Ajker Patrika

ইউপি চেয়ারম্যান, কর্মকর্তাসহ ১২৭ জনের নামে মামলা

বান্দরবান ও আলীকদম প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মে ২০২২, ১২: ২৭
ইউপি চেয়ারম্যান, কর্মকর্তাসহ ১২৭ জনের নামে মামলা

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ১২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই নির্বাচনে অংশ নেওয়া অপর ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আনোয়ার জিহাদ গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খলিল।

ইরফানুল হক চৌধুরী বান্দরবানের সিনিয়র সহকারী জজ পদে কর্মরত।

অ্যাডভোকেট খলিল জানান, আলীকদম ইউপির চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনোয়ার জিহাদের পক্ষে তিনি বান্দরবান নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইরফানুল হক চৌধুরীর আদালতে এ মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বিবাদীরা (আসামি) হলেন আলীকদম ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম চৌধুরী, ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ওবাইদুল হাকিম ও আতিকুল ইসলাম চৌধুরী, পোলিং কর্মকর্তা হুমাইরা জান্নাত লিমা, সামাহ্রী মারমা ও আবু জাফর। এ ছাড়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রামেল পাল, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হোছনগীর, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দীন ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চানু মারমাসহ সদর ইউনিয়নে ১ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা সব প্রিসাইডিং এবং সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর আলীকদম উপজেলার চারটি ইউপি ভোট হয়। এর মধ্যে আলীকদম ইউপিতে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আনোয়ার জিহাদ এ মামলা করেন। এদিকে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. নাছির উদ্দীনকে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী ঘোষণার পর তিনি শপথ গ্রহণ করেন।

অ্যাডভোকেট খলিল জানান, আলীকদম ইউপি নির্বাচনে মো. আনোয়ার জিহাদ মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহ’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ হলেও গণনার সময় বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রচুর কারচুপি করার অভিযোগ উঠে। এতে নির্বাচনী এলাকার দুর্গম ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে (প্রতিপক্ষ) নাছির উদ্দীনের পক্ষে অধিক ভোট কাস্টিং দেখানো হয়। এ সময় বাদীর নিযুক্ত এজেন্টদের কাছ থেকে ফরমে জোর করে স্বাক্ষর নিয়েও ফলাফলপত্র সরবরাহ করা হয়নি।

বাদী পক্ষের আইনজীবী বলেন, ভোটে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৯৯ দশমিক ১৯ শতাংশ ভোট কাস্টিং (গ্রহণ) দেখানো হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অনিয়মের অভিযোগ দিয়ে ভোট পুনঃগণনা ও দোষীদের বিচার দাবি জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন মো. আনোয়ার জিহাদ।

বাদী মো. আনোয়ার জিহাদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ভোট কারচুপির প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ করেছিলাম। নির্বাচন কমিশন অভিযোগ আমলে নিয়ে নির্বাচন স্থগিত করে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। এতেও কারচুপির প্রমাণ পাওয়া যায়।’ তারপরও নির্বাচন কমিশন ন্যায় বিচার না পাওয়ায় তিনি বৃহস্পতিবার (১২ মে) নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত