মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার অংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মাঝারি থেকে বড় আকারের খানাখন্দ। সড়কের ধুলাবালি উড়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এ সড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় শিগগিরই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল-উত্তরাঞ্চলে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় সড়কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এতে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে যাওয়ায় দীর্ঘ সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।
মহাসড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার হালকা ও ভারী যানবাহন বিকল্প পথ হিসেবে মিরপুর উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলো ব্যবহার করছে। দুই মাসের অধিক সময় ধরে গ্রামীণ সড়কগুলো দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় ওই সব সড়কও বেহাল হয়ে পড়ছে।
কুষ্টিয়া শহরের ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা উপজেলার বারো মাইল পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া, রানাখড়িয়া ও বহলবাড়িয়ার প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা সব থেকে খারাপ। রানাখড়িয়া এলাকায় সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশের পিচ ও পাথর উঠে গেছে। এ অবস্থাতেই তালবাড়িয়া বালুমহল থেকে প্রতিদিন শতাধিক ড্রাম ট্রাক ও অন্যান্য ট্রাক ভেজা বালু নিয়ে চলাচল করে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ইট-বালু ফেলে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে জরুরি মেরামত করলেও কোনো সুফল মিলছে না।
দূরপাল্লার বাসচালক কাজী মামুন বলেন, ‘দশমাইল থেকে ১৫ কিলোমিটার সড়ক পার হয়ে কুষ্টিয়া শহরে ঢুকতে কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগছে। আগে মাত্র আধা ঘণ্টা সময় লাগত। মাঝে মধ্যেই ভারী যানবাহন বিকল হয়ে সড়কের মাঝে পড়ে থাকে। বিকল্প পথ হিসেবে মিরপুরের গ্রামীণ সড়কগুলোর ভেতর দিয়ে যেতে হলে ১০-১৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে যেতে হয়। গ্রামীণ সড়কগুলোর প্রশস্ততা কম হওয়ায় যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা হয়। তা ছাড়া গ্রামের লোকজন বিরক্তির কারণে অনেক সময় গাড়ি আটকে দেন এবং আমাদের ওপর চড়াও হন। সব মিলিয়ে গাড়ি চালানোর কোনো পরিবেশ নেই।’
তালবাড়িয়া থেকে মোটরসাইকেলে করে কুষ্টিয়া শহরে যাতায়াত করেন ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ যানজটের কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কে গর্তের কারণে অনেক সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এ অবস্থায় সময়মতো কোনো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, প্রায় তিন বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। তখন পণ্যবোঝাই ভারী ভারী যানবাহন চলাচলের মতো সক্ষমতার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়নি। সংস্কারকাজের কিছুদিন পর সড়কের বিভিন্ন স্থান দেবে যেতে শুরু করে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে সড়কটি একেবারেই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভেড়ামারা উপজেলার বারো মাইল এলাকা থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত সড়কটি পুনর্নির্মাণের জন্য সম্প্রতি কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২.৫ কিলোমিটার সড়কটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ চলমান। এবার সড়কটি দিয়ে যাতে পণ্যবোঝাই ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ শুরু করা হয়েছে। শিগগিরই কাজ শেষ হবে।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার অংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মাঝারি থেকে বড় আকারের খানাখন্দ। সড়কের ধুলাবালি উড়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এ সড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় শিগগিরই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল-উত্তরাঞ্চলে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় সড়কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এতে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে যাওয়ায় দীর্ঘ সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।
মহাসড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার হালকা ও ভারী যানবাহন বিকল্প পথ হিসেবে মিরপুর উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলো ব্যবহার করছে। দুই মাসের অধিক সময় ধরে গ্রামীণ সড়কগুলো দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় ওই সব সড়কও বেহাল হয়ে পড়ছে।
কুষ্টিয়া শহরের ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা উপজেলার বারো মাইল পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া, রানাখড়িয়া ও বহলবাড়িয়ার প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা সব থেকে খারাপ। রানাখড়িয়া এলাকায় সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশের পিচ ও পাথর উঠে গেছে। এ অবস্থাতেই তালবাড়িয়া বালুমহল থেকে প্রতিদিন শতাধিক ড্রাম ট্রাক ও অন্যান্য ট্রাক ভেজা বালু নিয়ে চলাচল করে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ইট-বালু ফেলে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে জরুরি মেরামত করলেও কোনো সুফল মিলছে না।
দূরপাল্লার বাসচালক কাজী মামুন বলেন, ‘দশমাইল থেকে ১৫ কিলোমিটার সড়ক পার হয়ে কুষ্টিয়া শহরে ঢুকতে কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগছে। আগে মাত্র আধা ঘণ্টা সময় লাগত। মাঝে মধ্যেই ভারী যানবাহন বিকল হয়ে সড়কের মাঝে পড়ে থাকে। বিকল্প পথ হিসেবে মিরপুরের গ্রামীণ সড়কগুলোর ভেতর দিয়ে যেতে হলে ১০-১৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে যেতে হয়। গ্রামীণ সড়কগুলোর প্রশস্ততা কম হওয়ায় যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা হয়। তা ছাড়া গ্রামের লোকজন বিরক্তির কারণে অনেক সময় গাড়ি আটকে দেন এবং আমাদের ওপর চড়াও হন। সব মিলিয়ে গাড়ি চালানোর কোনো পরিবেশ নেই।’
তালবাড়িয়া থেকে মোটরসাইকেলে করে কুষ্টিয়া শহরে যাতায়াত করেন ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ যানজটের কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কে গর্তের কারণে অনেক সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এ অবস্থায় সময়মতো কোনো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, প্রায় তিন বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। তখন পণ্যবোঝাই ভারী ভারী যানবাহন চলাচলের মতো সক্ষমতার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়নি। সংস্কারকাজের কিছুদিন পর সড়কের বিভিন্ন স্থান দেবে যেতে শুরু করে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে সড়কটি একেবারেই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভেড়ামারা উপজেলার বারো মাইল এলাকা থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত সড়কটি পুনর্নির্মাণের জন্য সম্প্রতি কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২.৫ কিলোমিটার সড়কটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ চলমান। এবার সড়কটি দিয়ে যাতে পণ্যবোঝাই ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ শুরু করা হয়েছে। শিগগিরই কাজ শেষ হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে