মাসুদুর রহমান মাসুদ,ঝিকরগাছা (যশোর)
‘বাংলাদেশ বেতার। খবর পড়ছি…’ অথবা ‘এখন শুনবেন ছায়াছবির গানের অনুষ্ঠান…’ শব্দতরঙ্গে ভেসে আসা এসব ঘোষণার এক দারুণ মোহ ছিল একসময়। সকাল, সন্ধ্যা কিংবা রাত, সংবাদ অথবা সংগীত—দুটিতেই মন মাতাত বেতার বা রেডিও। ১৯৭১ সালে গোল হয়ে বেতারে সংবাদ শোনার গল্প এখনো কিংবদন্তির মতো ছড়িয়ে আছে। কিন্তু এই ২০২৩ সালে, যখন চারদিকে ডিজিটাল মাধ্যমের জয়জয়কার, এমন দিনেও রেডিও শোনেন মো. আবদুস সাত্তার। বাড়িতে টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন থাকার পরও প্রায় ৪৭ বছর ধরে রেডিও শুনে চলেছেন তিনি! আবদুস সাত্তারের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বল্লা গ্রামে।
শ্রোতা হিসেবে রেডিওর খবর, খেলার ধারাবিবরণী, সংসদ অধিবেশন, নাটক, গানসহ সবই শোনেন আবদুস সাত্তার। তিনি দেশের রেডিও চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান শোনেন নিয়মিত। সেই সঙ্গে শুনতেন বিবিসি বাংলা, রেডিও জাপান, চীন আন্তর্জাতিক রেডিও, রেডিও ভেরিতাস এশিয়া (আরভিএ) এবং আকাশবাণী কলকাতার খবর। তাঁর জীবদ্দশাতেই অনেক রেডিও চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে। বিবিসি বাংলার সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার খবরে কষ্ট পেয়েছেন তিনি।
আবদুস সাত্তার ঝিকরগাছা উপজেলার বেজিয়াতলা গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে। ১৯৭২ সালে তাঁর এক নিকটাত্মীয় গোলাম রসুল তাঁকে বল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করে দেন। তখন থেকে সাত্তার বল্লায় গোলাম রসুলের বাড়িতে থাকতেন। বল্লা বাজারে গোলাম রসুলদের মুদিদোকান ছিল। অন্যদের মতো সেখানে থাকা রেডিওটির শ্রোতা ছিলেন সাত্তারও। ১৯৭৬ সালে গোলাম রসুল দোকানটি সাত্তারকে দিয়ে দেন। সেই সূত্রে দোকানে থাকা রেডিওটির মালিক বনে যান সাত্তার। রেডিটি তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে যায়। সে রেডিওটি পুরোনো হয়ে গেলে ১৯৮০ সালে তিনি ২০০ টাকা দিয়ে একটি চায়না রেডিও কেনেন। এ পর্যন্ত তিনি ৮ থেকে ১০টি ব্র্যান্ডের রেডিও কিনেছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ৬৫০ টাকায় কিনেছেন ভারতীয় সন্তোষ ব্র্যান্ডের রেডিও। সেই রেডিও এখন সাত্তারের সঙ্গী।
আবদুস সাত্তারের রেডিও শোনার বিষয়টি এলাকার সবার জানা। পার্শ্ববর্তী কুলিয়া সিদ্দীয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা জবেদ আলী জানালেন, সহজ-সরল সাত্তারের দেশ-বিদেশের খবরের প্রতি আগ্রহ আছে। তিনি নিয়মিত পত্রিকা কেনেন এবং পাঠ করেন। তারপরও সব সময় রেডিও শোনেন। তাঁকে ছাড়া রেডিও শোনার লোক এখন তেমন দেখা যায় না।
আবদুস সাত্তারের সঙ্গে কথা হয় এক বিকেলে। রেডিও শোনার অনেক স্মৃতি তাঁর মনে পড়ে এখনো। ১৯৯০ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় রেডিও শুনতে বহু মানুষ তাঁর পাশে জড়ো হতো খবরের সময়। এখন আর মানুষ রেডিওতে খবর শুনতে আসে না। এতে তাঁর মন খারাপ হয় বটে। সে জন্যই কাজের ফাঁকে মাঠে সময় পেলেই রেডিও শোনেন। সাত্তার বলেন, ‘অবসাদ, অশান্তি ও একাকিত্বে রেডিও ভালো সঙ্গী। লোকে যা-ই বলুক, আমি রেডিও শুনে শান্তি পাই।’
‘বাংলাদেশ বেতার। খবর পড়ছি…’ অথবা ‘এখন শুনবেন ছায়াছবির গানের অনুষ্ঠান…’ শব্দতরঙ্গে ভেসে আসা এসব ঘোষণার এক দারুণ মোহ ছিল একসময়। সকাল, সন্ধ্যা কিংবা রাত, সংবাদ অথবা সংগীত—দুটিতেই মন মাতাত বেতার বা রেডিও। ১৯৭১ সালে গোল হয়ে বেতারে সংবাদ শোনার গল্প এখনো কিংবদন্তির মতো ছড়িয়ে আছে। কিন্তু এই ২০২৩ সালে, যখন চারদিকে ডিজিটাল মাধ্যমের জয়জয়কার, এমন দিনেও রেডিও শোনেন মো. আবদুস সাত্তার। বাড়িতে টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন থাকার পরও প্রায় ৪৭ বছর ধরে রেডিও শুনে চলেছেন তিনি! আবদুস সাত্তারের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বল্লা গ্রামে।
শ্রোতা হিসেবে রেডিওর খবর, খেলার ধারাবিবরণী, সংসদ অধিবেশন, নাটক, গানসহ সবই শোনেন আবদুস সাত্তার। তিনি দেশের রেডিও চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান শোনেন নিয়মিত। সেই সঙ্গে শুনতেন বিবিসি বাংলা, রেডিও জাপান, চীন আন্তর্জাতিক রেডিও, রেডিও ভেরিতাস এশিয়া (আরভিএ) এবং আকাশবাণী কলকাতার খবর। তাঁর জীবদ্দশাতেই অনেক রেডিও চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে। বিবিসি বাংলার সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার খবরে কষ্ট পেয়েছেন তিনি।
আবদুস সাত্তার ঝিকরগাছা উপজেলার বেজিয়াতলা গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে। ১৯৭২ সালে তাঁর এক নিকটাত্মীয় গোলাম রসুল তাঁকে বল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করে দেন। তখন থেকে সাত্তার বল্লায় গোলাম রসুলের বাড়িতে থাকতেন। বল্লা বাজারে গোলাম রসুলদের মুদিদোকান ছিল। অন্যদের মতো সেখানে থাকা রেডিওটির শ্রোতা ছিলেন সাত্তারও। ১৯৭৬ সালে গোলাম রসুল দোকানটি সাত্তারকে দিয়ে দেন। সেই সূত্রে দোকানে থাকা রেডিওটির মালিক বনে যান সাত্তার। রেডিটি তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে যায়। সে রেডিওটি পুরোনো হয়ে গেলে ১৯৮০ সালে তিনি ২০০ টাকা দিয়ে একটি চায়না রেডিও কেনেন। এ পর্যন্ত তিনি ৮ থেকে ১০টি ব্র্যান্ডের রেডিও কিনেছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ৬৫০ টাকায় কিনেছেন ভারতীয় সন্তোষ ব্র্যান্ডের রেডিও। সেই রেডিও এখন সাত্তারের সঙ্গী।
আবদুস সাত্তারের রেডিও শোনার বিষয়টি এলাকার সবার জানা। পার্শ্ববর্তী কুলিয়া সিদ্দীয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা জবেদ আলী জানালেন, সহজ-সরল সাত্তারের দেশ-বিদেশের খবরের প্রতি আগ্রহ আছে। তিনি নিয়মিত পত্রিকা কেনেন এবং পাঠ করেন। তারপরও সব সময় রেডিও শোনেন। তাঁকে ছাড়া রেডিও শোনার লোক এখন তেমন দেখা যায় না।
আবদুস সাত্তারের সঙ্গে কথা হয় এক বিকেলে। রেডিও শোনার অনেক স্মৃতি তাঁর মনে পড়ে এখনো। ১৯৯০ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় রেডিও শুনতে বহু মানুষ তাঁর পাশে জড়ো হতো খবরের সময়। এখন আর মানুষ রেডিওতে খবর শুনতে আসে না। এতে তাঁর মন খারাপ হয় বটে। সে জন্যই কাজের ফাঁকে মাঠে সময় পেলেই রেডিও শোনেন। সাত্তার বলেন, ‘অবসাদ, অশান্তি ও একাকিত্বে রেডিও ভালো সঙ্গী। লোকে যা-ই বলুক, আমি রেডিও শুনে শান্তি পাই।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪