তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
বহুতল ভবনের নকশার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নকশা অনুমোদন কমিটি। এই কমিটির প্রধান একজন যুগ্ম সচিব। অন্যান্য উচ্চতার ভবনের নকশা অনুমোদন কমিটির প্রধানও একজন উপসচিব। পরিকল্পনা শাখার প্রধানের পদেও আছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। রাজউকের মতো বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণী ও গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি প্রায় সব পদে আছেন প্রেষণে আসা আমলারা। দাপটও তাঁদের।
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জনের প্রাণহানির পর রাজউকের শীর্ষ পদগুলোতে নন-টেকনিক্যাল আমলাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। এর আগে গুলশানের এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পরও বিষয়টি সামনে এসেছিল।
নগর-পরিকল্পনাবিদ ও রাজউকের কর্মকর্তারা বলছেন, অন্যান্য দেশে এসব পদে পেশাদার প্রকৌশলী ও নগর-পরিকল্পনাবিদেরা দায়িত্ব পালন করেন। রাজউকের এমন পেশাদার কর্মকর্তা থাকলেও আইনের কারণে তাঁরা পদবঞ্চিত হচ্ছেন। এতে একদিকে রাজউকের কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে দুর্ঘটনার পর নকশা অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই কারিগরি পদে নন-টেকনিক্যাল আমলাদের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে। প্রয়োজনে রাজউক আইন পর্যালোচনা করতে হবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের উন্নয়ন সংস্থাগুলোতে নন-টেকনিক্যাল লোকজন দায়িত্ব পালন করছেন। পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া তাঁরা এসব পদে যোগ দিয়ে কাজ কিছু বোঝা শুরু করতেই অন্যত্র বদলি হয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব দেশে এমন সংস্থায় প্রফেশনাল লোকজনই দায়িত্ব পান। কিন্তু আমাদের দেশে অন্যান্য সরকারি কারিগরি সংস্থায়ও নন-টেকনিক্যাল কর্মকর্তারা জেঁকে বসেছেন। তবে রাজউকের ক্ষেত্রে এর ফল হয় ভিন্ন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বড় দুর্ঘটনা আমাদের নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। এ ছাড়া রাজউকের স্থায়ী কর্মকর্তারা এসব নীতিনির্ধারণী পদে আসতে না পেরে হতাশ হয়ে কর্মস্পৃহা হারাচ্ছেন।’
রাজউকের সূত্র বলেছে, সংস্থাটি থেকে প্রতিবছর ২০-২৫ হাজার নকশা অনুমোদন হয়। এই নকশা অনুমোদন নিয়েই মূলত বাণিজ্য হয়। রাজউকের চেয়ারম্যান, সদস্য, পরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পদেই থাকেন প্রেষণে আসা আমলারা। তবে এসব পদের সিংহভাগ কাজই কারিগরিবিষয়ক হওয়ায় তাঁদের রাজউকের নিজস্ব কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিতে হয়। রাজউকের বিদ্যমান আইন এমনভাবে করা যে সেখানে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রকৌশলী, স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদেরা যেতে পারেন না। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদে এলেও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় তাঁরা থাকেন না। কেউ কেউ নিজের আখের গোছান। পরিকল্পিত নগরী গড়ার চেয়ে নিজ নামে-বেনামে প্লট-ফ্ল্যাট বাগাতে এবং পদোন্নতির আশায় প্লট-ফ্ল্যাট উপহার দেন। এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ।
রাজউকের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, সংস্থাটির সর্বশেষ ১০ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে মাত্র ২ জন ছিলেন প্রকৌশলী। বাকি ৮ জনই নন-টেকনিক্যাল প্রশাসন ক্যাডারের অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা। সর্বশেষ ৪ এপ্রিল মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকারকে রাজউকের চেয়ারম্যান পদে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন-চিফ (ইএনসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সিদ্দিকুর রহমান বিদায়ী চেয়ারম্যান (সচিব) আনিছুর রহমান মিঞার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
রাজউকের মোট পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনই প্রশাসন ক্যাডারের, অন্যজন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর। সদস্য, পরিকল্পনা এবং সদস্য, উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের কাজ কারিগরিবিষয়ক। এ দুই পদে আছেন দুজন যুগ্ম সচিব। উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ উইংয়ে দুজন পরিচালকের একজন প্রেষণে আসা প্রশাসন ক্যাডারের। ৮ জোনাল পরিচালকের মধ্যেও ছয়জন প্রশাসন ক্যাডারের। এস্টেট শাখার পরিচালক ও উপপরিচালক পদেও আছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। অর্থাৎ ভবনের নকশা অনুমোদন থেকে শুরু করে পরিকল্পনা প্রণয়ন—সব ক্ষেত্রে আছেন আমলারা। সদস্য (পরিকল্পনা উইং)-এর আওতায় পরিকল্পিত নগরী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে নগর-পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শাখা। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, সংশ্লিষ্ট আইন, বিধিমালা ও নীতিমালা প্রণয়ন এবং সংস্কার নগর-পরিকল্পনা শাখার অন্যতম কাজ।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. নবীরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজউকসহ অন্যান্য সংস্থা কিছু সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কোন পদে কে দায়িত্ব পালন করবেন, তা ওই আইনেই নির্ধারণ করা আছে। রাজউকের আইন পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। তবে যাঁর কাজ, তাঁকে দায়িত্ব দিলেই ভালো হয়।’
বহুতল ভবনের নকশার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নকশা অনুমোদন কমিটি। এই কমিটির প্রধান একজন যুগ্ম সচিব। অন্যান্য উচ্চতার ভবনের নকশা অনুমোদন কমিটির প্রধানও একজন উপসচিব। পরিকল্পনা শাখার প্রধানের পদেও আছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। রাজউকের মতো বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণী ও গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি প্রায় সব পদে আছেন প্রেষণে আসা আমলারা। দাপটও তাঁদের।
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জনের প্রাণহানির পর রাজউকের শীর্ষ পদগুলোতে নন-টেকনিক্যাল আমলাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। এর আগে গুলশানের এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পরও বিষয়টি সামনে এসেছিল।
নগর-পরিকল্পনাবিদ ও রাজউকের কর্মকর্তারা বলছেন, অন্যান্য দেশে এসব পদে পেশাদার প্রকৌশলী ও নগর-পরিকল্পনাবিদেরা দায়িত্ব পালন করেন। রাজউকের এমন পেশাদার কর্মকর্তা থাকলেও আইনের কারণে তাঁরা পদবঞ্চিত হচ্ছেন। এতে একদিকে রাজউকের কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে দুর্ঘটনার পর নকশা অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই কারিগরি পদে নন-টেকনিক্যাল আমলাদের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে। প্রয়োজনে রাজউক আইন পর্যালোচনা করতে হবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের উন্নয়ন সংস্থাগুলোতে নন-টেকনিক্যাল লোকজন দায়িত্ব পালন করছেন। পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া তাঁরা এসব পদে যোগ দিয়ে কাজ কিছু বোঝা শুরু করতেই অন্যত্র বদলি হয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব দেশে এমন সংস্থায় প্রফেশনাল লোকজনই দায়িত্ব পান। কিন্তু আমাদের দেশে অন্যান্য সরকারি কারিগরি সংস্থায়ও নন-টেকনিক্যাল কর্মকর্তারা জেঁকে বসেছেন। তবে রাজউকের ক্ষেত্রে এর ফল হয় ভিন্ন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বড় দুর্ঘটনা আমাদের নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। এ ছাড়া রাজউকের স্থায়ী কর্মকর্তারা এসব নীতিনির্ধারণী পদে আসতে না পেরে হতাশ হয়ে কর্মস্পৃহা হারাচ্ছেন।’
রাজউকের সূত্র বলেছে, সংস্থাটি থেকে প্রতিবছর ২০-২৫ হাজার নকশা অনুমোদন হয়। এই নকশা অনুমোদন নিয়েই মূলত বাণিজ্য হয়। রাজউকের চেয়ারম্যান, সদস্য, পরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পদেই থাকেন প্রেষণে আসা আমলারা। তবে এসব পদের সিংহভাগ কাজই কারিগরিবিষয়ক হওয়ায় তাঁদের রাজউকের নিজস্ব কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিতে হয়। রাজউকের বিদ্যমান আইন এমনভাবে করা যে সেখানে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রকৌশলী, স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদেরা যেতে পারেন না। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদে এলেও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় তাঁরা থাকেন না। কেউ কেউ নিজের আখের গোছান। পরিকল্পিত নগরী গড়ার চেয়ে নিজ নামে-বেনামে প্লট-ফ্ল্যাট বাগাতে এবং পদোন্নতির আশায় প্লট-ফ্ল্যাট উপহার দেন। এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ।
রাজউকের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, সংস্থাটির সর্বশেষ ১০ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে মাত্র ২ জন ছিলেন প্রকৌশলী। বাকি ৮ জনই নন-টেকনিক্যাল প্রশাসন ক্যাডারের অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা। সর্বশেষ ৪ এপ্রিল মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকারকে রাজউকের চেয়ারম্যান পদে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন-চিফ (ইএনসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সিদ্দিকুর রহমান বিদায়ী চেয়ারম্যান (সচিব) আনিছুর রহমান মিঞার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
রাজউকের মোট পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনই প্রশাসন ক্যাডারের, অন্যজন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর। সদস্য, পরিকল্পনা এবং সদস্য, উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের কাজ কারিগরিবিষয়ক। এ দুই পদে আছেন দুজন যুগ্ম সচিব। উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ উইংয়ে দুজন পরিচালকের একজন প্রেষণে আসা প্রশাসন ক্যাডারের। ৮ জোনাল পরিচালকের মধ্যেও ছয়জন প্রশাসন ক্যাডারের। এস্টেট শাখার পরিচালক ও উপপরিচালক পদেও আছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। অর্থাৎ ভবনের নকশা অনুমোদন থেকে শুরু করে পরিকল্পনা প্রণয়ন—সব ক্ষেত্রে আছেন আমলারা। সদস্য (পরিকল্পনা উইং)-এর আওতায় পরিকল্পিত নগরী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে নগর-পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শাখা। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, সংশ্লিষ্ট আইন, বিধিমালা ও নীতিমালা প্রণয়ন এবং সংস্কার নগর-পরিকল্পনা শাখার অন্যতম কাজ।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. নবীরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজউকসহ অন্যান্য সংস্থা কিছু সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কোন পদে কে দায়িত্ব পালন করবেন, তা ওই আইনেই নির্ধারণ করা আছে। রাজউকের আইন পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। তবে যাঁর কাজ, তাঁকে দায়িত্ব দিলেই ভালো হয়।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে