মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত উন্নয়নে দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। সৈকতের ভাঙন প্রতিরোধে অপরিকল্পিতভাবে ৩ বছরে ৮ কোটি টাকা ব্যয় করলেও তা কাজে আসেনি। জিও ব্যাগ এবং জিও টিউবের কারণে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এই অবস্থায় সৈকতের ভাঙন প্রতিরোধে পাইলটিং কাজ ছাড়াই ৬৮টি গ্রোয়েন বাঁধ ও বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণসহ আবারও ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এটি কতটুকু বাস্তবসম্মত এবং টেকসই হবে, সে বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা ও জনপ্রতিনিধিরা মনে করছেন, ৬৮টি গ্রোয়েন বাঁধ দিলে কংক্রিটের একটি সৈকতে পরিণত হবে কুয়াকাটা। এ ছাড়া প্রতিবছর অপরিকল্পিত উন্নয়নে সরকারের অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি শ্রীহীন হয়ে পড়ছে সৈকত। তবে পাউবো জানায়, ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আবারও জৌলুশ ফিরে পাবে কুয়াকাটা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সমুদ্রসৈকতের জিরো পয়েন্টের দুই পাশে ৩ বছরে ৮ কোটি টাকা ব্যয় করে তীর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। ২০১৯ সালে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই কিলোমিটার এলাকায় জিও ব্যাগ এ জিও টিউব স্থাপন করে, যা কিছুদিন পরই সমুদ্রে ভেসে যায়। ২০২১ সালে ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সৈকতের দেড় কিলোমিটারে জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব স্থাপন করে। এগুলোও ভেসে গেছে পানিতে। সর্বশেষ চলতি বছর সৈকতের দুই কিলোমিটার এলাকায় ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব স্থাপন করে, যা পর্যটকদের জন্য মরণফাঁদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। পর্যটকেরা সৈকতে গোসল করতে নেমে জিও ব্যাগ ও জিও টিউবের সঙ্গে ঢেউয়ের ঝাপটায় আঘাত পেয়ে আহত হচ্ছেন।
এদিকে কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙন প্রতিরোধে ২০২০ সালে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) একটি সার্ভে করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্ট এবং তাঁদের সুপারিশ অনুযায়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড ৯৪৯ কোটি টাকার একটি ডিপিপি প্রণয়ন করে। ২০২০ সালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম কুয়াকাটা এলে এই প্রকল্প ১২০০ কোটি টাকা করা হয়। এই প্রকল্পে সৈকতের প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকায় ১৪০ মিটার পরপর ৭০ মিটার দীর্ঘ ৬৮টি গ্রোয়েন বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রকল্প আদৌ কুয়াকাটার সৌন্দর্য রক্ষা করে ভাঙন প্রতিরোধ করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে কোনো পাইলটিং কাজ করা হয়নি। ফলে এর সফলতা ও বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় জিও ব্যাগ ও জিও টিউব স্থাপন জরুরি কাজের অংশ হিসেবে করা হয়েছে। বর্তমানে আইডব্লিউএমের সার্ভে অনুযায়ী, ১২০০ কোটি টাকার একটি ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কুয়াকাটা সৈকত তার জৌলুশ ফিরে পাবে।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ১২০০ কোটি টাকার যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে, এটি সৈকত ধ্বংস করার একটি প্রকল্প। সি বিচে ৬৮টি গ্রোয়েন বাঁধ নির্মাণ করা হলে পর্যটকেরা আহত হবেন। কুয়াকাটা একটি কংক্রিটের শহরে পরিণত হবে। স্থায়ী দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে কুয়াকাটাকে রক্ষা ও এর সৌন্দর্যবর্ধন করা হোক।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে সৈকত রক্ষা করা সম্ভব নয়। দরকার স্থায়ী প্রকল্প। তবে আমরা দীর্ঘদিন থেকেই গ্রোয়েন বাঁধের কথা বলছি। সেটা ৩ থেকে ৪টির বেশি নয়। ৬৮টি গ্রোয়েন বাঁধ করা হলে সৈকত পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাবে। সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে এনে স্থায়ীভাবে সৈকত রক্ষা করতে হবে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত উন্নয়নে দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। সৈকতের ভাঙন প্রতিরোধে অপরিকল্পিতভাবে ৩ বছরে ৮ কোটি টাকা ব্যয় করলেও তা কাজে আসেনি। জিও ব্যাগ এবং জিও টিউবের কারণে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এই অবস্থায় সৈকতের ভাঙন প্রতিরোধে পাইলটিং কাজ ছাড়াই ৬৮টি গ্রোয়েন বাঁধ ও বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণসহ আবারও ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এটি কতটুকু বাস্তবসম্মত এবং টেকসই হবে, সে বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা ও জনপ্রতিনিধিরা মনে করছেন, ৬৮টি গ্রোয়েন বাঁধ দিলে কংক্রিটের একটি সৈকতে পরিণত হবে কুয়াকাটা। এ ছাড়া প্রতিবছর অপরিকল্পিত উন্নয়নে সরকারের অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি শ্রীহীন হয়ে পড়ছে সৈকত। তবে পাউবো জানায়, ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আবারও জৌলুশ ফিরে পাবে কুয়াকাটা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সমুদ্রসৈকতের জিরো পয়েন্টের দুই পাশে ৩ বছরে ৮ কোটি টাকা ব্যয় করে তীর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। ২০১৯ সালে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই কিলোমিটার এলাকায় জিও ব্যাগ এ জিও টিউব স্থাপন করে, যা কিছুদিন পরই সমুদ্রে ভেসে যায়। ২০২১ সালে ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সৈকতের দেড় কিলোমিটারে জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব স্থাপন করে। এগুলোও ভেসে গেছে পানিতে। সর্বশেষ চলতি বছর সৈকতের দুই কিলোমিটার এলাকায় ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব স্থাপন করে, যা পর্যটকদের জন্য মরণফাঁদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। পর্যটকেরা সৈকতে গোসল করতে নেমে জিও ব্যাগ ও জিও টিউবের সঙ্গে ঢেউয়ের ঝাপটায় আঘাত পেয়ে আহত হচ্ছেন।
এদিকে কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙন প্রতিরোধে ২০২০ সালে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) একটি সার্ভে করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্ট এবং তাঁদের সুপারিশ অনুযায়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড ৯৪৯ কোটি টাকার একটি ডিপিপি প্রণয়ন করে। ২০২০ সালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম কুয়াকাটা এলে এই প্রকল্প ১২০০ কোটি টাকা করা হয়। এই প্রকল্পে সৈকতের প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকায় ১৪০ মিটার পরপর ৭০ মিটার দীর্ঘ ৬৮টি গ্রোয়েন বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রকল্প আদৌ কুয়াকাটার সৌন্দর্য রক্ষা করে ভাঙন প্রতিরোধ করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে কোনো পাইলটিং কাজ করা হয়নি। ফলে এর সফলতা ও বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় জিও ব্যাগ ও জিও টিউব স্থাপন জরুরি কাজের অংশ হিসেবে করা হয়েছে। বর্তমানে আইডব্লিউএমের সার্ভে অনুযায়ী, ১২০০ কোটি টাকার একটি ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কুয়াকাটা সৈকত তার জৌলুশ ফিরে পাবে।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ১২০০ কোটি টাকার যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে, এটি সৈকত ধ্বংস করার একটি প্রকল্প। সি বিচে ৬৮টি গ্রোয়েন বাঁধ নির্মাণ করা হলে পর্যটকেরা আহত হবেন। কুয়াকাটা একটি কংক্রিটের শহরে পরিণত হবে। স্থায়ী দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে কুয়াকাটাকে রক্ষা ও এর সৌন্দর্যবর্ধন করা হোক।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে সৈকত রক্ষা করা সম্ভব নয়। দরকার স্থায়ী প্রকল্প। তবে আমরা দীর্ঘদিন থেকেই গ্রোয়েন বাঁধের কথা বলছি। সেটা ৩ থেকে ৪টির বেশি নয়। ৬৮টি গ্রোয়েন বাঁধ করা হলে সৈকত পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাবে। সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে এনে স্থায়ীভাবে সৈকত রক্ষা করতে হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪