পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা ও একজন নিহতের ঘটনায় ৪টি মামলা হয়েছে। গত সোমবার রাত ১২টায় রাঙ্গাবালী থানায় পৃথক এ মামলা করা হয়। এতে ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকালে পুলিশের একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গতকাল বুধবার রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

গত রোববার ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা এবং পুনরায় ভোট গণনার দাবি তুলে চরমোন্তাজ ইউনিয়নের নয়ারচর ও আন্ডারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোট গ্রহণকারী সংশ্লিষ্টদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

জানা গেছে, দুই কেন্দ্রে পরাজিত দুই ইউপি সদস্যের কর্মী-সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষুব্ধরা। লাঠিপেটার পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় অবরুদ্ধদের উদ্ধার করতে দুই কেন্দ্রে মোট ৩৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল খালেক হোসেন নামের একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি নয়ারচর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী জিয়াউর রহমানের সমর্থক ছিলেন।

গত সোমবার রাতে রাঙ্গাবালী থানায় দুই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তিনটি ও নিহতের স্ত্রী বাদীয় হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বেআইনিভাবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভোটকেন্দ্রে পুলিশের কাজে বাধা, হামলা চালিয়ে নির্বাচন-সংশ্লিষ্টদের আহত করা, ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, ক্ষতি সাধন ও পরিকল্পিত হত্যার অপরাধে এ মামলা হয়।

রাঙ্গাবালী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসন বলেন, ইতিমধ্যে আন্ডারচর কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনার মূলহোতা মজিবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।