স্বপন নাথ
সরদার ফজলুল করিম (১ মে, ১৯২৫-১৫ জুন, ২০১৪) ছিলেন নিরন্তর সংগ্রামী। যিনি স্বাধীনতা, সমাজতন্ত্র-শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে নিবেদন করেছেন তাঁর ব্যক্তিজীবন। অবশেষে তাঁর ব্যক্তি-‘আমি’ রূপান্তরিত হয় সামষ্টিক ‘আমি’তে। একালে এসে সাধারণ একটি প্রশ্ন উঁকি দেয়—সরদার ফজলুল করিমের মতো ব্যক্তিদের ত্যাগ, ন্যায়বোধ, বিপ্লবচিন্তা, সমাজবোধের কোনো মূল্য আছে কি?
ব্রিটিশ উপনিবেশে তাঁর জন্ম, পাকিস্তানের উপনিবেশে সংগ্রাম ও জীবনের পরিণতি। তাঁর জীবনে কর্মের বিরতি ছিল না, ছিল কারাজীবনের বিরতি। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বছর কেটেছে কারাগারে।
সরদার তাঁর সমকালে যে বিপ্লবী আদর্শে সংগ্রাম করেছেন সমাজ পরিবর্তনের জন্য, সে সময় বিবেচনায় রাখছি। এখন সাধারণ মানুষ প্রকৃতার্থে পণ্যে পরিণত হয়েছে। নিছক ভোক্তা, ক্রেতায় পর্যবসিত হয়েছে। ব্যক্তির সামাজিক পরিচয় এখন খুব শক্তিশালী নয়। বস্তুত বিশ্বসভ্যতার প্রতিটি স্তরই আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনাকে স্পর্শ করে। ফলে এই বিবর্তন সমাজের বহির্জগতে শুধু নয়, মানুষের মনোজগতেও ধাক্কা দিচ্ছে। মানুষের অগ্রগতি এখন মানুষের মানবিক দায়বোধ থেকে সরে যাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্ন সমাজবাস্তবতার সাক্ষ্য দেয়। বস্তুত এই সমাজবাস্তবতা মানবতাকে ধারণ করে না।
সরদার যেখানে মানবতা, সামাজিক দায়দায়িত্বের প্রসঙ্গ লালন করেছেন সারা জীবন। জীবনের ত্যাগ, সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছি এ কারণে যে, এখন আগের তুলনায় প্রথাগত স্রোতে ভাসমান লোকজনের সংখ্যা ক্রমপ্রসারমাণ; এমন পরিপ্রেক্ষিতে সরদারের ভাবাদর্শের কোনো মূল্য আছে কি না, এসব বিবেচনা করা।
১৯৪০ সালে ম্যাট্রিক পাস, অতঃপর বরিশাল থেকে ঢাকা শহরে পৌঁছার মধ্যেই কী এক রোমান্টিকতা ক্রিয়া করেছে তাঁর মনে, মননে—তা তিনি স্মৃতিকথায় বিশদ উল্লেখ করেছেন। তিনি এই ঢাকা শহরে আসতে বরিশালের লঞ্চযাত্রা, চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাট, ঢাকা শহরের সদরঘাট, বাদামতলীর দৃশ্য বিস্ময়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই বিস্ময়ের অধঃক্ষেপ মনের মাঝে রেখে কমিউনিস্ট পার্টি ও রাজনৈতিক কাজে নিজেকে সক্রিয় করে তোলেন। তারপর আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন শুরু হয় ১৯৪৮ সালে। শোষণমুক্তি-সমাজতন্ত্রের সংগ্রামে কখনো তাঁর বিচ্যুতি লক্ষ করা যায়নি। বস্তুত রাজনীতি, সমাজবোধে উদ্বুদ্ধ তাঁর মতো অনন্য ব্যক্তি পাওয়া দুর্লভ। বিপ্লবী পথে তাঁর জীবন উৎসর্গ ও বিসর্জনের গল্প এই প্রজন্মের কাছে রূপকথার মতো শোনাবে।
তাঁর সমূহ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তিনি জাগতিক লাভজনক অনেক কিছুই গ্রহণ করেননি, আনন্দের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছেন আকর্ষণীয় চাকরি ও বৈদেশিক বৃত্তি। বস্তুত সমাজের বিকাশ নির্ভর করছে ত্যাগ ও বর্জনের ওপর। বিসর্জনের পাল্লাটা সব সময়ই কম। যুদ্ধে যে সৈনিক জীবনদানের জন্য স্বপ্রণোদিতভাবে এগিয়ে যায়, তার কাছে কোনো চাওয়া-পাওয়ার হিসাব থাকে না। সরদারও ছিলেন নিরন্তর বিপ্লবী। গবেষক মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেছেন, ‘আমার চরিত্রের বৈশিষ্ট্যই হলো আহরণ করা, ভোগের নয়। আমি প্রীতির মানুষ। আমি প্রায়ই বলে থাকি, আমি ভালোবাসার ভৃত্য। আমার যা প্রাপ্য নয়, আমি তা পেয়েছি। আমি ঈশ্বর বা আল্লাহ মানি বা না মানি, কিন্তু আমি জীবনে যা পাওয়ার নয় তা-ও পেয়েছি। আমার জীবনে লোকসান বলে কোনো কিছু নেই। আমি লাভের উপযুক্ত নই। আমি জীবনে লাভের কোনো বিষয় নিয়ে ভাবিনি।...যার জীবন সে জানে, অন্য কেউ সেটা জানতে পারে না। জীবন দেওয়া বাদে জীবনের ঋণ শোধ করা যায় না।’
মূলত সরদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে চমৎকার একটি জীবন কাটিয়ে দিতে পারতেন। দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিও ছেড়েছেন। অনিশ্চিত জীবন বেছে নিয়েছেন শোষণমুক্তির আশায়। এ এক আলাদা জীবন, যা আর দশজনের সঙ্গে মেলে না। তিনি প্রথাগত শিক্ষক বা গবেষক হতে চাননি। কারণ, তিনি জীবনকে পাঠ ও উপলব্ধি করেছেন। জীবন পাঠ ও জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ তো ব্যক্তির অনন্যতা। শিক্ষকতা পেশায় থেকেও প্রথাগত গবেষণামূলক কোনো কাজ করেননি। স্মৃতিকথা, অনুবাদ, অভিভাষণ ও মনীষী বিষয়ক লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। স্মৃতিকথার আশ্রয়ে তিনি বলেছেন রাষ্ট্র, সমাজ পরিবর্তন, দর্শন ও রাজনীতির কথা। এই সূত্রে লেখালেখি বা আদর্শ প্রচারের ভিন্ন কাঠামো উপলব্ধি করি। তাঁর লেখা শুধু স্মৃতিকথায় সীমাবদ্ধ নয়, একই সঙ্গে ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের বয়ান, একালের পাঠকসমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; যা কিনা প্রচলিত পাঠ থেকে আলাদা। তাঁর লেখা ও বয়ানের ব্যতিক্রম উপলব্ধি সবার মতো নয়।
জাগতিক বৈশিষ্ট্য ও নানা পরিবর্তনের মধ্যে মানুষের জীবন খুবই আপেক্ষিক ও সাপেক্ষমূলক। বিবেচনা করতেই পারি—একটি মনুষ্য জীবন উৎসর্গ করার কী এমন অর্থ হতে পারে। এ জীবন যেকোনোভাবে চালানো যায়। তবে উন্মেষপর্ব থেকে উৎসর্গের ধারাবাহিকতার উদাহরণসুলভ। ফলে সরদারকে সে পথেই যেতে হয়েছে। সেখানে একটি সিদ্ধান্তের বিষয় জড়িত—কোন পথে আমি যাব। সরদার মানবমুক্তির সেই ধারাবাহিক সংগ্রামেই নিজেকে নিবেদন করেছেন। চিরাচরিত মূল্যবোধে সঁপে দেননি, করেছেন জীবনার্থের সন্ধান। আমরা তাঁর লেখা ছাড়া শুধু যদি জীবন সম্পর্কে ব্যক্তি-উপলব্ধির সূত্রগুলো বাছাই করি, তাহলে এ সত্য প্রমাণিত হয়। এত দৃঢ়তা, লক্ষ্যভেদী সংগ্রামের উদাহরণ খুব কমই আমাদের কাছে রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে ন্যায়, সমাজরূপান্তর, শ্রমজীবী মানুষের মুক্তিসংগ্রাম ও সংগঠকের অনন্য এক প্রতিষ্ঠান সরদার ফজলুল করিম।
লেখক: উপপরিচালক, নায়েম, ঢাকা
সরদার ফজলুল করিম (১ মে, ১৯২৫-১৫ জুন, ২০১৪) ছিলেন নিরন্তর সংগ্রামী। যিনি স্বাধীনতা, সমাজতন্ত্র-শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে নিবেদন করেছেন তাঁর ব্যক্তিজীবন। অবশেষে তাঁর ব্যক্তি-‘আমি’ রূপান্তরিত হয় সামষ্টিক ‘আমি’তে। একালে এসে সাধারণ একটি প্রশ্ন উঁকি দেয়—সরদার ফজলুল করিমের মতো ব্যক্তিদের ত্যাগ, ন্যায়বোধ, বিপ্লবচিন্তা, সমাজবোধের কোনো মূল্য আছে কি?
ব্রিটিশ উপনিবেশে তাঁর জন্ম, পাকিস্তানের উপনিবেশে সংগ্রাম ও জীবনের পরিণতি। তাঁর জীবনে কর্মের বিরতি ছিল না, ছিল কারাজীবনের বিরতি। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বছর কেটেছে কারাগারে।
সরদার তাঁর সমকালে যে বিপ্লবী আদর্শে সংগ্রাম করেছেন সমাজ পরিবর্তনের জন্য, সে সময় বিবেচনায় রাখছি। এখন সাধারণ মানুষ প্রকৃতার্থে পণ্যে পরিণত হয়েছে। নিছক ভোক্তা, ক্রেতায় পর্যবসিত হয়েছে। ব্যক্তির সামাজিক পরিচয় এখন খুব শক্তিশালী নয়। বস্তুত বিশ্বসভ্যতার প্রতিটি স্তরই আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনাকে স্পর্শ করে। ফলে এই বিবর্তন সমাজের বহির্জগতে শুধু নয়, মানুষের মনোজগতেও ধাক্কা দিচ্ছে। মানুষের অগ্রগতি এখন মানুষের মানবিক দায়বোধ থেকে সরে যাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্ন সমাজবাস্তবতার সাক্ষ্য দেয়। বস্তুত এই সমাজবাস্তবতা মানবতাকে ধারণ করে না।
সরদার যেখানে মানবতা, সামাজিক দায়দায়িত্বের প্রসঙ্গ লালন করেছেন সারা জীবন। জীবনের ত্যাগ, সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছি এ কারণে যে, এখন আগের তুলনায় প্রথাগত স্রোতে ভাসমান লোকজনের সংখ্যা ক্রমপ্রসারমাণ; এমন পরিপ্রেক্ষিতে সরদারের ভাবাদর্শের কোনো মূল্য আছে কি না, এসব বিবেচনা করা।
১৯৪০ সালে ম্যাট্রিক পাস, অতঃপর বরিশাল থেকে ঢাকা শহরে পৌঁছার মধ্যেই কী এক রোমান্টিকতা ক্রিয়া করেছে তাঁর মনে, মননে—তা তিনি স্মৃতিকথায় বিশদ উল্লেখ করেছেন। তিনি এই ঢাকা শহরে আসতে বরিশালের লঞ্চযাত্রা, চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাট, ঢাকা শহরের সদরঘাট, বাদামতলীর দৃশ্য বিস্ময়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই বিস্ময়ের অধঃক্ষেপ মনের মাঝে রেখে কমিউনিস্ট পার্টি ও রাজনৈতিক কাজে নিজেকে সক্রিয় করে তোলেন। তারপর আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন শুরু হয় ১৯৪৮ সালে। শোষণমুক্তি-সমাজতন্ত্রের সংগ্রামে কখনো তাঁর বিচ্যুতি লক্ষ করা যায়নি। বস্তুত রাজনীতি, সমাজবোধে উদ্বুদ্ধ তাঁর মতো অনন্য ব্যক্তি পাওয়া দুর্লভ। বিপ্লবী পথে তাঁর জীবন উৎসর্গ ও বিসর্জনের গল্প এই প্রজন্মের কাছে রূপকথার মতো শোনাবে।
তাঁর সমূহ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তিনি জাগতিক লাভজনক অনেক কিছুই গ্রহণ করেননি, আনন্দের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছেন আকর্ষণীয় চাকরি ও বৈদেশিক বৃত্তি। বস্তুত সমাজের বিকাশ নির্ভর করছে ত্যাগ ও বর্জনের ওপর। বিসর্জনের পাল্লাটা সব সময়ই কম। যুদ্ধে যে সৈনিক জীবনদানের জন্য স্বপ্রণোদিতভাবে এগিয়ে যায়, তার কাছে কোনো চাওয়া-পাওয়ার হিসাব থাকে না। সরদারও ছিলেন নিরন্তর বিপ্লবী। গবেষক মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেছেন, ‘আমার চরিত্রের বৈশিষ্ট্যই হলো আহরণ করা, ভোগের নয়। আমি প্রীতির মানুষ। আমি প্রায়ই বলে থাকি, আমি ভালোবাসার ভৃত্য। আমার যা প্রাপ্য নয়, আমি তা পেয়েছি। আমি ঈশ্বর বা আল্লাহ মানি বা না মানি, কিন্তু আমি জীবনে যা পাওয়ার নয় তা-ও পেয়েছি। আমার জীবনে লোকসান বলে কোনো কিছু নেই। আমি লাভের উপযুক্ত নই। আমি জীবনে লাভের কোনো বিষয় নিয়ে ভাবিনি।...যার জীবন সে জানে, অন্য কেউ সেটা জানতে পারে না। জীবন দেওয়া বাদে জীবনের ঋণ শোধ করা যায় না।’
মূলত সরদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে চমৎকার একটি জীবন কাটিয়ে দিতে পারতেন। দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিও ছেড়েছেন। অনিশ্চিত জীবন বেছে নিয়েছেন শোষণমুক্তির আশায়। এ এক আলাদা জীবন, যা আর দশজনের সঙ্গে মেলে না। তিনি প্রথাগত শিক্ষক বা গবেষক হতে চাননি। কারণ, তিনি জীবনকে পাঠ ও উপলব্ধি করেছেন। জীবন পাঠ ও জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ তো ব্যক্তির অনন্যতা। শিক্ষকতা পেশায় থেকেও প্রথাগত গবেষণামূলক কোনো কাজ করেননি। স্মৃতিকথা, অনুবাদ, অভিভাষণ ও মনীষী বিষয়ক লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। স্মৃতিকথার আশ্রয়ে তিনি বলেছেন রাষ্ট্র, সমাজ পরিবর্তন, দর্শন ও রাজনীতির কথা। এই সূত্রে লেখালেখি বা আদর্শ প্রচারের ভিন্ন কাঠামো উপলব্ধি করি। তাঁর লেখা শুধু স্মৃতিকথায় সীমাবদ্ধ নয়, একই সঙ্গে ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের বয়ান, একালের পাঠকসমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; যা কিনা প্রচলিত পাঠ থেকে আলাদা। তাঁর লেখা ও বয়ানের ব্যতিক্রম উপলব্ধি সবার মতো নয়।
জাগতিক বৈশিষ্ট্য ও নানা পরিবর্তনের মধ্যে মানুষের জীবন খুবই আপেক্ষিক ও সাপেক্ষমূলক। বিবেচনা করতেই পারি—একটি মনুষ্য জীবন উৎসর্গ করার কী এমন অর্থ হতে পারে। এ জীবন যেকোনোভাবে চালানো যায়। তবে উন্মেষপর্ব থেকে উৎসর্গের ধারাবাহিকতার উদাহরণসুলভ। ফলে সরদারকে সে পথেই যেতে হয়েছে। সেখানে একটি সিদ্ধান্তের বিষয় জড়িত—কোন পথে আমি যাব। সরদার মানবমুক্তির সেই ধারাবাহিক সংগ্রামেই নিজেকে নিবেদন করেছেন। চিরাচরিত মূল্যবোধে সঁপে দেননি, করেছেন জীবনার্থের সন্ধান। আমরা তাঁর লেখা ছাড়া শুধু যদি জীবন সম্পর্কে ব্যক্তি-উপলব্ধির সূত্রগুলো বাছাই করি, তাহলে এ সত্য প্রমাণিত হয়। এত দৃঢ়তা, লক্ষ্যভেদী সংগ্রামের উদাহরণ খুব কমই আমাদের কাছে রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে ন্যায়, সমাজরূপান্তর, শ্রমজীবী মানুষের মুক্তিসংগ্রাম ও সংগঠকের অনন্য এক প্রতিষ্ঠান সরদার ফজলুল করিম।
লেখক: উপপরিচালক, নায়েম, ঢাকা
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে