সোহানা সাবা
আমি গর্বিত যে আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমাদের বাড়িতে প্রায়ই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতো। বাংলাদেশ কীভাবে স্বাধীন হলো, কীভাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক হয়েছিল বাঙালি, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার গল্প; আমি এসব শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সান্নিধ্য পেয়েছি ছোটবেলা থেকেই।
আমার বাবা খুব কম বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে বাবা ছিলেন সেজো। মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নেওয়ার জন্য বড় চাচু আর বাবাকে সীমান্ত পার করিয়ে দিয়ে এসেছিলেন দাদু। শুনেছি, বাড়ি ফিরে দাদু কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন, ‘দুটো ছেলেকে দেশের জন্য বিলিয়ে দিয়ে এলাম।’ ট্রেনিং নেওয়ার পর বাবা নিজের এলাকা রাজবাড়ীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৩ বছর।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে অন্যদের চেয়ে আমার ছোটবেলা অনেকটা আলাদা। যখন স্কুল-কলেজে পড়তাম, বিশেষ করে স্কুলে, তখন মুক্তিযুদ্ধকে খানিকটা অন্য চোখে দেখা হতো। এমন শাসনামল আমরা দেখেছি, যখন মুক্তিযুদ্ধকে অতটা হাইলাইট করা হতো না।
১৯৯৫-৯৬ সালের একটা গল্প বলি। তখন আমি স্কুলে পড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাগে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন বিদেশি পণ্য বিক্রি করতেন। একদিন একটা মেয়ে আমাদের বাড়ি এলেন। মা আর আমি পণ্যগুলো দেখছি। দুপুরবেলা। বাবা খাচ্ছিলেন। বাবা বললেন, ‘তোমরা যে এভাবে বিদেশি পণ্য বিক্রি করছ, এ কারণে কি আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম?’ তখন মেয়েটা হাসতে হাসতে বললেন, ‘আঙ্কেল, মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট তো এখন কিনতে পাওয়া যায়।’ কথা শুনে বাবা চুপ হয়ে গিয়েছিলেন। এরকমই পরিবেশ ছিল একটা সময়। অভিমানে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তেমন কথা বলতেন না বাবা।
সময় গড়াল। পরিস্থিতি বদলে গেল। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, সংবর্ধনা দেওয়া শুরু হলো। তখন বাবা বিষয়টি নিয়ে গর্ব করতেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যের তরফ থেকে বাবাকে একবার সম্মাননা দেওয়া হয়। একটা মেডেল পেয়েছিলেন। অনেক দিন সেটি পকেটে রেখে দিয়েছিলেন বাবা। ২০১৯ সালে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। সেদিনও বাবা সম্মাননা পেয়েছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে।
অনুলিখন: খায়রুল বাসার নির্ঝর
আমি গর্বিত যে আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমাদের বাড়িতে প্রায়ই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতো। বাংলাদেশ কীভাবে স্বাধীন হলো, কীভাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক হয়েছিল বাঙালি, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার গল্প; আমি এসব শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সান্নিধ্য পেয়েছি ছোটবেলা থেকেই।
আমার বাবা খুব কম বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে বাবা ছিলেন সেজো। মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নেওয়ার জন্য বড় চাচু আর বাবাকে সীমান্ত পার করিয়ে দিয়ে এসেছিলেন দাদু। শুনেছি, বাড়ি ফিরে দাদু কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন, ‘দুটো ছেলেকে দেশের জন্য বিলিয়ে দিয়ে এলাম।’ ট্রেনিং নেওয়ার পর বাবা নিজের এলাকা রাজবাড়ীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৩ বছর।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে অন্যদের চেয়ে আমার ছোটবেলা অনেকটা আলাদা। যখন স্কুল-কলেজে পড়তাম, বিশেষ করে স্কুলে, তখন মুক্তিযুদ্ধকে খানিকটা অন্য চোখে দেখা হতো। এমন শাসনামল আমরা দেখেছি, যখন মুক্তিযুদ্ধকে অতটা হাইলাইট করা হতো না।
১৯৯৫-৯৬ সালের একটা গল্প বলি। তখন আমি স্কুলে পড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাগে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন বিদেশি পণ্য বিক্রি করতেন। একদিন একটা মেয়ে আমাদের বাড়ি এলেন। মা আর আমি পণ্যগুলো দেখছি। দুপুরবেলা। বাবা খাচ্ছিলেন। বাবা বললেন, ‘তোমরা যে এভাবে বিদেশি পণ্য বিক্রি করছ, এ কারণে কি আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম?’ তখন মেয়েটা হাসতে হাসতে বললেন, ‘আঙ্কেল, মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট তো এখন কিনতে পাওয়া যায়।’ কথা শুনে বাবা চুপ হয়ে গিয়েছিলেন। এরকমই পরিবেশ ছিল একটা সময়। অভিমানে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তেমন কথা বলতেন না বাবা।
সময় গড়াল। পরিস্থিতি বদলে গেল। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, সংবর্ধনা দেওয়া শুরু হলো। তখন বাবা বিষয়টি নিয়ে গর্ব করতেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যের তরফ থেকে বাবাকে একবার সম্মাননা দেওয়া হয়। একটা মেডেল পেয়েছিলেন। অনেক দিন সেটি পকেটে রেখে দিয়েছিলেন বাবা। ২০১৯ সালে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। সেদিনও বাবা সম্মাননা পেয়েছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে।
অনুলিখন: খায়রুল বাসার নির্ঝর
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪