রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির রামগড়ে গত রোববার ট্রাকচাপায় নিহত হন মা ও মেয়ে। পিচঢালা রাস্তায় মেয়েকে বুকে জড়িয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় মা ও মেয়ের। অথচ এমন ঘটনায় চালকের বিরুদ্ধে কোনো মামলাই হয়নি। অভিযোগ উঠেছে লাখ টাকায় নিহতের পরিবার সঙ্গে সমঝোতা করেছেন ট্রাকমালিক। এদিকে এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সর্বত্র চলছে তীব্র সমালোচনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সম্প্রতি এই সড়কে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত ও আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। কিন্তু অধিকাংশ সময় চালকের কোনো শাস্তি হয় না। খুব সহজে পার পেয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় অপরাধীরা। রোববারও সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ে নিহত হওয়ার পর ‘সমঝোতা’ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন চালক।
রামগড়ের পাতাছড়ার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম এই সমঝোতার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহত ও আহতদের পরিবারের সম্মতিতে গত রোববার রাতেই এই সমঝোতা হয়।’
এ বিষয়ে জানতে নিহত তাছলিমা আক্তারের স্বামী সালেহ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মামলা করে কি আর তাদের ফিরে পাব?’ তবে তাঁর বড় ভাই আলমগীর ট্রাকমালিকের সঙ্গে কথা বলে দুর্ঘটনার বিষয়ে সমাধান করেছেন বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্ঘটনার দিন রাতেই আপসের উদ্দেশ্যে ঘাতক ডাম্পার ট্রাকের মালিক হেদায়েত উল্লাহ, প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং নিহতের পরিবারের সদস্যরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে নিহত তাছলিমা আক্তার ও তাঁর শিশুকন্যা তানহার পরিবারের পক্ষে নিহতের ভাশুর আলমগীরকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং আহত আজিজ উল্যাহ, মমতাজ বেগম ও রওনারা বেগমকে চিকিৎসার জন্য মোট ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে সমঝোতা করেন ট্রাকমালিক।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, ‘দুপক্ষের আপসের কারণে নিহত বা আহতদের কারও অভিযোগ না থাকায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।’
এদিকে এমন ঘটনার পর রামগড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ নিয়ে সাংবাদিক নিজাম উদ্দীন লাভলু বলেন, ‘এখানে প্রায় সময় এমন দুর্ঘটনা ঘটে। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও প্রশাসনের টনক নড়ে না কখনো। অপেশাদার এবং অদক্ষ চালকদের দিয়ে মালিকপক্ষ প্রতিনিয়ত সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন। প্রশাসনের সঠিক নজরদারি থাকলে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি হতো না।’
হাবিব আহমেদ নামের এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘এসব দুর্ঘটনা একপ্রকার হত্যাকাণ্ড। জরিমানা দিয়ে আপস একপ্রকার একটি আইনে পরিণত হয়েছে। দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে পদক্ষেপ না নিয়ে টাকা দিয়ে সমঝোতা করা মানবতার চরম অবক্ষয়।’
এদিকে, দুর্ঘটনায় শিশুকন্যাসহ নিহত তাছলিমা আক্তারের পরিবারকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে গত রোববার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মো. ইখতিকার উদ্দীন আরাফাত তাঁর কার্যালয়ে নিহতের স্বামী সালেহ আহমেদকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রোববার খাগড়াছড়ির রামগড়ের তৈছালাপাড়া এলাকায় বালু পরিবহনকারী ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই শিশুকন্যাসহ মা নিহত হন। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশার অপর পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন। নিহতরা হলেন উপজেলার পাতাছড়া এলাকার সালেহ আহমেদের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (২৭) ও তাঁর এক বছরের শিশুকন্যা তানহা। এ ঘটনায় তাঁদের আরেক সন্তান মোহাম্মদ তানভীর (৭) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন মোহাম্মদ তানভীর, উপজেলার নাকাপা গ্রামের মোহাম্মদ নুরুন্নবীর ছেলে আজিজ উল্ল্যাহ (২৭), আধারমানিক এলাকার তৈয়ব আলীর স্ত্রী রওনারা বেগম (৬০), সিএনজিচালক রনি ও মমতাজ বেগম (২০)।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে গত রোববার ট্রাকচাপায় নিহত হন মা ও মেয়ে। পিচঢালা রাস্তায় মেয়েকে বুকে জড়িয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় মা ও মেয়ের। অথচ এমন ঘটনায় চালকের বিরুদ্ধে কোনো মামলাই হয়নি। অভিযোগ উঠেছে লাখ টাকায় নিহতের পরিবার সঙ্গে সমঝোতা করেছেন ট্রাকমালিক। এদিকে এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সর্বত্র চলছে তীব্র সমালোচনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সম্প্রতি এই সড়কে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত ও আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। কিন্তু অধিকাংশ সময় চালকের কোনো শাস্তি হয় না। খুব সহজে পার পেয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় অপরাধীরা। রোববারও সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ে নিহত হওয়ার পর ‘সমঝোতা’ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন চালক।
রামগড়ের পাতাছড়ার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম এই সমঝোতার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহত ও আহতদের পরিবারের সম্মতিতে গত রোববার রাতেই এই সমঝোতা হয়।’
এ বিষয়ে জানতে নিহত তাছলিমা আক্তারের স্বামী সালেহ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মামলা করে কি আর তাদের ফিরে পাব?’ তবে তাঁর বড় ভাই আলমগীর ট্রাকমালিকের সঙ্গে কথা বলে দুর্ঘটনার বিষয়ে সমাধান করেছেন বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্ঘটনার দিন রাতেই আপসের উদ্দেশ্যে ঘাতক ডাম্পার ট্রাকের মালিক হেদায়েত উল্লাহ, প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং নিহতের পরিবারের সদস্যরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে নিহত তাছলিমা আক্তার ও তাঁর শিশুকন্যা তানহার পরিবারের পক্ষে নিহতের ভাশুর আলমগীরকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং আহত আজিজ উল্যাহ, মমতাজ বেগম ও রওনারা বেগমকে চিকিৎসার জন্য মোট ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে সমঝোতা করেন ট্রাকমালিক।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, ‘দুপক্ষের আপসের কারণে নিহত বা আহতদের কারও অভিযোগ না থাকায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।’
এদিকে এমন ঘটনার পর রামগড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ নিয়ে সাংবাদিক নিজাম উদ্দীন লাভলু বলেন, ‘এখানে প্রায় সময় এমন দুর্ঘটনা ঘটে। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও প্রশাসনের টনক নড়ে না কখনো। অপেশাদার এবং অদক্ষ চালকদের দিয়ে মালিকপক্ষ প্রতিনিয়ত সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন। প্রশাসনের সঠিক নজরদারি থাকলে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি হতো না।’
হাবিব আহমেদ নামের এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘এসব দুর্ঘটনা একপ্রকার হত্যাকাণ্ড। জরিমানা দিয়ে আপস একপ্রকার একটি আইনে পরিণত হয়েছে। দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে পদক্ষেপ না নিয়ে টাকা দিয়ে সমঝোতা করা মানবতার চরম অবক্ষয়।’
এদিকে, দুর্ঘটনায় শিশুকন্যাসহ নিহত তাছলিমা আক্তারের পরিবারকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে গত রোববার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মো. ইখতিকার উদ্দীন আরাফাত তাঁর কার্যালয়ে নিহতের স্বামী সালেহ আহমেদকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রোববার খাগড়াছড়ির রামগড়ের তৈছালাপাড়া এলাকায় বালু পরিবহনকারী ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই শিশুকন্যাসহ মা নিহত হন। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশার অপর পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন। নিহতরা হলেন উপজেলার পাতাছড়া এলাকার সালেহ আহমেদের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (২৭) ও তাঁর এক বছরের শিশুকন্যা তানহা। এ ঘটনায় তাঁদের আরেক সন্তান মোহাম্মদ তানভীর (৭) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন মোহাম্মদ তানভীর, উপজেলার নাকাপা গ্রামের মোহাম্মদ নুরুন্নবীর ছেলে আজিজ উল্ল্যাহ (২৭), আধারমানিক এলাকার তৈয়ব আলীর স্ত্রী রওনারা বেগম (৬০), সিএনজিচালক রনি ও মমতাজ বেগম (২০)।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে