ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে ভাঙছে ব্রহ্মপুত্র, কান্না বাড়ছে কৃষকের। শত শত কৃষকের ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেকে। ভাঙন রোধে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নদীপাড়ের শত শত কৃষক।
সম্প্রতি ময়মনসিংহ সদর ও গৌরীপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাড়জুড়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন-আতঙ্কে রয়েছেন সদর উপজেলার চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের চরনিলক্ষীয়া গ্রাম এবং গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের খানপাড়া, খুলিয়ারচর, ভাটিপাড়া ও খোদাবক্সপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের শত শত কৃষক।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বর্ষার আগেই এ অবস্থা হলে বর্ষাকাল এলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। প্রশাসন দ্রুত উদ্যোগ না নিলে বাড়িঘরও বিলীন হয়ে যাবে নদে। প্রতি বছর এমন অবস্থা হলেও প্রশাসন স্থায়ীভাবে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ না হলে দুই-এক বছরের মধ্যে ঘরবাড়িও নদীতে চলে যাবে।
চরনিলক্ষীয়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা এলেই ব্রহ্মপুত্র নদের দুপাড়ে ভাঙন শুরু হয়। এ বছর বর্ষার আগেই ভাঙা শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক জনের ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাংনামারী ইউনিয়নের গজারিয়াপাড়ার কৃষক নূর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘নদের পাড় ভাঙনের ফলে আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। একটু একটু করে ভাঙতে ভাঙতে অনেক জায়গায় ৪০ থেকে ৫০ হাত জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কিছুটা উদ্যোগ নিয়ে ঘাটে কিছু মাটির বস্তা ফেলেছেন। এখানে স্থায়ী সমাধান দরকার।’
ভাটিপাড়ার ফাহিম ইসলাম বলেন, ‘ছয় থেকে সাত কিলোমিটারে ভাঙন শুরু হয়েছে। এখন একটু একটু করে ভাঙছে। পুরো বর্ষা শুরু হলে দৈনিক পাঁচ থেকে সাত হাত করে ভেঙে ভেতরে ঢুকবে। ভাঙনের কারণে আমরা জমিতে কোনো ফসলও করতে পারি না। কবে যে আমাদের বাড়ি-ঘর চলে যায় সে চিন্তায় রয়েছি।’
ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর ভাঙনের তীব্রতা অনেক বেশি। এ বছর ইতিমধ্যে ৫০ হাত ভেঙে ভেতরে ঢুকেছে। আরও হয়তো ১০০ হাতের মতো ভাঙবে। আমরা প্রশাসনকে বারবার বলে আসছি বেড়িবাঁধ দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না। বেড়িবাঁধ না দিলে আমাদের এলাকাকে বাঁচানো সম্ভব না।’
ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেযামুল হক বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাড় ভাঙার কারণে মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ভাঙন রোধে অবহিত করা হয়েছে।’
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র বড় নদ। তাই দুপাড় ভাঙে। আমরা এসব বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করি। তারা যদি উদ্যোগ না নেয় তাহলে আমাদের বেশি কিছু করার থাকে না।’
ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইউনুস আলী বলেন, ময়মনসিংহের পাঁচটি উপজেলার ১৬টি পয়েন্টে প্রতি বছর ভাঙন দেখা দেয়। গত বছরও গৌরীপুরে ব্যাপক হারে ভাঙন দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হয়। ভাঙন রোধ স্থায়ীভাবে নিরসন করার জন্য ৫৪৩ কোটি টাকা প্রকল্প বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে।
ময়মনসিংহে ভাঙছে ব্রহ্মপুত্র, কান্না বাড়ছে কৃষকের। শত শত কৃষকের ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেকে। ভাঙন রোধে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নদীপাড়ের শত শত কৃষক।
সম্প্রতি ময়মনসিংহ সদর ও গৌরীপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাড়জুড়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন-আতঙ্কে রয়েছেন সদর উপজেলার চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের চরনিলক্ষীয়া গ্রাম এবং গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের খানপাড়া, খুলিয়ারচর, ভাটিপাড়া ও খোদাবক্সপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের শত শত কৃষক।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বর্ষার আগেই এ অবস্থা হলে বর্ষাকাল এলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। প্রশাসন দ্রুত উদ্যোগ না নিলে বাড়িঘরও বিলীন হয়ে যাবে নদে। প্রতি বছর এমন অবস্থা হলেও প্রশাসন স্থায়ীভাবে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ না হলে দুই-এক বছরের মধ্যে ঘরবাড়িও নদীতে চলে যাবে।
চরনিলক্ষীয়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা এলেই ব্রহ্মপুত্র নদের দুপাড়ে ভাঙন শুরু হয়। এ বছর বর্ষার আগেই ভাঙা শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক জনের ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাংনামারী ইউনিয়নের গজারিয়াপাড়ার কৃষক নূর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘নদের পাড় ভাঙনের ফলে আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। একটু একটু করে ভাঙতে ভাঙতে অনেক জায়গায় ৪০ থেকে ৫০ হাত জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কিছুটা উদ্যোগ নিয়ে ঘাটে কিছু মাটির বস্তা ফেলেছেন। এখানে স্থায়ী সমাধান দরকার।’
ভাটিপাড়ার ফাহিম ইসলাম বলেন, ‘ছয় থেকে সাত কিলোমিটারে ভাঙন শুরু হয়েছে। এখন একটু একটু করে ভাঙছে। পুরো বর্ষা শুরু হলে দৈনিক পাঁচ থেকে সাত হাত করে ভেঙে ভেতরে ঢুকবে। ভাঙনের কারণে আমরা জমিতে কোনো ফসলও করতে পারি না। কবে যে আমাদের বাড়ি-ঘর চলে যায় সে চিন্তায় রয়েছি।’
ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর ভাঙনের তীব্রতা অনেক বেশি। এ বছর ইতিমধ্যে ৫০ হাত ভেঙে ভেতরে ঢুকেছে। আরও হয়তো ১০০ হাতের মতো ভাঙবে। আমরা প্রশাসনকে বারবার বলে আসছি বেড়িবাঁধ দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না। বেড়িবাঁধ না দিলে আমাদের এলাকাকে বাঁচানো সম্ভব না।’
ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেযামুল হক বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাড় ভাঙার কারণে মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ভাঙন রোধে অবহিত করা হয়েছে।’
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র বড় নদ। তাই দুপাড় ভাঙে। আমরা এসব বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করি। তারা যদি উদ্যোগ না নেয় তাহলে আমাদের বেশি কিছু করার থাকে না।’
ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইউনুস আলী বলেন, ময়মনসিংহের পাঁচটি উপজেলার ১৬টি পয়েন্টে প্রতি বছর ভাঙন দেখা দেয়। গত বছরও গৌরীপুরে ব্যাপক হারে ভাঙন দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হয়। ভাঙন রোধ স্থায়ীভাবে নিরসন করার জন্য ৫৪৩ কোটি টাকা প্রকল্প বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে