ফতুল্লায় জলাবদ্ধতায় ম্লান পূজার উৎসব

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২২, ০৮: ৩১

দুদিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিভিন্ন রাস্তাঘাট। ডিএনডি বাঁধের ভেতরে থাকা ফতুল্লার দুটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা জলাবদ্ধতায় নাকাল হচ্ছেন। দুর্গাপূজার মধ্যে এমন জলাবদ্ধতায় মণ্ডপে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। পূর্বপ্রস্তুতি না থাকা এবং দ্রুত পানিনিষ্কাশনের উদ্যোগ না নেওয়ায় পূজার আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে।

গত রোববার রাত থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি চলে নারায়ণগঞ্জজুড়ে। অন্য এলাকায় পানি দ্রুত সরে গেলেও ডিএনডির ভেতরে থাকা এলাকাগুলোর রাস্তাঘাট ডুবে যায় পানিতে। কোথাও গোড়ালি আবার কোথাও হাঁটুপানি জমে। কোনো স্থানে কাদাপানিতে এতটাই একাকার যে, সেখানে রিকশাচালকেরাও যেতে চান না।

গতকাল সোমবার সকাল থেকে প্রবল বর্ষণে তলিয়ে যায় বাঁধের ভেতরে থাকা উঁচু রাস্তাগুলোও। বিশেষ করে ফতুল্লার লালপুর, কোতালেরবাগ, ইসদাইর, কায়েমপুর, সস্তাপুর ও রেলস্টেশন এলাকা এবং কুতুবপুরের পাগলা, শেয়াচর, পিলকুনি ও লালখা এলাকার সড়কগুলো পানিতে ডুবে যায়। কোনো কোনো সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো চলতে গিয়ে যন্ত্রে পানি ঢুকে বিকল হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় বাসিন্দাদের। এর মধ্যে পূজামণ্ডপ দেখতে আসা দর্শনার্থীদের ভোগান্তি ছিল কয়েকগুণ বেশি।

ফতুল্লার ডিআইটি মাঠ এলাকায় পূজামণ্ডপ দেখতে আসা শেয়াচর এলাকার বাসিন্দা জ্যোতি হালদার বলেন, ‘৩০ টাকার রিকশা ভাড়া ৬০ টাকা দিয়ে এসেছি। তাও আসতে চান না রিকশাচালকেরা। মণ্ডপ ঘুরতে হয় পায়ে হেঁটে। আমাদের সেই অবস্থা নেই। সব রাস্তায় পানি আর কাদা। হাঁটলেই জামা কাপড়ে কাদা ভরে ময়লা হয়ে যাচ্ছে। ফতুল্লায় পূজার আনন্দ নেই বললেই চলে। বাধ্য হয়ে সবাই নারায়ণগঞ্জ শহরের দিকে চলে যাচ্ছে।’

ফতুল্লা থানা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ও ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি রণজিৎ মোদক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পূজামণ্ডপ দেখতে বের হওয়া লোকজনকে যে কী পরিমাণ দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে তা বলার মতো নয়। বলতে পারেন, ডিএনডি এলাকার ভেতরে ফতুল্লার দুই ইউনিয়নে পূজার উৎসব অনেকটাই ম্রিয়মাণ হয়ে গেছে।’

ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন বলেন, ‘বৃষ্টি হচ্ছে সারাক্ষণ, এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। তবে কোনো মণ্ডপে পানি জমে নেই। ডিএনডির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়গুলো থাকবেই।’

একই বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম সেন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃষ্টি হলে এ এলাকায় পানি জমে এটা তো নতুন কিছু নয়। এখানে তো নতুন করে কিছু বলার নেই।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত