আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
কারখানার জন্য নাট-বল্টু আনা হয়েছে আমেরিকা থেকে। সেই নাট-বল্টু আবার সরবরাহ করেছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি। দাম কত জানেন? লোহা বা স্টিলের এক কেজি নাটের দাম ১ কোটি টাকা। বল্টুর দাম তার অর্ধেক, প্রতি কেজি ৫০ লাখ টাকা। কেনাকাটার এই মচ্ছব হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা সিলেটের শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডে (এসএফসিএল)।
এই তালিকায় আরও আছে এক্সপেন্ডার হুইল। রাবার ও লোহায় তৈরি ছোট আকারের এই ঘূর্ণমান চাকার কেজি পড়েছে ১ কোটি টাকার বেশি। আধা কেজি ওজনের একটি লোহার স্প্রিংয়ের দাম ১৬ লাখ টাকা। এ রকম অস্বাভাবিক দাম দিতে গিয়ে ২৪৩ কেজি ওজনের এই চালানের খরচ পড়েছে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি চালানটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস নেওয়া হয়।
কারখানার জন্য কেন আমেরিকান নাট-বল্টু কিনতে হবে? জানতে চাইলে এসএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। বাণিজ্যিক বিভাগ এটি করে।’ তিনি বাণিজ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
আর এসএফসিএলের বাণিজ্যিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার সেরনিয়াবাদ রেজাউল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই কারখানার যন্ত্রপাতি যে দেশের, নিয়ম অনুসারে সেখান থেকেই খুচরা যন্ত্রাংশ কিনতে হবে। সে কারণে আমেরিকান যন্ত্রের জন্য আমেরিকার নির্ধারিত সেই কোম্পানি থেকেই খুচরা যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে। তা ছাড়া এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, আর দাম যা-ই হোক, মানি লন্ডারিংয়ের কোনো সুযোগ নেই।
চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুল্কায়নের জন্য আমদানি চালানের তথ্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে দাখিলের পর অস্বাভাবিক দাম দেখে সন্দেহ করেন কর্মকর্তারা। এরপর চালানটি এক মাস আটকে রাখা হয় বন্দর জেটিতে। পরে পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, কাগজপত্রে পণ্যের যে পরিমাণ দেওয়া হয়েছে, পণ্য আছে তার কম। আবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এক পণ্যের, আনা হয়েছে আরেকটি। এ নিয়ে শুল্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার কারখানা কর্তৃপক্ষের অন্তত তিন দফায় বৈঠক করতে হয়েছে। সাধারণ কোনো আমদানিকারক এটা করলে ২০০ শতাংশ জরিমানা করা হতো, কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান বলে পার পেয়ে গেছে। এর সিঅ্যান্ডএফ ছিল শাহজকি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পণ্যের দামে অসংগতি হলে সেটার দায় আমদানিকারকের। আমরা উপযুক্ত শুল্ক আদায় করেই পণ্য খালাস দিয়েছি।’
ঘোষণায় জালিয়াতি
আমদানিসংক্রান্ত কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, রপ্তানিকারক মার্কিন প্রতিষ্ঠান আটলাস কপকো মাফি-ট্রেঙ্ক কোম্পানি এলএলসি খুচরা যন্ত্রাংশের এই চালানটি জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠায় গত জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। পণ্যের ঘোষিত বর্ণনায় (এইচএস কোড) চালানটির শুল্ক হিসাব করা হয় ৮৪ লাখ টাকা। এই শুল্ক দিয়ে চালানটি বন্দর জেটি থেকে খালাসের চেষ্টা হয় গত ১২ জানুয়ারি। কিন্তু পণ্যের অস্বাভাবিক দামের ব্যাপারে সন্দেহ হওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ (এআরআই) আগেভাগেই চালানটির খালাস বন্ধ (লক) রাখে। এ কারণে শুল্ক পরিশোধ করা হলেও পণ্য চালান খালাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৪ কোটি ৫৮ লাখ ১৭ হাজার ৪৯৫ টাকা।
এ ছাড়া পণ্যের পরিমাণেও পাওয়া যায় গরমিল। রপ্তানিকারক পণ্যের পরিমাণ ঘোষণা করে ৪৬৭ কেজি। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় পণ্য পাওয়া যায় ২৪৩ কেজি ৪২ গ্রাম। অর্থাৎ ঘোষণার তুলনায় ২২৩ কেজি ৫৮ গ্রাম পণ্য কম পাওয়া যায়। এ ছাড়া চালানে মোট ১৯ ধরনের পণ্য আছে বলে ঋণপত্রে উল্লেখ আছে। কিন্তু সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান কাস্টম হাউসে যে বিলই দাখিল করে তাতে ৭ ধরনের পণ্য ছিল। বাস্তবে পণ্য যায় ১৩ ধরনের। এসব অনিয়মের কথা কাস্টমস বিভাগের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, এসব ক্ষেত্রে আমদানিকারককে ২০০ গুণ পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান আছে। কিন্তু আমদানিকারককে কোনো জরিমানা না করে শুধু শুল্ক আদায় করেই চালানটি খালাস দেওয়া হয়।
দামের অস্বাভাবিকতা
নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৩টি পণ্যের মধ্যে নাট, বল্টু, বিয়ারিং, এক্সপেন্ডার হুইল, গর্ডি ভ্যান ইত্যাদি আনা হয়। তিন কেজি ওজনের লোহার নাটের দাম দেখানো হয় দেড় কোটি টাকারও বেশি। অর্থাৎ প্রতি কেজি নাটের দাম ৫০ লাখ টাকা। লোহা বা স্টিল জাতীয় ২ কেজি ১০০ গ্রাম নাটের মূল্য ধরা হয়েছে সোয়া ২ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি নাটের দাম পড়েছে ১ কোটি টাকার বেশি। আবার ৩৪০ গ্রাম লৌহজাত নাটের দাম দেখানো হয় ১৩ লাখ টাকার বেশি। এই ধরনের নাটের ধাম পড়েছে প্রতি কেজি প্রায় ৩৯ লাখ টাকা।
১৯৫ কেজির পিউরিফায়ার এক্সপেন্ডার শেপের দাম ধরা হয়েছে পৌনে ২ কোটি টাকার বেশি। ৭০ কেজি ওজনের প্লেইন শাফট বিয়ারিংয়ের দাম দেখানো হয় প্রায় সোয়া ১ কোটি টাকা। এসব দামও অস্বাভাবিক বেশি বলে মনে করেন সার কারখানার এক সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
একইভাবে লোহা বা স্টিল জাতীয় আধা কেজির কম ওজনের লোহার স্প্রিংয়ের দাম দেখানো হয় ১৬ লাখ টাকা। আধা কেজি ওজনের স্পিং ওয়াশারের মূল্য ধরা হয় ৮ লাখ টাকারও বেশি। ৬০ কেজি ওজনের একটি ক্যারিয়ার ও গ্যাসকেট পৌনে ৭ লাখ টাকায় আমদানি দেখানো হয়। ৪ কেজি ওজনের সিল রিং জাতীয় পণ্যের দাম প্রায় পৌনে ৪ লাখ টাকা। ৬৭ কেজি ৮২০ গ্রাম ওজনের নাটের বল্টু কেনা হয়েছে ৬১ লাখ ৫৮ হাজার ১৫১ টাকা ৮৫ পয়সায়।
এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের একজন উপকমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এভাবে বেশি দামে পণ্য আমদানি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নয়ছয় হয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন।
চট্টগ্রামের একজন কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, এই চালানের অস্বাভাবিক দামের বিষয় জানতে চেয়ে কাস্টসমের পক্ষ থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সেই রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ইমেইল করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো জবাব দিতে রাজি হয়নি।
দুর্নীতি সম্পর্কিত পড়ুন:
কারখানার জন্য নাট-বল্টু আনা হয়েছে আমেরিকা থেকে। সেই নাট-বল্টু আবার সরবরাহ করেছে মালয়েশিয়ান কোম্পানি। দাম কত জানেন? লোহা বা স্টিলের এক কেজি নাটের দাম ১ কোটি টাকা। বল্টুর দাম তার অর্ধেক, প্রতি কেজি ৫০ লাখ টাকা। কেনাকাটার এই মচ্ছব হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা সিলেটের শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডে (এসএফসিএল)।
এই তালিকায় আরও আছে এক্সপেন্ডার হুইল। রাবার ও লোহায় তৈরি ছোট আকারের এই ঘূর্ণমান চাকার কেজি পড়েছে ১ কোটি টাকার বেশি। আধা কেজি ওজনের একটি লোহার স্প্রিংয়ের দাম ১৬ লাখ টাকা। এ রকম অস্বাভাবিক দাম দিতে গিয়ে ২৪৩ কেজি ওজনের এই চালানের খরচ পড়েছে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি চালানটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস নেওয়া হয়।
কারখানার জন্য কেন আমেরিকান নাট-বল্টু কিনতে হবে? জানতে চাইলে এসএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। বাণিজ্যিক বিভাগ এটি করে।’ তিনি বাণিজ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
আর এসএফসিএলের বাণিজ্যিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার সেরনিয়াবাদ রেজাউল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই কারখানার যন্ত্রপাতি যে দেশের, নিয়ম অনুসারে সেখান থেকেই খুচরা যন্ত্রাংশ কিনতে হবে। সে কারণে আমেরিকান যন্ত্রের জন্য আমেরিকার নির্ধারিত সেই কোম্পানি থেকেই খুচরা যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে। তা ছাড়া এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, আর দাম যা-ই হোক, মানি লন্ডারিংয়ের কোনো সুযোগ নেই।
চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুল্কায়নের জন্য আমদানি চালানের তথ্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে দাখিলের পর অস্বাভাবিক দাম দেখে সন্দেহ করেন কর্মকর্তারা। এরপর চালানটি এক মাস আটকে রাখা হয় বন্দর জেটিতে। পরে পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, কাগজপত্রে পণ্যের যে পরিমাণ দেওয়া হয়েছে, পণ্য আছে তার কম। আবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এক পণ্যের, আনা হয়েছে আরেকটি। এ নিয়ে শুল্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার কারখানা কর্তৃপক্ষের অন্তত তিন দফায় বৈঠক করতে হয়েছে। সাধারণ কোনো আমদানিকারক এটা করলে ২০০ শতাংশ জরিমানা করা হতো, কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান বলে পার পেয়ে গেছে। এর সিঅ্যান্ডএফ ছিল শাহজকি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পণ্যের দামে অসংগতি হলে সেটার দায় আমদানিকারকের। আমরা উপযুক্ত শুল্ক আদায় করেই পণ্য খালাস দিয়েছি।’
ঘোষণায় জালিয়াতি
আমদানিসংক্রান্ত কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, রপ্তানিকারক মার্কিন প্রতিষ্ঠান আটলাস কপকো মাফি-ট্রেঙ্ক কোম্পানি এলএলসি খুচরা যন্ত্রাংশের এই চালানটি জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠায় গত জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। পণ্যের ঘোষিত বর্ণনায় (এইচএস কোড) চালানটির শুল্ক হিসাব করা হয় ৮৪ লাখ টাকা। এই শুল্ক দিয়ে চালানটি বন্দর জেটি থেকে খালাসের চেষ্টা হয় গত ১২ জানুয়ারি। কিন্তু পণ্যের অস্বাভাবিক দামের ব্যাপারে সন্দেহ হওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ (এআরআই) আগেভাগেই চালানটির খালাস বন্ধ (লক) রাখে। এ কারণে শুল্ক পরিশোধ করা হলেও পণ্য চালান খালাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৪ কোটি ৫৮ লাখ ১৭ হাজার ৪৯৫ টাকা।
এ ছাড়া পণ্যের পরিমাণেও পাওয়া যায় গরমিল। রপ্তানিকারক পণ্যের পরিমাণ ঘোষণা করে ৪৬৭ কেজি। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় পণ্য পাওয়া যায় ২৪৩ কেজি ৪২ গ্রাম। অর্থাৎ ঘোষণার তুলনায় ২২৩ কেজি ৫৮ গ্রাম পণ্য কম পাওয়া যায়। এ ছাড়া চালানে মোট ১৯ ধরনের পণ্য আছে বলে ঋণপত্রে উল্লেখ আছে। কিন্তু সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান কাস্টম হাউসে যে বিলই দাখিল করে তাতে ৭ ধরনের পণ্য ছিল। বাস্তবে পণ্য যায় ১৩ ধরনের। এসব অনিয়মের কথা কাস্টমস বিভাগের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, এসব ক্ষেত্রে আমদানিকারককে ২০০ গুণ পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান আছে। কিন্তু আমদানিকারককে কোনো জরিমানা না করে শুধু শুল্ক আদায় করেই চালানটি খালাস দেওয়া হয়।
দামের অস্বাভাবিকতা
নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৩টি পণ্যের মধ্যে নাট, বল্টু, বিয়ারিং, এক্সপেন্ডার হুইল, গর্ডি ভ্যান ইত্যাদি আনা হয়। তিন কেজি ওজনের লোহার নাটের দাম দেখানো হয় দেড় কোটি টাকারও বেশি। অর্থাৎ প্রতি কেজি নাটের দাম ৫০ লাখ টাকা। লোহা বা স্টিল জাতীয় ২ কেজি ১০০ গ্রাম নাটের মূল্য ধরা হয়েছে সোয়া ২ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি নাটের দাম পড়েছে ১ কোটি টাকার বেশি। আবার ৩৪০ গ্রাম লৌহজাত নাটের দাম দেখানো হয় ১৩ লাখ টাকার বেশি। এই ধরনের নাটের ধাম পড়েছে প্রতি কেজি প্রায় ৩৯ লাখ টাকা।
১৯৫ কেজির পিউরিফায়ার এক্সপেন্ডার শেপের দাম ধরা হয়েছে পৌনে ২ কোটি টাকার বেশি। ৭০ কেজি ওজনের প্লেইন শাফট বিয়ারিংয়ের দাম দেখানো হয় প্রায় সোয়া ১ কোটি টাকা। এসব দামও অস্বাভাবিক বেশি বলে মনে করেন সার কারখানার এক সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
একইভাবে লোহা বা স্টিল জাতীয় আধা কেজির কম ওজনের লোহার স্প্রিংয়ের দাম দেখানো হয় ১৬ লাখ টাকা। আধা কেজি ওজনের স্পিং ওয়াশারের মূল্য ধরা হয় ৮ লাখ টাকারও বেশি। ৬০ কেজি ওজনের একটি ক্যারিয়ার ও গ্যাসকেট পৌনে ৭ লাখ টাকায় আমদানি দেখানো হয়। ৪ কেজি ওজনের সিল রিং জাতীয় পণ্যের দাম প্রায় পৌনে ৪ লাখ টাকা। ৬৭ কেজি ৮২০ গ্রাম ওজনের নাটের বল্টু কেনা হয়েছে ৬১ লাখ ৫৮ হাজার ১৫১ টাকা ৮৫ পয়সায়।
এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের একজন উপকমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এভাবে বেশি দামে পণ্য আমদানি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নয়ছয় হয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন।
চট্টগ্রামের একজন কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, এই চালানের অস্বাভাবিক দামের বিষয় জানতে চেয়ে কাস্টসমের পক্ষ থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সেই রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ইমেইল করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো জবাব দিতে রাজি হয়নি।
দুর্নীতি সম্পর্কিত পড়ুন:
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে