও কিছু বিষয়ে তাঁর অনুধাবন প্রকাশ করেন।
নিজের পুরো জীবনে কখনোই তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজন দ্বারা তাড়িত হননি; সম্পদ-সংসার করেননি বা বিক্রি হননি। রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলেও, ইতিহাসে বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবেন সিরাজুল আলম খান। উপেক্ষা বা মিথ্যাচারের আবরণ দিয়ে তাঁকে লুকানোর সাধ্য কারও কখনোই হবে না।
লেখক: জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
খুলনার লোকশিল্পী গুরুপদ গুপ্ত গেয়েছেন, ‘ও মানুষ, তোমার দুডো কান আর দুডো চোক, দ্যাকবা আর শ্যুইনবা/ কিন্তু একটা মুক তো, ইট্টু কতা কম কবা!’ গুরুপদ আমাদের বাঙালির চরিত্রের একটি বিশেষ দিক নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে এই সত্য সরল গানটি গেয়েছেন।
যেকোনো বিষয়ে কথা বলতে আমরা আসলে কম যাই না, তা ওই বিষয়ে আমরা কিছু জানি আর না জানি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে আমাদের এই অভ্যাস আরও লাগামহীন হয়ে গেছে। সত্যি বলতে কি, আমাদের প্রত্যেকের বক্তব্য আমাদের জীবনাচারের অভিজ্ঞতাজাত সাংস্কৃতিক মান প্রতিফলিত করে।
সিরাজুল আলম খান (৬ জানুয়ারি ১৯৪১-৯ জুন ২০২৩) প্রয়াত হয়েছেন। ৬০ বছর ধরে তাঁকে নিয়ে যত কথা হয়েছে, তার প্রায় অধিকাংশই অজ্ঞতাপ্রসূত, প্রতিহিংসাজাত এবং তথ্য ও বিশ্লেষণ ব্যবহারের বদলে আবেগজাত।
সিরাজুল আলম খানকে অনুধাবন করতে হবে তাঁর জীবনের তিনটি অধ্যায় দিয়ে। প্রথম অধ্যায়টি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পর্ব, দ্বিতীয়টি জাসদ-পর্ব, আর তৃতীয়টি স্বাধীন ব্যক্তি-পর্ব।
পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের কবল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার স্বপ্ন অনেক বাঙালিই দেখেছেন। কেবল সিরাজুল আলম খানই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ১৯৬২ সাল থেকে গভীর ও গোপন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পেরেছেন ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ বা নিউক্লিয়াসের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কাঠামো ব্যবহার করে এবং তিনি সফল হয়েছেন। যুবক সিরাজুল আলম খান তাঁর সহযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদের পরামর্শে তাঁদের সময়ের সব জাতীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁদের
নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য, কেউ রাজি হননি এই পথে এগোতে; তবে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে মিলে গিয়েছিল তাঁদের চিন্তাধারা। শেখ মুজিবকে নেতা মেনেই তাঁরা এগিয়ে নিয়েছেন তাঁদের সুকৌশলী কার্যক্রম। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব ছয় দফা ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে আগুনে পতঙ্গের ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদ এবং পরে মনিরুল ইসলাম ওরফে মার্শাল মনি এই ছয় দফাকে তাঁদের জীবনের ধ্যান-জ্ঞানসর্বস্ব করে বাঙালির জাতীয়তাবাদী সংগ্রামকে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপান্তর ঘটান এবং সংগঠিত প্রস্তুতি গ্রহণ করেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। যুদ্ধকালেও তাঁরা বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট বা মুজিব বাহিনীর নেতৃত্ব দেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর শুরু হয় তাঁর জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়। স্বাধীন দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি এবং পরিচালনা পদ্ধতি নিয়ে নিজের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর ও তাঁর সহযোদ্ধাদের আর সর্বোপরি তাঁদের হাজার হাজার যুদ্ধফেরত অনুসারীর বিরোধ দেখা দেয়। তাঁরা তাঁদের নেতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন এবং আওয়ামী ঘরানার রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হন।
অভ্যন্তরীণভাবে বঙ্গবন্ধুর চারপাশে তখন খন্দকার মোশতাক ও শেখ মনির সুকঠিন বলয়, যে বলয় গড়ে উঠেছিল ১৯৭১ সালের আগস্ট মাস থেকেই তাজউদ্দীন আহমদকে অপসারণ ও বিতাড়নে তাঁদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে, আর বাইরে রাজনীতির মাঠের সেই পুরোনো নেতৃত্ব ও সংগঠন যাঁরা ও যেগুলো ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতার সংগ্রামকে প্রাদেশিকতাবাদ ও হঠকারী মনে করতেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং আওয়ামী ঘরানার অভ্যন্তরীণ কোন্দল সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করল; বাকশাল নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু খুন হলেন। এই নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে এবং মোশতাক ও জিয়ার নেতৃত্বে পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িকতার পুনরুত্থান শুরু হলে জাসদ ও আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের পথে দেশকে ফেরাতে রাজনৈতিক উদ্যোগ নেয়।
সিরাজুল আলম খানের জীবনের তৃতীয় অধ্যায় শুরু হয় তাঁর কারামুক্তির পর। জিয়াউর রহমান তাঁকে ও অপরাপর জাসদ নেতৃত্বকে কারাগারে অন্তরীণ করেছিলেন নিজের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে। কারা জীবনের অবসানের পর নিজের সহযোদ্ধা ও অনুসারীদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ ঘটে ‘আন্দোলন ও সংগঠন প্রসঙ্গে’ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে। তিনি মনে করতেন নিচের বা মাঠের আন্দোলন পরিচালনার পাশাপাশি উপরকাঠামোয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেও পরিবর্তন সম্ভব। তাঁর সহযোদ্ধা ও অনুসারীরা বললেন, সেই সময়ের বিশ্বব্যবস্থায় বাংলাদেশের মতো অনগ্রসর পুঁজিবাদী সমাজে সেনাবাহিনীর মতো অতিশক্তিমান প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতার অংশীদার করলে তারা দানব হয়ে উঠবে। এই মতবিরোধের জেরে সিরাজুল আলম খান জাসদ রাজনীতি ত্যাগ করেন। তাঁর অবস্থান সামরিক শাসনকে মনোবল জোগায়।
গণ-আন্দোলনে সামরিক শাসনের পতন ঘটলে তিনি অংশীদারত্বের গণতন্ত্র, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, একুশ শতকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও প্রাদেশিক ব্যবস্থার প্রবর্তন ও আরও কিছু বিষয়ে তাঁর অনুধাবন প্রকাশ করেন।
নিজের পুরো জীবনে কখনোই তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজন দ্বারা তাড়িত হননি; সম্পদ-সংসার করেননি বা বিক্রি হননি। রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলেও, ইতিহাসে বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবেন সিরাজুল আলম খান। উপেক্ষা বা মিথ্যাচারের আবরণ দিয়ে তাঁকে লুকানোর সাধ্য কারও কখনোই হবে না।
লেখক: জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে