নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
শরীয়তপুর সদর উপজেলার অন্তত ৪২ শতাংশ গভীর ও অগভীর নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সরকারি এই সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী গত এক মাসে জেলা সদরের ৫ হাজার ৯২৮টি নলকূপের পানি পরীক্ষায় ২ হাজার ৪৯০টি নলকূপের পানিতে শূন্য দশমিক ৪ থেকে শূন্য দশমিক ৫ মাত্রার আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে; যা আর্সেনিকের স্বাভাবিক উপস্থিতির প্রায় ১০ গুণ।
পানির বিকল্প উৎস না থাকাসহ নানা অজুহাতে আর্সেনিক শনাক্ত হওয়া প্রায় প্রতিটি নলকূপের পানিই ব্যবহার করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে তারা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে।
শরীয়তপুর সদর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলা সদরের ১১টি ইউনিয়নের প্রতিটি নলকূপের পানি পরীক্ষা করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি ইউনিয়নে মোট ৬ জন করে প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকের দল এই জরিপকাজ পরিচালনা করে। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৫০০ করে মোট ২৭ হাজার ৫০০ গভীর ও অগভীর নলকূপের পানি পরীক্ষা করা হচ্ছে। ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির আওতায় পরীক্ষা করা নলকূপের মধ্যে ৪২ শতাংশ নলকূপে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আর্সেনিক শনাক্ত হওয়া নলকূপের মধ্যে প্রায় সবই অগভীর নলকূপ। পরীক্ষায় আর্সেনিকের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া প্রতিটি নলকূপের মুখ লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা। বাড়ির প্রত্যেক সদস্যকে ওই সব কলের পানি পান করা কিংবা রান্না করার কাজে ব্যবহার না করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে জেলা সদরের তুলাশার, ডোমসার ও চিকন্দি ইউনিয়নের অন্তত ৮টি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অনেক বাড়িতে থাকা নলকূপের মুখ লাল রং করা। বিপজ্জনক জেনেও এসব কলের পানি থালাবাসন, কাপড়চোপড় ধোয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করছে প্রায় প্রতিটি বাড়ির সদস্যরা।
লাল রং করা নলকূপের পানি দিয়ে তরকারি ও চাল, ডাল ধুয়ে রান্না করছেন ডোমসার ইউনিয়নের সুজনদোয়াল গ্রামের গৃহবধূ রোজিনা বেগম। এ সময় বলেন, ‘তিন দিন আগে সরকারি লোক আইয়া আমাগো কল পরীক্ষা করছে। কলের পানিতে নাকি আর্সেনিক পাওয়া গেছে। তার জন্য তারা কলের মুখ লাল রং কইরা দিছে। আমাগে আশে পাশে কোন পুশকুনি (পুকুর) নাই। তাই কোনো উপায় না পাইয়া আমরা এই পানিই ব্যবহার করছি।’
লাল রং করা একটি নলকূপ থেকে পানি পান করছেন কোটাপাড়া গ্রামের রাবিয়া বেগম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী করমু কন? আমরা গরিব মানুষ। অনেক কষ্ট কইরা এই ছোড কলডা (অগভীর নলকূপ) গাড়ছিলাম। অহন কারা যানি আইয়ার পরীক্ষা কইরা এইডার পানি না খাইতে কইয়া গেছে। পানি কই পাইমু?’
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ দলের স্বেচ্ছাসেবক মো. রাহাত বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করি। ডোমসার ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রামের নলকূপেই আর্সেনিকের মাত্রা খুব বেশি পাওয়া গেছে।’
শরীয়তপুর সদর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী ফারুক মণ্ডল বলেন, জরিপের ফলাফল অনুযায়ী সদর উপজেলার প্রায় প্রতিটি অগভীর নলকূপের পানিতেই মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে। মানুষকে আর্সেনিক থাকা নলকূপের পানি পান করা বা রান্নার কাজে ব্যবহার করতে নিষেধ করা হচ্ছে। তবে এসব নলকূপের পানি ধোয়া বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, আর্সেনিক একটি বিষ। আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া জটিল চর্মরোগে আক্রান্তের পাশাপাশি লিভার, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার অন্তত ৪২ শতাংশ গভীর ও অগভীর নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সরকারি এই সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী গত এক মাসে জেলা সদরের ৫ হাজার ৯২৮টি নলকূপের পানি পরীক্ষায় ২ হাজার ৪৯০টি নলকূপের পানিতে শূন্য দশমিক ৪ থেকে শূন্য দশমিক ৫ মাত্রার আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে; যা আর্সেনিকের স্বাভাবিক উপস্থিতির প্রায় ১০ গুণ।
পানির বিকল্প উৎস না থাকাসহ নানা অজুহাতে আর্সেনিক শনাক্ত হওয়া প্রায় প্রতিটি নলকূপের পানিই ব্যবহার করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে তারা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে।
শরীয়তপুর সদর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলা সদরের ১১টি ইউনিয়নের প্রতিটি নলকূপের পানি পরীক্ষা করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি ইউনিয়নে মোট ৬ জন করে প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকের দল এই জরিপকাজ পরিচালনা করে। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৫০০ করে মোট ২৭ হাজার ৫০০ গভীর ও অগভীর নলকূপের পানি পরীক্ষা করা হচ্ছে। ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির আওতায় পরীক্ষা করা নলকূপের মধ্যে ৪২ শতাংশ নলকূপে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আর্সেনিক শনাক্ত হওয়া নলকূপের মধ্যে প্রায় সবই অগভীর নলকূপ। পরীক্ষায় আর্সেনিকের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া প্রতিটি নলকূপের মুখ লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা। বাড়ির প্রত্যেক সদস্যকে ওই সব কলের পানি পান করা কিংবা রান্না করার কাজে ব্যবহার না করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে জেলা সদরের তুলাশার, ডোমসার ও চিকন্দি ইউনিয়নের অন্তত ৮টি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অনেক বাড়িতে থাকা নলকূপের মুখ লাল রং করা। বিপজ্জনক জেনেও এসব কলের পানি থালাবাসন, কাপড়চোপড় ধোয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করছে প্রায় প্রতিটি বাড়ির সদস্যরা।
লাল রং করা নলকূপের পানি দিয়ে তরকারি ও চাল, ডাল ধুয়ে রান্না করছেন ডোমসার ইউনিয়নের সুজনদোয়াল গ্রামের গৃহবধূ রোজিনা বেগম। এ সময় বলেন, ‘তিন দিন আগে সরকারি লোক আইয়া আমাগো কল পরীক্ষা করছে। কলের পানিতে নাকি আর্সেনিক পাওয়া গেছে। তার জন্য তারা কলের মুখ লাল রং কইরা দিছে। আমাগে আশে পাশে কোন পুশকুনি (পুকুর) নাই। তাই কোনো উপায় না পাইয়া আমরা এই পানিই ব্যবহার করছি।’
লাল রং করা একটি নলকূপ থেকে পানি পান করছেন কোটাপাড়া গ্রামের রাবিয়া বেগম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী করমু কন? আমরা গরিব মানুষ। অনেক কষ্ট কইরা এই ছোড কলডা (অগভীর নলকূপ) গাড়ছিলাম। অহন কারা যানি আইয়ার পরীক্ষা কইরা এইডার পানি না খাইতে কইয়া গেছে। পানি কই পাইমু?’
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ দলের স্বেচ্ছাসেবক মো. রাহাত বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করি। ডোমসার ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রামের নলকূপেই আর্সেনিকের মাত্রা খুব বেশি পাওয়া গেছে।’
শরীয়তপুর সদর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী ফারুক মণ্ডল বলেন, জরিপের ফলাফল অনুযায়ী সদর উপজেলার প্রায় প্রতিটি অগভীর নলকূপের পানিতেই মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে। মানুষকে আর্সেনিক থাকা নলকূপের পানি পান করা বা রান্নার কাজে ব্যবহার করতে নিষেধ করা হচ্ছে। তবে এসব নলকূপের পানি ধোয়া বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, আর্সেনিক একটি বিষ। আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া জটিল চর্মরোগে আক্রান্তের পাশাপাশি লিভার, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে