মীর রাকিব হাসান
এবার ঈদের বেশ কিছু নাটক ও টেলিফিল্মে দেখা গেছে তারিক আনাম খানের সপ্রতিভ অভিনয়। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন। ঈদের নাটক ও সমসাময়িক নাটকের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর রাকিব হাসান
জন্মদিনটা কীভাবে উদ্যাপন করেন?
জন্মদিন আমার কাছে স্পেশাল কিছু নয়। অন্য আর দশটা দিনের মতোই। আশপাশে যারা থাকে, তারাই উদ্যাপন করে। বিশেষ করে আমার স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের বউ—এরা কোনো না কোনো আয়োজন রাখে। চেষ্টা করি এই দিনটায় শুটিং না রাখার, বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকি। জন্মদিন এলে মনে হয় আরও কাজ করা উচিত। কারণ, এই জীবনে অনেক কিছুই পেয়েছি, তবে মনে করি না যথেষ্ট দিতে পেরেছি।
বিশেষ কোনো জন্মদিনের কথা মনে পড়ে?
জন্মদিন এলে বাবার কথা খুব মনে পড়ে। বাবা আমাদের জন্মদিনটা খুব মনে রাখতেন। আমার ও ছোট ভাইয়ের জন্মদিন অ্যানাউন্স করতেন খুব মজা করে। একটা জন্মদিনের কথা খুব মনে পড়ে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিলাম। মে মাসে আমি ছিলাম বশিরহাটে। হঠাৎ শরীরটা খারাপ হয়। জন্মদিনের দিন চিকেন পক্স উঠল। সারা গায়ে পক্স। প্রায় এক মাস ভুগেছিলাম। এক কাপড়ে থাকতে হয়েছে।
ঈদ কেমন কাটল?
সব সময় ঈদকে ঘিরে বেশ কিছু কাজ করা হয়। এবার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে ‘দৌড়’ রিলিজ হলো। ভালো সাড়া পাচ্ছি। বঙ্গর জন্য করলাম ‘সাদা প্রাইভেট’। ছোট্ট আশা, ছোট্ট স্বপ্ন ঘিরে ‘সাদা প্রাইভেট’। মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালনায় করলাম ‘নয়া লাইলী নয়া মজনু’। মজার আড়ালে জীবনের গভীর একটা কথা বলার চেষ্টা। প্রসূন রহমানের পরিচালনায় অভিনয় করলাম ওয়েব ফিল্ম ‘জিরো পয়েন্ট’। প্রসূন চমৎকার লেখেন, সাহিত্য পড়েন, সিনেমা দেখেন এবং অতীব সজ্জন। ঈদে দেশের কনটেন্টগুলোর পাশাপাশি ওটিটিতে বাইরেরও অনেক কাজ দেখা হয়েছে। ঈদের ছুটিটা এভাবেই কাটানো হলো।
শুটিংয়ে কবে ফিরছেন?
স্ক্রিপ্ট নিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন কয়েকজন। থিমেটিক্যালি ভালো স্ক্রিপ্ট পাচ্ছি। কাজ করলে ভালো লাগবে। একটু আধুনিক চিন্তাভাবনার কাজগুলো করতে চাচ্ছি। পুরোনো সেন্টিমেন্টের গল্পে এখন কাজ করতে চাচ্ছি না। কথাবার্তা পাকা হলে ফিরব শুটিংয়ে।
অনেকেই বলছেন সিনিয়রদের জন্য ভালো চরিত্র তৈরি হচ্ছে না, আপনি কী বলেন?
আমাদের এখানে বেশির ভাগই ইয়ুথ বেইজড কাজ হয়। এটাঅস্বাভাবিক কিছু না। আমি সৌভাগ্যবান যে আমার বয়স অনুযায়ী ভালো পছন্দসই চরিত্রগুলো নিয়মিত পাই।
নাটকের উন্নতির জায়গাগুলো নিয়ে যদি কিছু বলতেন...
আমরা একটা সময় এসে টিভির প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছি। টেলিভিশনের যে সময়টায় আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ছিল, সেখানে আমার ব্যর্থ হয়েছি। টেলিভিশনে ভালো সিঙ্গেল নাটক হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু সিঙ্গেল নাটক দিয়ে টেলিভিশন চ্যানেল ওভাবে দাঁড়ায় না। সিরিয়াল লাগে দর্শক ধরে রাখতে। দর্শকের মগজে থাকবে আমি এই সময়ে এই জায়গায় গেলে এটা দেখতে পাব। সেটা আমরা তৈরির চেষ্টা করি না। মিক্সড কনসেপ্ট আসলে ভালো কিছু বয়ে আনতে পারেনি। আমার মনে হয়, চ্যানেলে যাঁরা আছেন, তাঁরা যদি একটুখানি ভাবেন বিষয়টি নিয়ে। টেলিভিশনের মতো এত স্ট্রং মিডিয়া কেন যে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি! দায়সারাভাবে কেন কাজ হবে? এমনকি চ্যানেল কর্তৃপক্ষও নাটক বানায় ইউটিউবের জন্য, তারাও ভিউয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। ভালো কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি কীভাবে সেটা দেখাব, সেই প্ল্যানিংটাও নতুন করে ভাবা জরুরি।
অনুষ্ঠানের চেয়ে বিজ্ঞাপনের প্রচারাধিক্যের কথা উঠছে সব সময়।
এটা বিজ্ঞাপন নির্ভরতার কারণে হয়েছে। শুধু বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভর করে টেলিভিশন চ্যানেলের চলা মুশকিল। আমরা অনুষ্ঠান দেখে ডিশের লাইনের জন্য মাসিক টাকা দিচ্ছি। অথচ সেই টাকা চ্যানেলগুলো পাচ্ছে না। সেখানে থেকে চ্যানেলের টাকা পাওয়া উচিত। নয়তো বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে। আর সেই নির্ভরতা কনটেন্টেও প্রভাব ফেলবে, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের কনটেন্ট-ভাবনা ও পারফরমাররা অনেক স্ট্রং। আমরা শেষ হয়ে যাইনি। নিজেদের যতটা নতুন আর আধুনিক ভাবনায় যুক্ত রাখতে পারব, ততটাই দর্শক ধরে রাখতে পারব।
এবার ঈদের বেশ কিছু নাটক ও টেলিফিল্মে দেখা গেছে তারিক আনাম খানের সপ্রতিভ অভিনয়। আজ এই অভিনেতার জন্মদিন। ঈদের নাটক ও সমসাময়িক নাটকের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর রাকিব হাসান
জন্মদিনটা কীভাবে উদ্যাপন করেন?
জন্মদিন আমার কাছে স্পেশাল কিছু নয়। অন্য আর দশটা দিনের মতোই। আশপাশে যারা থাকে, তারাই উদ্যাপন করে। বিশেষ করে আমার স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের বউ—এরা কোনো না কোনো আয়োজন রাখে। চেষ্টা করি এই দিনটায় শুটিং না রাখার, বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকি। জন্মদিন এলে মনে হয় আরও কাজ করা উচিত। কারণ, এই জীবনে অনেক কিছুই পেয়েছি, তবে মনে করি না যথেষ্ট দিতে পেরেছি।
বিশেষ কোনো জন্মদিনের কথা মনে পড়ে?
জন্মদিন এলে বাবার কথা খুব মনে পড়ে। বাবা আমাদের জন্মদিনটা খুব মনে রাখতেন। আমার ও ছোট ভাইয়ের জন্মদিন অ্যানাউন্স করতেন খুব মজা করে। একটা জন্মদিনের কথা খুব মনে পড়ে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিলাম। মে মাসে আমি ছিলাম বশিরহাটে। হঠাৎ শরীরটা খারাপ হয়। জন্মদিনের দিন চিকেন পক্স উঠল। সারা গায়ে পক্স। প্রায় এক মাস ভুগেছিলাম। এক কাপড়ে থাকতে হয়েছে।
ঈদ কেমন কাটল?
সব সময় ঈদকে ঘিরে বেশ কিছু কাজ করা হয়। এবার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে ‘দৌড়’ রিলিজ হলো। ভালো সাড়া পাচ্ছি। বঙ্গর জন্য করলাম ‘সাদা প্রাইভেট’। ছোট্ট আশা, ছোট্ট স্বপ্ন ঘিরে ‘সাদা প্রাইভেট’। মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালনায় করলাম ‘নয়া লাইলী নয়া মজনু’। মজার আড়ালে জীবনের গভীর একটা কথা বলার চেষ্টা। প্রসূন রহমানের পরিচালনায় অভিনয় করলাম ওয়েব ফিল্ম ‘জিরো পয়েন্ট’। প্রসূন চমৎকার লেখেন, সাহিত্য পড়েন, সিনেমা দেখেন এবং অতীব সজ্জন। ঈদে দেশের কনটেন্টগুলোর পাশাপাশি ওটিটিতে বাইরেরও অনেক কাজ দেখা হয়েছে। ঈদের ছুটিটা এভাবেই কাটানো হলো।
শুটিংয়ে কবে ফিরছেন?
স্ক্রিপ্ট নিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন কয়েকজন। থিমেটিক্যালি ভালো স্ক্রিপ্ট পাচ্ছি। কাজ করলে ভালো লাগবে। একটু আধুনিক চিন্তাভাবনার কাজগুলো করতে চাচ্ছি। পুরোনো সেন্টিমেন্টের গল্পে এখন কাজ করতে চাচ্ছি না। কথাবার্তা পাকা হলে ফিরব শুটিংয়ে।
অনেকেই বলছেন সিনিয়রদের জন্য ভালো চরিত্র তৈরি হচ্ছে না, আপনি কী বলেন?
আমাদের এখানে বেশির ভাগই ইয়ুথ বেইজড কাজ হয়। এটাঅস্বাভাবিক কিছু না। আমি সৌভাগ্যবান যে আমার বয়স অনুযায়ী ভালো পছন্দসই চরিত্রগুলো নিয়মিত পাই।
নাটকের উন্নতির জায়গাগুলো নিয়ে যদি কিছু বলতেন...
আমরা একটা সময় এসে টিভির প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছি। টেলিভিশনের যে সময়টায় আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ছিল, সেখানে আমার ব্যর্থ হয়েছি। টেলিভিশনে ভালো সিঙ্গেল নাটক হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু সিঙ্গেল নাটক দিয়ে টেলিভিশন চ্যানেল ওভাবে দাঁড়ায় না। সিরিয়াল লাগে দর্শক ধরে রাখতে। দর্শকের মগজে থাকবে আমি এই সময়ে এই জায়গায় গেলে এটা দেখতে পাব। সেটা আমরা তৈরির চেষ্টা করি না। মিক্সড কনসেপ্ট আসলে ভালো কিছু বয়ে আনতে পারেনি। আমার মনে হয়, চ্যানেলে যাঁরা আছেন, তাঁরা যদি একটুখানি ভাবেন বিষয়টি নিয়ে। টেলিভিশনের মতো এত স্ট্রং মিডিয়া কেন যে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি! দায়সারাভাবে কেন কাজ হবে? এমনকি চ্যানেল কর্তৃপক্ষও নাটক বানায় ইউটিউবের জন্য, তারাও ভিউয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। ভালো কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি কীভাবে সেটা দেখাব, সেই প্ল্যানিংটাও নতুন করে ভাবা জরুরি।
অনুষ্ঠানের চেয়ে বিজ্ঞাপনের প্রচারাধিক্যের কথা উঠছে সব সময়।
এটা বিজ্ঞাপন নির্ভরতার কারণে হয়েছে। শুধু বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভর করে টেলিভিশন চ্যানেলের চলা মুশকিল। আমরা অনুষ্ঠান দেখে ডিশের লাইনের জন্য মাসিক টাকা দিচ্ছি। অথচ সেই টাকা চ্যানেলগুলো পাচ্ছে না। সেখানে থেকে চ্যানেলের টাকা পাওয়া উচিত। নয়তো বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে। আর সেই নির্ভরতা কনটেন্টেও প্রভাব ফেলবে, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের কনটেন্ট-ভাবনা ও পারফরমাররা অনেক স্ট্রং। আমরা শেষ হয়ে যাইনি। নিজেদের যতটা নতুন আর আধুনিক ভাবনায় যুক্ত রাখতে পারব, ততটাই দর্শক ধরে রাখতে পারব।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪