ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আমনখেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমণে প্রায় ২০০ বিঘা আমন ধান নষ্ট হয়েছে। কারেন্ট পোকার উৎপাতে দিশেহারা এ অঞ্চলের প্রায় তিন শতাধিক কৃষক। অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে পচে গিয়েছ অনেক ধানগাছ। এই দুইয়ের প্রকোপে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এই কৃষকেরা।
উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের দামোদরকাটি শেখপাড়া মাঠে সরেজমিন দেখা যায়, কিছুদিন আগে যে ধানগাছ নয়নাভিরাম সবুজে ছেয়ে গিয়েছিল সম্প্রতি সেখানে কারেন্ট পোকার আক্রমণ ও উপদ্রব বেড়েছে। ধানগাছগুলো এখন শুকনো ব্যবহারের অযোগ্য খড়ে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে টানা বৃষ্টির পানি খেতে বেড়ে মরা গাছগুলো পচন ধরে ধানগাছ নষ্ট হচ্ছে। উপজেলায় কারেন্ট পোকার উপদ্রব এতটাই বেড়েছে যে, এর আক্রমণ থেকে কোনো ধানখেত রেহাই পাচ্ছে না।
দামোদরকাটি শেখ পাড়া গ্রামের আব্দুল মমিন নামের এক কৃষক জানান, চাষিদের মধ্যে অনেকে ঋণ নিয়ে ধান রোপণ করেছেন। আবার অনেকে হালের গরু বা সম্পত্তি বিক্রি করে লিজের জমিতে ধান চাষ করেছেন। কিন্তু কারেন্ট পোকার আক্রমণের কারণে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘কারেন্ট পোকা’ নামের পরিচিত বাদামি ঘাসফড়িংয়ের আক্রমণে কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। লাখ লাখ পোকা একের পর এক ধানখেত ধ্বংস করে চলেছে।
ইশারুল ইসলাম নামের ধান চাষি বলেন, স্ত্রীর শখের গরু বিক্রি করে আড়াই বিঘা জমি লিজ নিয়েছি। স্বামী-স্ত্রী দুজনে কঠোর পরিশ্রম করে আমন ধান রোপণ করলাম। ধানগাছও ভালো হয়েছিল। তবে কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধানগাছগুলো শুকিয়ে খড়ের মতো হয়ে গেছে। দুই বিঘার সম্পূর্ণ জমিতেই একটুকরো ধান নেওয়ার মতো অবশিষ্ট তেমন গাছ বাকি নেই। এ সময় সরকারের কৃষি বিভাগ ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
শিক্ষক দেশরঞ্জন বলেন, কারেন্ট পোকার বৈশিষ্ট্য হলো, একগুচ্ছ ধানগাছে লাখ লাখ পোকা আক্রমণ করে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত পোকাগুলো পুরো গাছে ছড়িয়ে শুষে রস খায়। সকালে রোদ উঠলে পোকাগুলো গাছের গোড়ায় চলে যায় এবং সেখানে রস শুষে খায়। এভাবে একের পর এক খেতের ধানগাছ খেয়ে তারা ধ্বংস করে ফেলে। এভাবে দামোদরকাটি মাঠের অধিকাংশ খেত সাবাড় হয়ে গেছে। এ জন্য কৃষি অফিসের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আবুল হসান বলেন, হেলাতলা ইউনিয়নের দামোদরকাটি শেখপাড়া মাঠে কারেন্ট পোকায় আক্রান্ত ধানখেত সরেজমিনে পরিদর্শন প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে। আগামীকাল সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলাতে সাড়ে ১২ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। বাদামি ঘাসফড়িংয়ের আক্রমণে এ পর্যন্ত অনেক জমির ধান নষ্ট হয়েছে। হেলাতলা, কয়লা, জয়নগর, সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে কারেন্ট পোকার উপদ্রবের কথা শুনেছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী ধান চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের খুব সচেতন হতে হবে। দামোদরকাটি শেখপাড়া সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা পরামর্শ দেওয়া হবে।
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আমনখেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমণে প্রায় ২০০ বিঘা আমন ধান নষ্ট হয়েছে। কারেন্ট পোকার উৎপাতে দিশেহারা এ অঞ্চলের প্রায় তিন শতাধিক কৃষক। অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে পচে গিয়েছ অনেক ধানগাছ। এই দুইয়ের প্রকোপে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এই কৃষকেরা।
উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের দামোদরকাটি শেখপাড়া মাঠে সরেজমিন দেখা যায়, কিছুদিন আগে যে ধানগাছ নয়নাভিরাম সবুজে ছেয়ে গিয়েছিল সম্প্রতি সেখানে কারেন্ট পোকার আক্রমণ ও উপদ্রব বেড়েছে। ধানগাছগুলো এখন শুকনো ব্যবহারের অযোগ্য খড়ে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে টানা বৃষ্টির পানি খেতে বেড়ে মরা গাছগুলো পচন ধরে ধানগাছ নষ্ট হচ্ছে। উপজেলায় কারেন্ট পোকার উপদ্রব এতটাই বেড়েছে যে, এর আক্রমণ থেকে কোনো ধানখেত রেহাই পাচ্ছে না।
দামোদরকাটি শেখ পাড়া গ্রামের আব্দুল মমিন নামের এক কৃষক জানান, চাষিদের মধ্যে অনেকে ঋণ নিয়ে ধান রোপণ করেছেন। আবার অনেকে হালের গরু বা সম্পত্তি বিক্রি করে লিজের জমিতে ধান চাষ করেছেন। কিন্তু কারেন্ট পোকার আক্রমণের কারণে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘কারেন্ট পোকা’ নামের পরিচিত বাদামি ঘাসফড়িংয়ের আক্রমণে কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। লাখ লাখ পোকা একের পর এক ধানখেত ধ্বংস করে চলেছে।
ইশারুল ইসলাম নামের ধান চাষি বলেন, স্ত্রীর শখের গরু বিক্রি করে আড়াই বিঘা জমি লিজ নিয়েছি। স্বামী-স্ত্রী দুজনে কঠোর পরিশ্রম করে আমন ধান রোপণ করলাম। ধানগাছও ভালো হয়েছিল। তবে কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধানগাছগুলো শুকিয়ে খড়ের মতো হয়ে গেছে। দুই বিঘার সম্পূর্ণ জমিতেই একটুকরো ধান নেওয়ার মতো অবশিষ্ট তেমন গাছ বাকি নেই। এ সময় সরকারের কৃষি বিভাগ ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
শিক্ষক দেশরঞ্জন বলেন, কারেন্ট পোকার বৈশিষ্ট্য হলো, একগুচ্ছ ধানগাছে লাখ লাখ পোকা আক্রমণ করে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত পোকাগুলো পুরো গাছে ছড়িয়ে শুষে রস খায়। সকালে রোদ উঠলে পোকাগুলো গাছের গোড়ায় চলে যায় এবং সেখানে রস শুষে খায়। এভাবে একের পর এক খেতের ধানগাছ খেয়ে তারা ধ্বংস করে ফেলে। এভাবে দামোদরকাটি মাঠের অধিকাংশ খেত সাবাড় হয়ে গেছে। এ জন্য কৃষি অফিসের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আবুল হসান বলেন, হেলাতলা ইউনিয়নের দামোদরকাটি শেখপাড়া মাঠে কারেন্ট পোকায় আক্রান্ত ধানখেত সরেজমিনে পরিদর্শন প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে। আগামীকাল সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলাতে সাড়ে ১২ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। বাদামি ঘাসফড়িংয়ের আক্রমণে এ পর্যন্ত অনেক জমির ধান নষ্ট হয়েছে। হেলাতলা, কয়লা, জয়নগর, সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে কারেন্ট পোকার উপদ্রবের কথা শুনেছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী ধান চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের খুব সচেতন হতে হবে। দামোদরকাটি শেখপাড়া সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা পরামর্শ দেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে