Ajker Patrika

চেক জালিয়াতির মামলায় প্রধান শিক্ষকের কারাদণ্ড

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
চেক জালিয়াতির মামলায় প্রধান শিক্ষকের কারাদণ্ড

যশোরের মনিরামপুরে চেক জালিয়াতি মামলায় জামাল উদ্দিন মুন্না নামের এক প্রধান শিক্ষককে এক বছরের কারাদণ্ড ও আট লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। গত ৩১ জুলাই যশোর আদালতের যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। গত ১০ আগস্ট রায়ের কপি প্রকাশ পেলেও গতকাল বৃহস্পতিবার রায়ের কপি সাংবাদিকদের হাতে পৌঁছায়।

দণ্ডপ্রাপ্ত জামাল উদ্দিন উপজেলার মাঝিয়ালি গ্রামের সুজাউদ্দিনের ছেলে। তিনি চাঁদপুর-মাঝিয়ালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। রায়ের বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে মনিরামপুরের রোহিতা ইউনিয়নে ‘গাঙ্গুলিয়া প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন জামাল উদ্দিন মুন্না। এরপর মাতৃভাষা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাসানুল কবিরের স্ত্রীকে সেখানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৮ লাট টাকা ঘুষ নেন তিনি।

চাকরি না হওয়ায় চাপাচাপির একপর্যায়ে গত বছরের ১ ও ২৫ জুন মুন্না আল আরাফাহ ব্যাংকের মনিরামপুর শাখায় তাঁর নিজের হিসাব নম্বরে অধ্যক্ষকে দুটি চেক দেন। মুন্নার হিসাব নম্বরে টাকা না থাকায় ওই মাসের ১৬ তারিখ চেক দুটি ডিজ-অনার হয়।

এরপর টাকা পরিশোধের জন্য অধ্যক্ষ আইনজীবীর মাধ্যমে মুন্নাকে উকিল নোটিশ পাঠান। নোটিশের সাড়া না পেয়ে গত বছরের ৪ অক্টোবর মুন্নার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করেন হাসানুল কবির। 

রায়ে আরও জানা যায়, এরপর আদালত থেকে জামিন নেন মুন্না। জামিনের মেয়াদ শেষে তিনি আর হাজির না হওয়ায় আদালত তাঁর অনুপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর গত ৩১ জুলাই যশোর আদালতের যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন ১৮৮১-এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী জামাল উদ্দিন মুন্নাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৮ লাখ টাকা জরিমানা করেন।

তবে জামাল উদ্দিন মুন্না দাবি করেন, ‘চাকরির বিষয় না, সুসম্পর্কের কারণে হাসানুল কবিরের কাছ থেকে লাভের বিনিময়ে আমি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিই। পরে তাঁকে খালি চেক দিলে তিনি ৮ লাখ টাকা বসিয়ে নেন।’

মুন্না আরও বলেন, ‘রায় পেয়ে আমি আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে জরিমানার অর্ধেক অর্থাৎ ৪ লাখ টাকা জমা দিয়ে জামিনের আবেদন করেছি। আশা করছি, আগামী রোববারের দিকে জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাব।’

বিদ্যালয়ের সভাপতি মামুনুর রশীদ জুয়েল বলেন, ‘শুনেছি প্রধান শিক্ষকের সাজা হয়েছে। রায়ের কপি হাতে পেলে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, জামাল উদ্দিন মুন্না নামে কারও বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে কিনা দেখতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান হওয়া ইরানি নারী এখন পানামার জঙ্গলে

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত