সার আত্মসাৎ-ভেজালে মামলা

চৌগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২২, ০৭: ৩২
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২২, ১০: ৫৬

বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশনের (বিসিআইসি) যশোর বাফার গুদামে পৌঁছে না দিয়ে ৭৩ মেট্রিক টন ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সার আত্মসাৎ এবং ৭০ মেট্রিক টন সারে ভেজাল দেওয়ার অভিযোগে সার পরিবহন ঠিকাদার এবং তাঁর প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মোহাম্মদ সোলায়মান গত রোববার রাতে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় চট্টগ্রামের পরিবহন ঠিকাদার মেসার্স সৈয়দ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আহসান হাবীব এবং তাঁর প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইব্রাহীম হায়দারকে আসামি করা হয়েছে। আহসান হাবীবের বাড়ি চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট এলাকায় এবং মোহাম্মদ ইব্রাহীম হায়দারের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া গ্রামে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সৈয়দ এন্টারপ্রাইজ চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গায় অবস্থিত টিএসপি কমপ্লেক্স থেকে যশোর বাফার গুদামে পরিবহনের জন্য ১৪ মার্চ ১৫৪ মেট্রিক টন এবং ১৫ মার্চ ৮৭ মেট্রিক টন টিএসপি সার উত্তোলন করে। এর মধ্যে ঠিকাদার কোনো ভেজাল ছাড়া ৯৮ মেট্রিক টন সার বাফার গুদামে পৌঁছে দেন। পরে ১৭ মার্চ বিকেলে পাঁচটি ট্রাকে করে ৭০ মেট্রিক টন টিএসপি সার যশোর বাফার গুদামে আনা হয়।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সার খালাসের সময় পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আগে নিয়ে আসা বস্তার সঙ্গে সেগুলোর অমিল রয়েছে। দুই-একটি বস্তায় দুইবার সেলাইয়ের চিহ্ন দেখা যায়। ঠিকাদার ও তাঁর প্রতিনিধি এ ৭০ মেট্রিক টন সারে ভেজাল মিশিয়েছেন। অবশিষ্ট ৭৩ মেট্রিক টন টিএসপি সার ঠিকাদার বাফার গুদামে পরিবহন না করে আত্মসাৎ করেছেন।

থানায় মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সার আত্মসাৎ ও ভেজাল করায় টিএসপি কমপ্লেক্সের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে, কৃষক প্রতারিত হওয়া ও কৃষির উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া টিএসপি সাঁর তথা সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডকে আর্থিক ভাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের উপপ্রধান রসায়নবিদ রেজাউল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন বিসিআইসির উৎপাদন বিভাগের ব্যবস্থাপক শফিকুল কবীর ও বিসিআইসির উপপ্রধান হিসাব রক্ষক নির্মল কুমার দত্ত।

কমিটির তদন্তে সার ভেজাল ও আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় রোববার সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সার আত্মসাৎ ও ভেজাল মিশানোর অপরাধে পরিবহনকারী ঠিকাদার আহসান হাবীব এবং তাঁর প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইব্রাহীম হায়দারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত