মৌসুমের শুরুতে শীতকালীন সবজির দাম চড়া থাকলেও এখন কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে এসেছে সব সবজির দাম। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটা জানা গেছে।

সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এতদিন অন্য এলাকা থেকে আমদানি করা সবজি এখানকার বাজার দখলে রেখেছিল। কিন্তু এখন স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাই বাইরে থেকে এখন আর বাইরের জেলার সবজি আনছেন না বিক্রেতারা। তাই বাড়তি পরিবহন ভাড়া লাগছে না। এ কারণে সবজির দাম কমেছে। এতে স্বস্তি পাচ্ছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকজন।

পৌরসভা সদরের খুচরা সবজি বিক্রেতারা জানান, মৌসুমের শুরুতে বাইরের জেলা থেকে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, আলু বেগুন, চিচিঙ্গা, পেঁয়াজ পাতা ও পেঁয়াজের ফুল ইত্যাদি আনা হতো। এতে পরিবহন খরচ বেশি হওয়া ও আগাম সবজি বেশি দামে কিনে আনার কারণে চড়া দামে সবজি বিক্রি করা হতো। এখন স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। সপ্তাহ খানিক আগেও প্রতিটি ফুলকপি ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এখন তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা। নতুন আলু ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৪০ টাকায়। পেঁয়াজ পাতা কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা ছিল, এখন তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পেঁয়াজের ফুল ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

পৌর বাজারের আবদুল কদ্দুছ নামের সবজি ব্যবসায়ী বলেন, শীত মৌসুমের শুরুতে যে কোনো সবজির দাম বেশি থাকে। কেননা এসব সবজি আগাম চাষাবাদ হয়ে থাকে। আগাম সবজির বাজারে বেশ চাহিদাও থাকে। দাম বেশি থাকলেও লোকজন তা কিনে থাকেন। এখন এলাকার সবজি বাজারে আসতে শুরু করছে, তাই দামও কমতে শুরু হয়েছে।

নাজমুল নামে একজন ক্রেতা বলেন, সপ্তাহ খানিক আগেও শীতকালীন এসব সবজির দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া। যা কিনা অনেক নিম্নমধ্যবিত্ত লোকজনের ক্রয়সীমার বাইরে ছিল। এখন দাম কমায় স্বস্তি মিলছে।