নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ডিজেল ও সারের দাম বাড়ায় আমন মৌসুমে ধান চাষে খরচ বেড়েছে। এ ছাড়া বেড়েছে কৃষিশ্রমিকের মজুরি। এতে ধান চাষের শুরুতেই বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
নাগেশ্বরীতে চলতি মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বেশির ভাগ জমি চাষ করতে হয়েছে ডিজেলচালিত সেচব্যবস্থায়। এতে ঘণ্টায় এক লিটার ডিজেলসহ সেচ পাম্পের মালিককে ১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে বৈদ্যুতিক মোটরে এক বিঘা জমিতে সেচ দিতে কৃষককে গুনতে হচ্ছে ২০০ টাকা। এক বিঘা জমি চাষের উপযোগী করতে তিন ঘণ্টা সময় লাগছে। এতে ডিজেল লাগছে তিন লিটার, ডিজেল কিনতে হচ্ছে ১১৪ টাকায়। এতে সব মিলিয়ে এক বিঘা জমি ভেজাতে খরচ হচ্ছে ৬৫০ টাকা।
এদিকে ডিজেলের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে হালচাষে। আগে পাওয়ারটিলার অথবা ট্রাক্টরে এক বিঘা জমি চাষ করতে খরচ হতো ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এখন সমপরিমাণ জমি হালচাষে খরচ হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। বেড়েছে শ্রমিকের মজুরি। আগে ৪০০ টাকায় একজন শ্রমিক মিললেও এখন ৬০০ টাকায় পাওয়াও দুষ্কর।
বাজারে রাসায়নিক সারের দাম বেড়েছে। কেজিপ্রতি ৬ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে ইউরিয়া। আগে এক কেজি ইউরিয়া ১৬ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন কিনতে হচ্ছে ২২ টাকায়। বেড়েছে মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) ও ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম। এ ছাড়া এমওপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, নাগেশ্বরীতে ২৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর জন্য ৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া, ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ লিটার ডিজেলের চাহিদা রয়েছে।
কৃষকেরা জানান, এক বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে খরচ হচ্ছে ৬ হাজার টাকা। এরপর নিড়ানি, কীটনাশক, সারসহ কাটা-মাড়াই খরচ আছে। এবার ধান চাষে লোকসান হতে পারে।
উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ছিলাখানা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি ১৫ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করছেন। সার, জ্বালানি তেল, কৃষিশ্রমিকের মজুরি, চারা রোপণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ফসল ফলাতে তাঁকে গতবারের চেয়ে এবার বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে। কিন্তু মৌসুম শেষে উৎপাদন খরচ উঠবে কি না, তা নিয়ে তাঁর শঙ্কা রয়েছে। যদি কোনো কারণে ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া না যায়, তাহলে তাঁকে লোকসান গুনতে হবে।
বৈদ্যুতিক মোটরে ১ বিঘা জমিতে সেচ দিতে কৃষককে গুনতে হচ্ছে ২০০ টাকা। জমি চাষের উপযোগী করতে ৩ ঘণ্টা সময় লাগছে। এতে ডিজেল লাগছে ৩ লিটার, কিনতে হচ্ছে ১১৪ টাকায়। সব মিলিয়ে ১ বিঘা জমি ভেজাতে খরচ হচ্ছে ৬৫০ টাকা।
ছিলাখানা গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কষ্ট করে ফসল ফলাই, কিন্তু সঠিক দাম পাই না। এবার তো সবকিছুর দাম বেড়েছে।’ একই কথা বলেন উপজেলার নেওয়াশী গ্রামের মিজানুর রহমান, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তেলিয়ানীরপাড় এলাকার ওছমান গণি, পৌরসভার মমিনগঞ্জের আবু আব্দুল্লাহসহ অনেকে।
উপজেলা জ্যেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, রাসায়নিক সার ও জ্বালানি তেলসহ আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমন চাষে কৃষকের ব্যয় বেড়েছে। ধানের দাম বাড়লে কৃষকের জন্য তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া খরচ সাশ্রয়ে জমিতে পরিমিত মাত্রায় সার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ডিজেল ও সারের দাম বাড়ায় আমন মৌসুমে ধান চাষে খরচ বেড়েছে। এ ছাড়া বেড়েছে কৃষিশ্রমিকের মজুরি। এতে ধান চাষের শুরুতেই বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
নাগেশ্বরীতে চলতি মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বেশির ভাগ জমি চাষ করতে হয়েছে ডিজেলচালিত সেচব্যবস্থায়। এতে ঘণ্টায় এক লিটার ডিজেলসহ সেচ পাম্পের মালিককে ১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে বৈদ্যুতিক মোটরে এক বিঘা জমিতে সেচ দিতে কৃষককে গুনতে হচ্ছে ২০০ টাকা। এক বিঘা জমি চাষের উপযোগী করতে তিন ঘণ্টা সময় লাগছে। এতে ডিজেল লাগছে তিন লিটার, ডিজেল কিনতে হচ্ছে ১১৪ টাকায়। এতে সব মিলিয়ে এক বিঘা জমি ভেজাতে খরচ হচ্ছে ৬৫০ টাকা।
এদিকে ডিজেলের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে হালচাষে। আগে পাওয়ারটিলার অথবা ট্রাক্টরে এক বিঘা জমি চাষ করতে খরচ হতো ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এখন সমপরিমাণ জমি হালচাষে খরচ হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। বেড়েছে শ্রমিকের মজুরি। আগে ৪০০ টাকায় একজন শ্রমিক মিললেও এখন ৬০০ টাকায় পাওয়াও দুষ্কর।
বাজারে রাসায়নিক সারের দাম বেড়েছে। কেজিপ্রতি ৬ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে ইউরিয়া। আগে এক কেজি ইউরিয়া ১৬ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন কিনতে হচ্ছে ২২ টাকায়। বেড়েছে মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) ও ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম। এ ছাড়া এমওপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, নাগেশ্বরীতে ২৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর জন্য ৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া, ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ লিটার ডিজেলের চাহিদা রয়েছে।
কৃষকেরা জানান, এক বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে খরচ হচ্ছে ৬ হাজার টাকা। এরপর নিড়ানি, কীটনাশক, সারসহ কাটা-মাড়াই খরচ আছে। এবার ধান চাষে লোকসান হতে পারে।
উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ছিলাখানা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি ১৫ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করছেন। সার, জ্বালানি তেল, কৃষিশ্রমিকের মজুরি, চারা রোপণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ফসল ফলাতে তাঁকে গতবারের চেয়ে এবার বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে। কিন্তু মৌসুম শেষে উৎপাদন খরচ উঠবে কি না, তা নিয়ে তাঁর শঙ্কা রয়েছে। যদি কোনো কারণে ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া না যায়, তাহলে তাঁকে লোকসান গুনতে হবে।
বৈদ্যুতিক মোটরে ১ বিঘা জমিতে সেচ দিতে কৃষককে গুনতে হচ্ছে ২০০ টাকা। জমি চাষের উপযোগী করতে ৩ ঘণ্টা সময় লাগছে। এতে ডিজেল লাগছে ৩ লিটার, কিনতে হচ্ছে ১১৪ টাকায়। সব মিলিয়ে ১ বিঘা জমি ভেজাতে খরচ হচ্ছে ৬৫০ টাকা।
ছিলাখানা গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কষ্ট করে ফসল ফলাই, কিন্তু সঠিক দাম পাই না। এবার তো সবকিছুর দাম বেড়েছে।’ একই কথা বলেন উপজেলার নেওয়াশী গ্রামের মিজানুর রহমান, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তেলিয়ানীরপাড় এলাকার ওছমান গণি, পৌরসভার মমিনগঞ্জের আবু আব্দুল্লাহসহ অনেকে।
উপজেলা জ্যেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, রাসায়নিক সার ও জ্বালানি তেলসহ আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমন চাষে কৃষকের ব্যয় বেড়েছে। ধানের দাম বাড়লে কৃষকের জন্য তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া খরচ সাশ্রয়ে জমিতে পরিমিত মাত্রায় সার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪