বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবানে করোনা সুরক্ষা টিকার বুস্টার ডোজ কাল রোববার শুরু হবে। এদিন সকাল ৯টায় বান্দরবান সদর হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। এ জন্য আপাতত টিকার কোনো সংকট নেই। এদিকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে করোনার টিকাদানে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ শতাংশ। তবে বান্দরবানে এই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে ৪৪ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মারমা।
অংসুই প্রু মারমা জানান, দেশে গত ২৮ ডিসেম্বর বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে নিবন্ধন জটিলতার কারণে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কিছুটা দেরি হয়। প্রথম পর্যায়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক, শিক্ষক, নার্স, সাংবাদিকসহ আরও কিছু শ্রেণির মানুষ রয়েছে। আগের টিকাই বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে। তাই ভীত বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সিভিল সার্জন বলেন, যেহেতু দ্বিতীয় ডোজসহ অনেকের স্বাভাবিক টিকা দেওয়া বাকি রয়েছে, তাই পাঁচজন সাধারণ ডোজ ও একজনকে বুস্টার ডোজ আনুপাতিক হারে দেওয়া হবে, যাতে সবাই টিকার আওতায় আসতে পারেন। যাঁরা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তাঁদের মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) দেওয়া হবে। সেটা নিয়ে টিকাকেন্দ্রে গেলেই বুস্টার ডোজের টিকা দেওয়া হবে।
অংসুই প্রু মারমা জানান, সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ৪০ শতাংশ মানুষকে করোনা সুরক্ষা টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার মধ্যে ৪ জেলা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এগুলো হলো বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চাঁদপুর জেলা।
বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে ইতিমধ্যে করোনা সুরক্ষা টিকার প্রথম ডোজ ২ লাখ ৯ হাজার ৪৬৫ জন গ্রহণ করেছেন। প্রথম ডোজের সিনোফার্ম টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ২০৭, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ২০ হাজার ৫৯৩ ও ফাইজারের টিকা ১২ হাজার ৬৬৫ জন। ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৬৩ জন।
বান্দরবানে মোট জনসংখ্যা ৪ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে সিনোফার্মের ১ লাখ ৪৪ হাজার ২০, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৭ হাজার ৭২৯ এবং ফাইজারের টিকা ৭১৪ জন নিয়েছেন।
এদিকে বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে বর্তমানে সিনোফার্মের টিকা মজুত রয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৫৪৫ ডোজ ও ফাইজার ১৪ হাজার ৬৮৫ ডোজ। সিভিল সার্জন বলেন, বান্দরবানে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুত রয়েছে। তারপরও অধিক সতর্কতার জন্য আরও টিকার চাহিদা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে বান্দরবান জেলায় করোনায় মোট শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৫৯ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন নারী রয়েছে। অপরদিকে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৩৩ জন। গত ২ অক্টোবরের পর বান্দরবানে কোনো করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
সিভিল সার্জন বলেন, বান্দরবান সদর হাসপাতালের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ইতিমধ্যে একটি আরটি পিসিআর ল্যাব (মেশিন) এবং দুই বেডের আইসিইউ ইউনিটের অনুমোদন পাওয়া গেছে। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হলেই আরটিপিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ ইউনিটের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, এখনো করোনা রয়ে গেছে। শীত মৌসুমে করোনা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও বড় সমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই সবার মাস্ক পরা প্রয়োজন।
বান্দরবানে করোনা সুরক্ষা টিকার বুস্টার ডোজ কাল রোববার শুরু হবে। এদিন সকাল ৯টায় বান্দরবান সদর হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। এ জন্য আপাতত টিকার কোনো সংকট নেই। এদিকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে করোনার টিকাদানে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ শতাংশ। তবে বান্দরবানে এই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে ৪৪ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মারমা।
অংসুই প্রু মারমা জানান, দেশে গত ২৮ ডিসেম্বর বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে নিবন্ধন জটিলতার কারণে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কিছুটা দেরি হয়। প্রথম পর্যায়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক, শিক্ষক, নার্স, সাংবাদিকসহ আরও কিছু শ্রেণির মানুষ রয়েছে। আগের টিকাই বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে। তাই ভীত বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সিভিল সার্জন বলেন, যেহেতু দ্বিতীয় ডোজসহ অনেকের স্বাভাবিক টিকা দেওয়া বাকি রয়েছে, তাই পাঁচজন সাধারণ ডোজ ও একজনকে বুস্টার ডোজ আনুপাতিক হারে দেওয়া হবে, যাতে সবাই টিকার আওতায় আসতে পারেন। যাঁরা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তাঁদের মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) দেওয়া হবে। সেটা নিয়ে টিকাকেন্দ্রে গেলেই বুস্টার ডোজের টিকা দেওয়া হবে।
অংসুই প্রু মারমা জানান, সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ৪০ শতাংশ মানুষকে করোনা সুরক্ষা টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার মধ্যে ৪ জেলা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এগুলো হলো বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চাঁদপুর জেলা।
বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে ইতিমধ্যে করোনা সুরক্ষা টিকার প্রথম ডোজ ২ লাখ ৯ হাজার ৪৬৫ জন গ্রহণ করেছেন। প্রথম ডোজের সিনোফার্ম টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ২০৭, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ২০ হাজার ৫৯৩ ও ফাইজারের টিকা ১২ হাজার ৬৬৫ জন। ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৬৩ জন।
বান্দরবানে মোট জনসংখ্যা ৪ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে সিনোফার্মের ১ লাখ ৪৪ হাজার ২০, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৭ হাজার ৭২৯ এবং ফাইজারের টিকা ৭১৪ জন নিয়েছেন।
এদিকে বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে বর্তমানে সিনোফার্মের টিকা মজুত রয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৫৪৫ ডোজ ও ফাইজার ১৪ হাজার ৬৮৫ ডোজ। সিভিল সার্জন বলেন, বান্দরবানে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুত রয়েছে। তারপরও অধিক সতর্কতার জন্য আরও টিকার চাহিদা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে বান্দরবান জেলায় করোনায় মোট শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৫৯ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন নারী রয়েছে। অপরদিকে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৩৩ জন। গত ২ অক্টোবরের পর বান্দরবানে কোনো করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
সিভিল সার্জন বলেন, বান্দরবান সদর হাসপাতালের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ইতিমধ্যে একটি আরটি পিসিআর ল্যাব (মেশিন) এবং দুই বেডের আইসিইউ ইউনিটের অনুমোদন পাওয়া গেছে। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হলেই আরটিপিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ ইউনিটের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, এখনো করোনা রয়ে গেছে। শীত মৌসুমে করোনা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও বড় সমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই সবার মাস্ক পরা প্রয়োজন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে