Ajker Patrika

‘বানের পানি আইসলে ছাও পাও স্কুল যাবার পায় না’

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ মে ২০২২, ১৭: ৩২
‘বানের পানি আইসলে ছাও পাও স্কুল যাবার পায় না’

‘বানের পানি আইসলে হামার বিপদ হয়, ছাও-পাও স্কুল যাবার পায় না, হাটবাজার করবের পায় না। অল্প এহনা ঝড়ি হইলে পানি জমি থাকে।’ নিজেদের দুর্ভোগের কথা বলেতে গিয়ে এসব কথা বলেন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের সুরাইয়া বেগম (৪৫) ও আমিনুল ইসলাম (৫২)।

জানা গেছে, রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার মাঠের পাড় ভোলার ছড়ায় ২০১৫ সালের বন্যায় ভেঙে যায় ৩০ মিটার রাস্তা। স্থানীয় লোকজনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মাধ্যমে দুর্ভোগ কমাতে একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাশে গ্রামবাসীর উদ্যোগ নিয়ে আরেকটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে।

উপজেলার গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী আতিকা ও মারুফা আক্তার বলেন, ‘আমরা এই ভাঙা সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন কলেজে যাতায়াত করি। এইদিক দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় লাগে, নড়বড়ে সাঁকোটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এখন যদি সরকার এখানে একটা রাস্তাসহ সেতু নির্মাণ করে দেয় তাহলে ভালোভাবে চলাচল করতে পারব।’

স্থানীয় সুফিয়া বেগম (৫০) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বানের পানি আইসলে ছাও পাওয়া নিয়ে খুব বিপদে পড়তে হয়। কখন জানি পানিতে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনসুর আলী বলেন, ‘বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। যদি এটা স্থানীয় প্রশাসন নজরে নিয়ে রাস্তাসহ একটি সেতু করে দেয় তাহলে এই দুর্ভোগ থেকে এখানকার মানুষ মুক্তি পাবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি এখনো শুনিনি। সরেজমিনে গিয়ে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নিব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত