আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আবুধাবিপ্রবাসী মোহাম্মদ হোসাইনের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। বিয়ে করার জন্য চলতি বছরের শুরুতে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন তিনি। বিয়ে উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের জন্য কসমেটিক সামগ্রীসহ ৫০ কেজি পণ্য আনেন এই প্রবাসী। কিন্তু কাস্টমসের নানা জটিলতায় সেই মালামাল চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি তিনি।
মোহাম্মদ হোসাইনের বড় ভাই মোহাম্মদ তারেক হোসাইন বলেন, ‘গত পাঁচ মাসেও আমার ভাইয়ের পাঠানো পণ্য পাইনি। এর মধ্যে সে (হোসাইন) বিয়ে করে ফের আবুধাবিতে চলেও গেছে। কিন্তু তার আনা মালামাল এখনো আটকে আছে বিমানবন্দরে।’
শুধু হোসাইন নন, প্রবাস থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী কিনে এনে বিমানবন্দর থেকে ছাড় করাতে পারেননি অনেক প্রবাসী। জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কার্গো ওয়্যারহাউসে পড়ে আছে প্রবাসীদের পাঠানো ২৫ থেকে ২৬ টন মালামাল। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ খালাস না দেওয়ায় সেগুলো নিতে পারছে না প্রবাসীদের পরিবার। চার-পাঁচ মাস ধরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়েও কাজ হচ্ছে না।
প্রবাসীদের আনা পণ্যসামগ্রী কার্গো ওয়্যারহাউসে আটকে রাখা হয়েছে কেন, তা জানতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ১০০ কেজির বেশি পণ্য আনলে ব্যাগেজ রুলের আওতায় পণ্য খালাসে ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) দাখিল করতে হবে। যাঁরা সিপি দাখিল করতে পারেননি, তাঁদের মালামাল আটকে রাখা হয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এয়ারপোর্ট অ্যান্ড এয়ারফ্রেইট ইউনিট থেকে ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনা পণ্য খালাসের জন্য সিপি চেয়ে গত ১৪ মে ৫৬ জন প্রবাসীর কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তাঁদের ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। বিষয়টি নিয়ে এখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতামত চাওয়া হবে। দীর্ঘদিনেও পণ্যগুলো খালাস না হওয়ায় কাস্টমসের নিয়ম অনুযায়ী তা নিলামে চলে যাবে।
বিমানবন্দরে প্রবাসীদের পণ্য খালাস আটকে দেওয়াকে ‘হয়রানি’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিযোগ করেছেন প্রবাসীরা। তাঁরা বলছেন, প্রবাসীরা রেমিট্যান্সযোদ্ধা। কষ্টার্জিত টাকায় তাঁরা পরিবারের সদস্যদের জন্য যে মালামাল পাঠিয়েছেন, তা এভাবে আটকে রেখে নষ্ট করে ফেলাটা অযৌক্তিক।
প্রায় ২০ বছর ধরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে প্রবাসীরা ইউ ব্যাগেজে (আনকম্পানিড ব্যাগেজ) পণ্য নিয়ে আসছেন। কোনো সময়েই সিপি জমা দিতে হয়নি। বাণিজ্যিক পণ্য খালাসে সিপি জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও কাস্টমস অহেতুক এখন ব্যাগেজ পণ্যে সিপি দাখিল করতে বলছে। এটি সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূত।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নিয়মিত প্রবাসীর পণ্য খালাসের সঙ্গে যুক্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি মো. আবু বকর বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো পণ্য খালাসে আমদানি-রপ্তানি অধিদপ্তরের ছাড়পত্র (সিপি) বাড়তি ঝামেলা। অনেক প্রবাসী দেশে এসে আবার প্রবাসে চলে গেছেন। পণ্য ছাড় করতে পারেননি।
কী আছে প্রবাসীদের পাঠানো ব্যাগেজে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করা প্রবাসীরা ব্যাগেজ রুলের আওতায় গুঁড়া দুধ, প্রসাধনী সামগ্রী, কাপড়, গৃহস্থালিসহ বিভিন্ন ব্যবহার্য পণ্য আকাশপথে নিয়ে আসেন। রমজান মাসকে ঘিরে পণ্য পাঠানোর চাপ থাকে। এ বছরের রমজান এবং ঈদুল ফিতর ঘিরে প্রবাসীরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য পণ্য পাঠিয়েছিলেন।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মার্চে কয়েকটি চালানে আমদানিনিষিদ্ধ কসমেটিকসসহ ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য নিয়ে আসার প্রমাণ পায় কাস্টমস। এরপর কাস্টমস ১০০ কেজি ওজনের বেশি আসা পণ্য চালানের খালাস বন্ধ করে দেয়।
প্রবাসীদের পণ্য খালাসে বাধা কোথায়, জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ব্যারিস্টার বদরুদ্দিন মুন্সী বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো পণ্য খালাস বন্ধ নয়; একশ্রেণির অসাধু চক্র প্রবাসীদের এক পাসপোর্ট ব্যবহার করে একাধিক চালান আনে তাদের জন্য। যাঁদের এক শ কেজির বেশি, তাঁদের পণ্যসমূহ ছাড় করতে আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক কার্যালয় হতে সিপি জমা দিয়ে পাসপোর্ট দেখিয়ে পণ্য ছাড় করতে হবে। বৈধ প্রবাসীদের কোনো সমস্যা হবে না।
আবুধাবিপ্রবাসী মোহাম্মদ হোসাইনের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। বিয়ে করার জন্য চলতি বছরের শুরুতে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন তিনি। বিয়ে উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের জন্য কসমেটিক সামগ্রীসহ ৫০ কেজি পণ্য আনেন এই প্রবাসী। কিন্তু কাস্টমসের নানা জটিলতায় সেই মালামাল চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি তিনি।
মোহাম্মদ হোসাইনের বড় ভাই মোহাম্মদ তারেক হোসাইন বলেন, ‘গত পাঁচ মাসেও আমার ভাইয়ের পাঠানো পণ্য পাইনি। এর মধ্যে সে (হোসাইন) বিয়ে করে ফের আবুধাবিতে চলেও গেছে। কিন্তু তার আনা মালামাল এখনো আটকে আছে বিমানবন্দরে।’
শুধু হোসাইন নন, প্রবাস থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী কিনে এনে বিমানবন্দর থেকে ছাড় করাতে পারেননি অনেক প্রবাসী। জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কার্গো ওয়্যারহাউসে পড়ে আছে প্রবাসীদের পাঠানো ২৫ থেকে ২৬ টন মালামাল। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ খালাস না দেওয়ায় সেগুলো নিতে পারছে না প্রবাসীদের পরিবার। চার-পাঁচ মাস ধরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়েও কাজ হচ্ছে না।
প্রবাসীদের আনা পণ্যসামগ্রী কার্গো ওয়্যারহাউসে আটকে রাখা হয়েছে কেন, তা জানতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ১০০ কেজির বেশি পণ্য আনলে ব্যাগেজ রুলের আওতায় পণ্য খালাসে ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) দাখিল করতে হবে। যাঁরা সিপি দাখিল করতে পারেননি, তাঁদের মালামাল আটকে রাখা হয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এয়ারপোর্ট অ্যান্ড এয়ারফ্রেইট ইউনিট থেকে ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনা পণ্য খালাসের জন্য সিপি চেয়ে গত ১৪ মে ৫৬ জন প্রবাসীর কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তাঁদের ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। বিষয়টি নিয়ে এখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতামত চাওয়া হবে। দীর্ঘদিনেও পণ্যগুলো খালাস না হওয়ায় কাস্টমসের নিয়ম অনুযায়ী তা নিলামে চলে যাবে।
বিমানবন্দরে প্রবাসীদের পণ্য খালাস আটকে দেওয়াকে ‘হয়রানি’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিযোগ করেছেন প্রবাসীরা। তাঁরা বলছেন, প্রবাসীরা রেমিট্যান্সযোদ্ধা। কষ্টার্জিত টাকায় তাঁরা পরিবারের সদস্যদের জন্য যে মালামাল পাঠিয়েছেন, তা এভাবে আটকে রেখে নষ্ট করে ফেলাটা অযৌক্তিক।
প্রায় ২০ বছর ধরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে প্রবাসীরা ইউ ব্যাগেজে (আনকম্পানিড ব্যাগেজ) পণ্য নিয়ে আসছেন। কোনো সময়েই সিপি জমা দিতে হয়নি। বাণিজ্যিক পণ্য খালাসে সিপি জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও কাস্টমস অহেতুক এখন ব্যাগেজ পণ্যে সিপি দাখিল করতে বলছে। এটি সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূত।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নিয়মিত প্রবাসীর পণ্য খালাসের সঙ্গে যুক্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি মো. আবু বকর বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো পণ্য খালাসে আমদানি-রপ্তানি অধিদপ্তরের ছাড়পত্র (সিপি) বাড়তি ঝামেলা। অনেক প্রবাসী দেশে এসে আবার প্রবাসে চলে গেছেন। পণ্য ছাড় করতে পারেননি।
কী আছে প্রবাসীদের পাঠানো ব্যাগেজে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করা প্রবাসীরা ব্যাগেজ রুলের আওতায় গুঁড়া দুধ, প্রসাধনী সামগ্রী, কাপড়, গৃহস্থালিসহ বিভিন্ন ব্যবহার্য পণ্য আকাশপথে নিয়ে আসেন। রমজান মাসকে ঘিরে পণ্য পাঠানোর চাপ থাকে। এ বছরের রমজান এবং ঈদুল ফিতর ঘিরে প্রবাসীরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য পণ্য পাঠিয়েছিলেন।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মার্চে কয়েকটি চালানে আমদানিনিষিদ্ধ কসমেটিকসসহ ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য নিয়ে আসার প্রমাণ পায় কাস্টমস। এরপর কাস্টমস ১০০ কেজি ওজনের বেশি আসা পণ্য চালানের খালাস বন্ধ করে দেয়।
প্রবাসীদের পণ্য খালাসে বাধা কোথায়, জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ব্যারিস্টার বদরুদ্দিন মুন্সী বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো পণ্য খালাস বন্ধ নয়; একশ্রেণির অসাধু চক্র প্রবাসীদের এক পাসপোর্ট ব্যবহার করে একাধিক চালান আনে তাদের জন্য। যাঁদের এক শ কেজির বেশি, তাঁদের পণ্যসমূহ ছাড় করতে আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক কার্যালয় হতে সিপি জমা দিয়ে পাসপোর্ট দেখিয়ে পণ্য ছাড় করতে হবে। বৈধ প্রবাসীদের কোনো সমস্যা হবে না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে