বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালের সয়াবিন তেলের বাজারে নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছে। নানা দরে তেল বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোতে। বাণিজ্যিক এলাকা বাজার রোডে গত কয়েক দিন বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না। বোতলজাত ওই সয়াবিন তেল ভেঙে এখন অলিগলিতে প্রতি লিটার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি চলছে। খোলা সয়াবিন তেল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-১৯০ টাকা দরে। যদিও সরকারি নির্দেশ মতে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা। তদারকি না থাকায় আকস্মিক তেলের এমন উচ্চ মূল্যে নগরবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠন ও দল একের পর এক কর্মসূচিতে সোচ্চার হচ্ছে।
গত বুধবার রাতে বাজার রোডের একাধিক দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বোতলজাত সয়াবিন তেল তাঁরা বিক্রি করছেন না। অধিকাংশ দোকানি সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন বোতলজাত তেল নেই। আর খোলা তেল প্রতি লিটার বিক্রি চলছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা দরে। কেন তেল নাই এ বিষয়টি খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, বোতলজাত তেল আর খোলা তেলের দামে পার্থক্য থাকায় বোতলজাত তেল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সেগুলোই ভেঙে খোলা হয়েছে বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো দোকানে বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও দাম চড়া।
বাজার রোডের পাইকারি দোকান বিশ্বনাথ ঘোষের কর্মচারী জানান, সয়াবিন তেল বোতলে নেই, খোলা আছে। একই কথা জানিয়েছে আশপাশের সব দোকান থেকে।
অবশ্য বাজার রোডে দাঁড়িয়ে থেকে দেখা গেছে, বিভিন্ন দোকান থেকে গোপনে ৫ লিটারের সয়াবিন তেল ৯০০ টাকা দরে বিক্রি করছে ক্রেতাদের কাছে। সেখানকার একাধিক দোকানদার এমন তথ্য স্বীকারও করেছেন।
এদিকে নগরীর খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেলও ২০০ টাকা লিটারে বিক্রি চলছে। বটতলাবাজার, চৌমাথা বাজারে এ দৃশ্য দেখা গেছে। চৌমাথা বাজারে তেল কিনতে আসা সরকারি কর্মচারী ইয়াছিন হাওলাদার জানান, সয়াবিন তেলের দাম আসলে যে কত তা কেউ বলতে পারছেন না। যে যা পারেন তাতেই বিক্রি করছেন। এ নিয়ে বাজারে তদারকি না থাকায় জনসাধারণ ঠকছেন।
জানতে চাইলে বরিশাল জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সাহ সোয়াইব মিয়া জানান, বরিশালে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে তাঁদের তদারকি অব্যাহত আছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৬৮ টাকা। এর বেশি কারও কাছ থেকে নেওয়া হলে, যদিও ওই ব্যক্তি লিখিত দেন, তাহলে ব্যবস্থা নেবেন। নগরীতে সম্প্রতি কোনো মনিটরিং করেছেন কি না এ প্রসঙ্গে বলেন, শুক্রবার থেকে বাজারে বাজারে কার্যক্রম চালাবেন।
তেলের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায় গত এক সপ্তাহ বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল নগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। গত ১ ও ২ মার্চ বিএনপি নগরে তেলসহ দ্রব্যমূল্য বাড়ায় বিক্ষোভ করেছে। একই দাবিতে ১ মার্চ সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও ২ মার্চ গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল নগরে বিক্ষোভ ও মিছিল সমাবেশ করেছে।
কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ দত্ত বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে জেলা প্রশাসন তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে কি না তা দেখবেন। কিন্তু তেমন কোনো মনিটরিং না থাকায় নগরবাসীর মধ্যে অসন্তোষ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। টিসিবির ট্রাকে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের লাইন বাড়ছে। বিরোধী দলের কর্মসূচিতে মানুষের সমর্থনও বাড়ছে। পাইকারি ও খুচরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ জন্য জরুরি বাজারমুখী মনিটরিং দরকার।
এদিকে গরিবের টিসিবি পণ্য নিতেও বিধিনিষেধ আসছে। টিসিবি সম্প্রতি ১১০ টাকা প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করত। তবে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে জানানো হয়েছে শিগগিরই টিসিবি পণ্য দেওয়া হবে কার্ডের মাধ্যমে। নগরে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে এ কার্ড সরবরাহ করা হবে। নগরের ফড়িয়াপট্টির রানা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও টিসিবি ডিলার মাসুদ রানা বলেন, কার্ড দিতে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দেবে। সবাই তো কাউন্সিলরের কাছে কার্ড চাইতে যাবেন না।
বরিশালের সয়াবিন তেলের বাজারে নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছে। নানা দরে তেল বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোতে। বাণিজ্যিক এলাকা বাজার রোডে গত কয়েক দিন বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না। বোতলজাত ওই সয়াবিন তেল ভেঙে এখন অলিগলিতে প্রতি লিটার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি চলছে। খোলা সয়াবিন তেল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-১৯০ টাকা দরে। যদিও সরকারি নির্দেশ মতে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা। তদারকি না থাকায় আকস্মিক তেলের এমন উচ্চ মূল্যে নগরবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠন ও দল একের পর এক কর্মসূচিতে সোচ্চার হচ্ছে।
গত বুধবার রাতে বাজার রোডের একাধিক দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বোতলজাত সয়াবিন তেল তাঁরা বিক্রি করছেন না। অধিকাংশ দোকানি সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন বোতলজাত তেল নেই। আর খোলা তেল প্রতি লিটার বিক্রি চলছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা দরে। কেন তেল নাই এ বিষয়টি খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, বোতলজাত তেল আর খোলা তেলের দামে পার্থক্য থাকায় বোতলজাত তেল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সেগুলোই ভেঙে খোলা হয়েছে বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো দোকানে বোতলজাত তেল পাওয়া গেলেও দাম চড়া।
বাজার রোডের পাইকারি দোকান বিশ্বনাথ ঘোষের কর্মচারী জানান, সয়াবিন তেল বোতলে নেই, খোলা আছে। একই কথা জানিয়েছে আশপাশের সব দোকান থেকে।
অবশ্য বাজার রোডে দাঁড়িয়ে থেকে দেখা গেছে, বিভিন্ন দোকান থেকে গোপনে ৫ লিটারের সয়াবিন তেল ৯০০ টাকা দরে বিক্রি করছে ক্রেতাদের কাছে। সেখানকার একাধিক দোকানদার এমন তথ্য স্বীকারও করেছেন।
এদিকে নগরীর খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেলও ২০০ টাকা লিটারে বিক্রি চলছে। বটতলাবাজার, চৌমাথা বাজারে এ দৃশ্য দেখা গেছে। চৌমাথা বাজারে তেল কিনতে আসা সরকারি কর্মচারী ইয়াছিন হাওলাদার জানান, সয়াবিন তেলের দাম আসলে যে কত তা কেউ বলতে পারছেন না। যে যা পারেন তাতেই বিক্রি করছেন। এ নিয়ে বাজারে তদারকি না থাকায় জনসাধারণ ঠকছেন।
জানতে চাইলে বরিশাল জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সাহ সোয়াইব মিয়া জানান, বরিশালে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে তাঁদের তদারকি অব্যাহত আছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৬৮ টাকা। এর বেশি কারও কাছ থেকে নেওয়া হলে, যদিও ওই ব্যক্তি লিখিত দেন, তাহলে ব্যবস্থা নেবেন। নগরীতে সম্প্রতি কোনো মনিটরিং করেছেন কি না এ প্রসঙ্গে বলেন, শুক্রবার থেকে বাজারে বাজারে কার্যক্রম চালাবেন।
তেলের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায় গত এক সপ্তাহ বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল নগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। গত ১ ও ২ মার্চ বিএনপি নগরে তেলসহ দ্রব্যমূল্য বাড়ায় বিক্ষোভ করেছে। একই দাবিতে ১ মার্চ সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও ২ মার্চ গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল নগরে বিক্ষোভ ও মিছিল সমাবেশ করেছে।
কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ দত্ত বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে জেলা প্রশাসন তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে কি না তা দেখবেন। কিন্তু তেমন কোনো মনিটরিং না থাকায় নগরবাসীর মধ্যে অসন্তোষ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। টিসিবির ট্রাকে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের লাইন বাড়ছে। বিরোধী দলের কর্মসূচিতে মানুষের সমর্থনও বাড়ছে। পাইকারি ও খুচরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ জন্য জরুরি বাজারমুখী মনিটরিং দরকার।
এদিকে গরিবের টিসিবি পণ্য নিতেও বিধিনিষেধ আসছে। টিসিবি সম্প্রতি ১১০ টাকা প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করত। তবে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে জানানো হয়েছে শিগগিরই টিসিবি পণ্য দেওয়া হবে কার্ডের মাধ্যমে। নগরে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে এ কার্ড সরবরাহ করা হবে। নগরের ফড়িয়াপট্টির রানা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও টিসিবি ডিলার মাসুদ রানা বলেন, কার্ড দিতে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দেবে। সবাই তো কাউন্সিলরের কাছে কার্ড চাইতে যাবেন না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে