মাত্র ২৩ দিনে দুষ্টু কোকিল গানটির ১০০ মিলিয়ন ভিউ। এমনটা হতে পারে আগে ভেবেছিলেন?
প্রথম থেকে এই গান নিয়ে যেভাবে সাড়া পাচ্ছিলাম, তাতে প্রত্যাশা করছিলাম দ্রুতই ১০০ মিলিয়ন ভিউ হবে। রিলিজের পরপর সবচেয়ে কম সময়ে এক মিলিয়ন ভিউ হয়। এবার ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের মাইলফলক। দুই চ্যানেল মিলিয়ে এই মাইলফলক হয়েছে। এখন অপেক্ষায় আছি দুটি চ্যানেলে আলাদাভাবে এই অর্জনের।
পশ্চিমবঙ্গেও গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কতটা উপভোগ করছেন?
আমাদের দেশের মানুষ যেভাবে গানটি পছন্দ করেছে, দেশের বাইরেও তেমন। গতকাল মুম্বাই থেকে আমাকে একজন বলল, বাংলা ভাষাভাষী মানুষের বাইরেও অনেকে গানটি শুনছে, যেটা সাধারণত দেখা যায় না। বিভিন্ন হোটেলে, রেস্টুরেন্টে বাজছে। এই বিষয়টি ভীষণ ভালো লাগার। এ ছাড়া শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাম প্রশংসা করেছেন। এই ধরনের গানের এক্সপ্রেশনগুলো ওনার কাছ থেকে শেখা। তিনি যখন প্রশংসা করেন, সেটার ভালো লাগা অন্য রকম। সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করছি।
গানের পেছনের গল্পটা জানতে চাই।
২০১৬ সাল থেকে আকাশ সেনের সঙ্গে আমার কাজ হচ্ছে। তাঁর সুরে ‘রেশমি চুড়ি’, ‘ও ডিজে’, ‘বৈশাখের বিকেল বেলায়’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান গেয়েছি। দ্বৈত গানও আছে আমাদের। তুফান টিম প্রথমে আকাশ সেনের সঙ্গে আলোচনা করেছিল। এরপর তাঁরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
রেকর্ডিংয়ের সময় আঁচ করতে পেরেছিলেন গানটি এত জনপ্রিয়তা পাবে?
ভয়েস দেওয়ার সময় গানের হুক লাইনটা খুব ক্যাচি মনে হয়েছিল। এরপর যখন জানতে পারলাম, গানটিতে মিমি চক্রবর্তী ও শাকিব খান অভিনয় করবেন, তখন প্রত্যাশা আরও বেড়ে গিয়েছিল। ট্রেলারে ১০ সেকেন্ড ছিল গানটি। এই ছোট্ট ক্লিপ দিয়েই সবাই রিলস, টিকটক বানাচ্ছিল। সাড়াটা তখন থেকেই পাচ্ছিলাম। আর সিনেমা রিলিজের পর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল। সে সময় কিন্তু পুরো গানটি আলাদা করে প্রকাশ করা হয়নি। তবে এত দ্রুত এত রেকর্ড করে ফেলবে, সেটা ভাবিনি।
সিনেমার সাফল্যের ক্ষেত্রে গান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে?
সিনেমা ও গান—একে অপরের পরিপূরক। গানের জনপ্রিয়তা যেমন একটি সিনেমার সাফল্য অর্জনে সহায়তা করে, তেমনি অনেক সময় সিনেমার কারণে গান জনপ্রিয়তা পায়। সিনেমার গানের সঙ্গে এর চিত্রায়ণ, কোরিওগ্রাফি, শিল্পীদের অভিনয়—সবকিছু দেখেন দর্শক।
সিনেমায় আপনার অনেক জনপ্রিয় গান আছে। তবে গত কয়েক বছরে প্লেব্যাকে কম পাওয়া গেছে আপনাকে। এর কারণ কী?
এটার কারণ তো আমি বলতে পারব না। হয়তো আমার টাইপ গান কম হয়েছে, তাই আমাকে ডাকা হয়নি। আবার হয়তো হবে। তবে মাঝে মাঝে গ্যাপ থাকাটাও কিন্তু ভালো। নতুন কিছুর জন্য প্রস্তুত হওয়া যায়।
অনেকে অভিযোগ করেন, সিনেমায় প্লেব্যাকের ক্ষেত্রে একধরনের সিন্ডিকেট কাজ করে এখানে। নির্দিষ্ট শিল্পীরাই ঘুরেফিরে সুযোগ পান। এ বিষয়ে আপনার কী বক্তব্য?
আমার কাছে এসব কিছু মনে হয় না। আমি যেহেতু সিন্ডিকেট মেইনটেইন করি না, তাই এসবের কিছু বুঝিও না। গান হচ্ছে শান্তির বিষয়। এর মধ্যে যদি কোনো ধরনের পলিটিকস আসে, সেটি নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি, যেটা আমার কাছে আসার কথা, সেটা আমি পেয়েছি। আর যেটা আসার কথা নয়, সেটা আসেনি। নিজের অবস্থান নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
আপনি বিভিন্ন ধরনের গান করেন। কখনো রোমান্টিক, কখনো স্যাড, কখনো আইটেম ঘরানার, আবার রবীন্দ্রসংগীতও করেন। আপনার পছন্দের ক্ষেত্র কোনটি?
আমার কমফোর্ট জোনের জায়গা হচ্ছে গান গাওয়া। যেকোনো গান ওই গানের মতো করে গাওয়ার চেষ্টা করি। অভিনয়শিল্পীরা অভিনয়ের সময় যেমন চরিত্র পরিবর্তন করেন। একেক সিনেমা বা নাটকে একেক রকম চরিত্র। তেমনি শিল্পী হিসেবে আমাকেও বিভিন্ন প্রয়োজনে কণ্ঠ পরিবর্তন করতে হবে, এক্সপ্রেশন পরিবর্তন হবে। এটাই তো স্বাভাবিক। গান গাওয়ার সময় সেটাই করি। আমি ছোট থেকেই ভার্সেটাইল শিল্পী হতে চেয়েছি, এখনো সেটাই হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।
কনসার্টের ব্যস্ততা কেমন চলছে?
এখন তো অফসিজন। এই সময়ে কনসার্ট কম হয়। এরপরও টুকটাক ব্যস্ততা আছে। আগামীকাল ঢাকায় একটি কনসার্ট আছে। ২৬ জুলাই আরেকটি প্রোগ্রামে গাওয়ার কথা। বৃষ্টির কারণে এই সময়ে ওপেন এয়ার কনসার্ট সাধারণত হয় না। শোয়ের সিজন শুরু হবে আগামী নভেম্বর থেকে।
এর মধ্যে নতুন কী কী গানে কণ্ঠ দিলেন?
কয়েকটি সিনেমায় গেয়েছি। সামনেই সেগুলো মুক্তি পাওয়ার কথা। দুটি একক গান রেকর্ড করেছি। এ বছরই একটি গানের মিউজিক ভিডিও করার ইচ্ছা আছে। এ ছাড়া নিয়মিত নাটকের গানে কণ্ঠ দিচ্ছি। আমি তো আসলে স্টুডিও আর্টিস্ট। নানা ধরনের টাইটেল সং, প্রজেক্টের গান গাইতেই থাকি।
মাত্র ২৩ দিনে দুষ্টু কোকিল গানটির ১০০ মিলিয়ন ভিউ। এমনটা হতে পারে আগে ভেবেছিলেন?
প্রথম থেকে এই গান নিয়ে যেভাবে সাড়া পাচ্ছিলাম, তাতে প্রত্যাশা করছিলাম দ্রুতই ১০০ মিলিয়ন ভিউ হবে। রিলিজের পরপর সবচেয়ে কম সময়ে এক মিলিয়ন ভিউ হয়। এবার ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের মাইলফলক। দুই চ্যানেল মিলিয়ে এই মাইলফলক হয়েছে। এখন অপেক্ষায় আছি দুটি চ্যানেলে আলাদাভাবে এই অর্জনের।
পশ্চিমবঙ্গেও গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কতটা উপভোগ করছেন?
আমাদের দেশের মানুষ যেভাবে গানটি পছন্দ করেছে, দেশের বাইরেও তেমন। গতকাল মুম্বাই থেকে আমাকে একজন বলল, বাংলা ভাষাভাষী মানুষের বাইরেও অনেকে গানটি শুনছে, যেটা সাধারণত দেখা যায় না। বিভিন্ন হোটেলে, রেস্টুরেন্টে বাজছে। এই বিষয়টি ভীষণ ভালো লাগার। এ ছাড়া শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাম প্রশংসা করেছেন। এই ধরনের গানের এক্সপ্রেশনগুলো ওনার কাছ থেকে শেখা। তিনি যখন প্রশংসা করেন, সেটার ভালো লাগা অন্য রকম। সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করছি।
গানের পেছনের গল্পটা জানতে চাই।
২০১৬ সাল থেকে আকাশ সেনের সঙ্গে আমার কাজ হচ্ছে। তাঁর সুরে ‘রেশমি চুড়ি’, ‘ও ডিজে’, ‘বৈশাখের বিকেল বেলায়’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান গেয়েছি। দ্বৈত গানও আছে আমাদের। তুফান টিম প্রথমে আকাশ সেনের সঙ্গে আলোচনা করেছিল। এরপর তাঁরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
রেকর্ডিংয়ের সময় আঁচ করতে পেরেছিলেন গানটি এত জনপ্রিয়তা পাবে?
ভয়েস দেওয়ার সময় গানের হুক লাইনটা খুব ক্যাচি মনে হয়েছিল। এরপর যখন জানতে পারলাম, গানটিতে মিমি চক্রবর্তী ও শাকিব খান অভিনয় করবেন, তখন প্রত্যাশা আরও বেড়ে গিয়েছিল। ট্রেলারে ১০ সেকেন্ড ছিল গানটি। এই ছোট্ট ক্লিপ দিয়েই সবাই রিলস, টিকটক বানাচ্ছিল। সাড়াটা তখন থেকেই পাচ্ছিলাম। আর সিনেমা রিলিজের পর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল। সে সময় কিন্তু পুরো গানটি আলাদা করে প্রকাশ করা হয়নি। তবে এত দ্রুত এত রেকর্ড করে ফেলবে, সেটা ভাবিনি।
সিনেমার সাফল্যের ক্ষেত্রে গান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে?
সিনেমা ও গান—একে অপরের পরিপূরক। গানের জনপ্রিয়তা যেমন একটি সিনেমার সাফল্য অর্জনে সহায়তা করে, তেমনি অনেক সময় সিনেমার কারণে গান জনপ্রিয়তা পায়। সিনেমার গানের সঙ্গে এর চিত্রায়ণ, কোরিওগ্রাফি, শিল্পীদের অভিনয়—সবকিছু দেখেন দর্শক।
সিনেমায় আপনার অনেক জনপ্রিয় গান আছে। তবে গত কয়েক বছরে প্লেব্যাকে কম পাওয়া গেছে আপনাকে। এর কারণ কী?
এটার কারণ তো আমি বলতে পারব না। হয়তো আমার টাইপ গান কম হয়েছে, তাই আমাকে ডাকা হয়নি। আবার হয়তো হবে। তবে মাঝে মাঝে গ্যাপ থাকাটাও কিন্তু ভালো। নতুন কিছুর জন্য প্রস্তুত হওয়া যায়।
অনেকে অভিযোগ করেন, সিনেমায় প্লেব্যাকের ক্ষেত্রে একধরনের সিন্ডিকেট কাজ করে এখানে। নির্দিষ্ট শিল্পীরাই ঘুরেফিরে সুযোগ পান। এ বিষয়ে আপনার কী বক্তব্য?
আমার কাছে এসব কিছু মনে হয় না। আমি যেহেতু সিন্ডিকেট মেইনটেইন করি না, তাই এসবের কিছু বুঝিও না। গান হচ্ছে শান্তির বিষয়। এর মধ্যে যদি কোনো ধরনের পলিটিকস আসে, সেটি নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি, যেটা আমার কাছে আসার কথা, সেটা আমি পেয়েছি। আর যেটা আসার কথা নয়, সেটা আসেনি। নিজের অবস্থান নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
আপনি বিভিন্ন ধরনের গান করেন। কখনো রোমান্টিক, কখনো স্যাড, কখনো আইটেম ঘরানার, আবার রবীন্দ্রসংগীতও করেন। আপনার পছন্দের ক্ষেত্র কোনটি?
আমার কমফোর্ট জোনের জায়গা হচ্ছে গান গাওয়া। যেকোনো গান ওই গানের মতো করে গাওয়ার চেষ্টা করি। অভিনয়শিল্পীরা অভিনয়ের সময় যেমন চরিত্র পরিবর্তন করেন। একেক সিনেমা বা নাটকে একেক রকম চরিত্র। তেমনি শিল্পী হিসেবে আমাকেও বিভিন্ন প্রয়োজনে কণ্ঠ পরিবর্তন করতে হবে, এক্সপ্রেশন পরিবর্তন হবে। এটাই তো স্বাভাবিক। গান গাওয়ার সময় সেটাই করি। আমি ছোট থেকেই ভার্সেটাইল শিল্পী হতে চেয়েছি, এখনো সেটাই হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।
কনসার্টের ব্যস্ততা কেমন চলছে?
এখন তো অফসিজন। এই সময়ে কনসার্ট কম হয়। এরপরও টুকটাক ব্যস্ততা আছে। আগামীকাল ঢাকায় একটি কনসার্ট আছে। ২৬ জুলাই আরেকটি প্রোগ্রামে গাওয়ার কথা। বৃষ্টির কারণে এই সময়ে ওপেন এয়ার কনসার্ট সাধারণত হয় না। শোয়ের সিজন শুরু হবে আগামী নভেম্বর থেকে।
এর মধ্যে নতুন কী কী গানে কণ্ঠ দিলেন?
কয়েকটি সিনেমায় গেয়েছি। সামনেই সেগুলো মুক্তি পাওয়ার কথা। দুটি একক গান রেকর্ড করেছি। এ বছরই একটি গানের মিউজিক ভিডিও করার ইচ্ছা আছে। এ ছাড়া নিয়মিত নাটকের গানে কণ্ঠ দিচ্ছি। আমি তো আসলে স্টুডিও আর্টিস্ট। নানা ধরনের টাইটেল সং, প্রজেক্টের গান গাইতেই থাকি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে