তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যোগাযোগের অন্যতম বাহন ছিল লঞ্চ। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে লঞ্চের, যুক্ত হয়েছে আধুনিক সব লঞ্চ। ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে লঞ্চে ৭-৮ ঘণ্টা সময় লাগে। ২৫ জুন দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এতে ঢাকা থেকে বরিশালের দূরত্ব যেমন কমবে, যেতেও অনেক কম সময় লাগবে। তাই যাত্রীরা এখনই লাভ-ক্ষতির হিসাব করছেন। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের প্রভাব এই অঞ্চলের নৌপথে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা লঞ্চমালিকদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর পরে কিছু যাত্রী কমে যাবে লঞ্চের, তবে সেটা ধরে রাখার ক্ষমতা আমাদের নেই। কারণ লঞ্চের চেয়ে বাসে সুবিধা বেশি পাবে। সে জন্য বরিশাল রুটে যাত্রী অনেক কমে যাবে। তবে ভাড়ার দিক বিবেচনা করে কিছু যাত্রী লঞ্চে যাবে। আগের থেকে জাহাজের সংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল দিয়েছি।’
ঢাকা নদীবন্দরের তথ্য বলেছে, ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের ৪৪টি নৌরুটে ঢাকা নদীবন্দর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৮৫টি লঞ্চ চলাচল করে। এর মধ্যে ঢাকা-বরিশাল রুটেই প্রতিদিন চলে ৭ থেকে ৮টি বড় লঞ্চ। বরিশাল রুটের প্রতিটি লঞ্চের ধারণক্ষমতা আছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ পর্যন্ত।
ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন লঞ্চে যাত্রীর চাপ একেবারে কম। লঞ্চের স্টাফ ও শ্রমিকেরা শঙ্কায় আছেন যে যাত্রীর এই চাপ আরও কমে যাবে পদ্মা সেতু চালু হলে। ঢাকা-বরিশাল রুটের পারাবত-১৮ লঞ্চের সুপারভাইজার মোখলেছুর রহমান বললেন, ‘সেতু চালুর পর লঞ্চের যাত্রী কিছুটা কমবে এটা আমরাও আশঙ্কা করছি। এখন কেবিনে যে যাত্রী হচ্ছে, এটা কমে যেতে পারে। তবে নিম্নবিত্তরা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় লঞ্চের ডেকে যাবে। ডেকের যাত্রী খুব একটা কমবে না।’
এদিকে করোনার পর থেকে লঞ্চের ১০ শতাংশ যাত্রী কমে গেছে। পদ্মা সেতু চালুর পরে নৌপথের আরও কিছু যাত্রী সড়কপথ দিয়ে যাতায়াত করবে। সেতু চালু হলে লঞ্চের আরও ৩০ শতাংশ যাত্রী কমে যেতে পারে। তখন ৬০ শতাংশ যাত্রী হয়তো লঞ্চে চলাচল করতে পারে বলে ধারণা লঞ্চ-সংশ্লিষ্টদের।
বরিশাল থেকে সুন্দরবন লঞ্চে করে ঢাকায় এসেছেন জসিম উদ্দিন। তিনি বললেন, লঞ্চে ঘুমিয়ে আসার সুবিধা আছে। অন্যান্য বাহনের চেয়ে আরামদায়ক। তবে সময় বেশি লাগে। পদ্মা সেতু চালু হলে লঞ্চে আর যাব না। কারণ, তিন থেকে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়া যাবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. হুমায়ূন কবির মনে করেন, পদ্মা সেতু চালুর পরে আবদুল্লাহপুর, উত্তরাসহ দূর থেকে যাঁরা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যের যান, তাঁরা বাস বেছে নেবেন। যাঁদের ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল, তাঁরা ফেরিঘাটের ভোগান্তি কারণে লঞ্চের কেবিনে যেতেন। তাঁরাও এখন সড়কপথে যাবেন।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বললেন, পদ্মা সেতু চালুর পরে বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে লঞ্চকে সেবার মান বাড়িয়ে সাশ্রয়ী যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে তৈরি করতে হবে। না হলে যাত্রীসেবার এই বহর থেকে ছিটকে পড়বে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যোগাযোগের অন্যতম বাহন ছিল লঞ্চ। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে লঞ্চের, যুক্ত হয়েছে আধুনিক সব লঞ্চ। ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে লঞ্চে ৭-৮ ঘণ্টা সময় লাগে। ২৫ জুন দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এতে ঢাকা থেকে বরিশালের দূরত্ব যেমন কমবে, যেতেও অনেক কম সময় লাগবে। তাই যাত্রীরা এখনই লাভ-ক্ষতির হিসাব করছেন। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের প্রভাব এই অঞ্চলের নৌপথে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা লঞ্চমালিকদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর পরে কিছু যাত্রী কমে যাবে লঞ্চের, তবে সেটা ধরে রাখার ক্ষমতা আমাদের নেই। কারণ লঞ্চের চেয়ে বাসে সুবিধা বেশি পাবে। সে জন্য বরিশাল রুটে যাত্রী অনেক কমে যাবে। তবে ভাড়ার দিক বিবেচনা করে কিছু যাত্রী লঞ্চে যাবে। আগের থেকে জাহাজের সংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল দিয়েছি।’
ঢাকা নদীবন্দরের তথ্য বলেছে, ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের ৪৪টি নৌরুটে ঢাকা নদীবন্দর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৮৫টি লঞ্চ চলাচল করে। এর মধ্যে ঢাকা-বরিশাল রুটেই প্রতিদিন চলে ৭ থেকে ৮টি বড় লঞ্চ। বরিশাল রুটের প্রতিটি লঞ্চের ধারণক্ষমতা আছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ পর্যন্ত।
ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন লঞ্চে যাত্রীর চাপ একেবারে কম। লঞ্চের স্টাফ ও শ্রমিকেরা শঙ্কায় আছেন যে যাত্রীর এই চাপ আরও কমে যাবে পদ্মা সেতু চালু হলে। ঢাকা-বরিশাল রুটের পারাবত-১৮ লঞ্চের সুপারভাইজার মোখলেছুর রহমান বললেন, ‘সেতু চালুর পর লঞ্চের যাত্রী কিছুটা কমবে এটা আমরাও আশঙ্কা করছি। এখন কেবিনে যে যাত্রী হচ্ছে, এটা কমে যেতে পারে। তবে নিম্নবিত্তরা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় লঞ্চের ডেকে যাবে। ডেকের যাত্রী খুব একটা কমবে না।’
এদিকে করোনার পর থেকে লঞ্চের ১০ শতাংশ যাত্রী কমে গেছে। পদ্মা সেতু চালুর পরে নৌপথের আরও কিছু যাত্রী সড়কপথ দিয়ে যাতায়াত করবে। সেতু চালু হলে লঞ্চের আরও ৩০ শতাংশ যাত্রী কমে যেতে পারে। তখন ৬০ শতাংশ যাত্রী হয়তো লঞ্চে চলাচল করতে পারে বলে ধারণা লঞ্চ-সংশ্লিষ্টদের।
বরিশাল থেকে সুন্দরবন লঞ্চে করে ঢাকায় এসেছেন জসিম উদ্দিন। তিনি বললেন, লঞ্চে ঘুমিয়ে আসার সুবিধা আছে। অন্যান্য বাহনের চেয়ে আরামদায়ক। তবে সময় বেশি লাগে। পদ্মা সেতু চালু হলে লঞ্চে আর যাব না। কারণ, তিন থেকে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়া যাবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. হুমায়ূন কবির মনে করেন, পদ্মা সেতু চালুর পরে আবদুল্লাহপুর, উত্তরাসহ দূর থেকে যাঁরা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যের যান, তাঁরা বাস বেছে নেবেন। যাঁদের ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল, তাঁরা ফেরিঘাটের ভোগান্তি কারণে লঞ্চের কেবিনে যেতেন। তাঁরাও এখন সড়কপথে যাবেন।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বললেন, পদ্মা সেতু চালুর পরে বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে লঞ্চকে সেবার মান বাড়িয়ে সাশ্রয়ী যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে তৈরি করতে হবে। না হলে যাত্রীসেবার এই বহর থেকে ছিটকে পড়বে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে