মোবারকনামা সিরিজে আপনার অভিনীত সুরাইয়া চরিত্রটি বেশ উচ্ছৃঙ্খল, একপর্যায়ে যে ধর্ষণের শিকার হয়। এ ধরনের চরিত্রে অনেকে অভিনয়ের আগ্রহ দেখান না। আপনি রাজি হলেন কী ভেবে?
কোনো স্ক্রিপ্ট পড়ার সময় আমি দেখি, যে চরিত্রটি করব, গল্পে সেই চরিত্রের প্রভাব কেমন। সেই সঙ্গে দেখি, চরিত্রটির সঙ্গে আমি বাস করতে পারব কি না। সুরাইয়া চরিত্রে অভিনয় করার সময়েও এ বিষয়গুলো ভেবেছি। যখন শুনলাম, এখানে রেপের বিষয়টি থাকবে, তখন সংলাপ ও দৃশ্যগুলো গল্পের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা জানার চেষ্টা করেছি। আমার মধ্যেও প্রশ্ন জেগেছিল, চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে কি এভাবেই উপস্থাপন করতে হবে? সবকিছু জেনে বুঝতে পারি, সুরাইয়াকে দর্শকের সামনে বাস্তবরূপে ফুটিয়ে তুলতে এভাবেই করতে হবে। এককথায়, চরিত্রটি ঠিকঠাকভাবে ফুটিয়ে তুলতে যা দরকার, সেটাই করেছি।
এ সিরিজে আপনার চরিত্রের মুখে অনেক ‘বোল্ড’ সংলাপ আছে। এটা নিয়ে দর্শকের কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসতে পারে এটা বুঝতে পেরেছি রিলিজের পর। গল্প নিয়ে সবাই পজিটিভ বলছে। অনেককে দেখলাম আমাকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। এ সিরিজে সমালোচনা করার মতো কোনো দৃশ্য নেই। তবে হ্যাঁ, কিছু সংলাপ অনেক বোল্ড ছিল। যাঁরা দেখেছেন তাঁরা নিশ্চয় বুঝবেন, সংলাপগুলো গল্পের প্রয়োজনেই এসেছে।
পোশাক দিয়ে নারীর চরিত্র বিচার করা হয়, নারীর ‘না’ মানে সমাজ ‘হ্যাঁ’ ভেবে নেয়—এ রকম কিছু বিষয় উঠে এসেছে মোবারকনামায়। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?
সব ক্ষেত্রে নয়, একটা অংশে এই কথার সঙ্গে আমি একমত। পোশাক দিয়ে কখনোই কোনো মানুষের ব্যক্তিত্ব যাচাই করা যায় না।মেয়েদের জায়গা থেকে বলি, পোশাক শরীরের সুরক্ষা, মানসিক শান্তি, কাজের কমফোর্ট ও স্টাইলের বহিঃপ্রকাশ। এ ছাড়া আবহাওয়া অনুযায়ী আমরা পোশাক পরে থাকি। এখনো অনেকে পোশাক দিয়ে নারীর চরিত্র যাচাইয়ের চেষ্টা করেন বা এমন ধারণা পোষণ করেন। তবে ধীরে ধীরে এ মানসিকতা কমছে। সামনে আরও কমবে।
মোবারকনামায় মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করলেন। সহশিল্পী হিসেবে তিনি কেমন?
সেটে প্রতিদিন তাঁকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। উনি এমন একজন মানুষ, যিনি পুরো ইউনিটকে নিয়ে একসঙ্গে এগোতে চান। সেটে উনি একজন লিডারের মতো। আর মানুষ হিসেবে একেবারে মাটির কাছাকাছি।
দেশে ওয়েব মাধ্যম এখন চলছে সিন্ডিকেট। নির্দিষ্ট দলে না থাকলে কাজ পাওয়া যায় না—এমন অভিযোগ করেন অনেকে। এ বিষয়টি নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
যাঁদের সঙ্গে আমার চলাফেরা আছে, তাঁদের প্রতি টান বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এ কারণেই হয়তো নির্মাতাদের কাছের মানুষেরা বেশি কাজ পাচ্ছেন। আমি এখনো কারও কাছের মানুষ হতে পারিনি। কিন্তু দর্শকেরা আমাকে পছন্দ করেন বলেই কিছু কাজ পাচ্ছি। সব মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
আপনি তো নৃত্যশিল্পী। অভিনয়ে এলেন কীভাবে?
ছোটবেলায় টিভিতে নাচের অনুষ্ঠান দেখতাম। বিশেষ করে লায়লা হাসান, অপি করিম, শাবনূর, রিচি সোলায়মান, বিজরী বরকতউল্লাহ, মাধুরী দীক্ষিতের নাচ দেখেই নাচের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। উনারা তো একই সঙ্গে অভিনয়শিল্পী। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের অভিনয় আমাকে আকৃষ্ট করে। আমার অভিনয়ের শুরুটা হয়েছে ২০১৫ সালে। সালাউদ্দিন লাভলুর ‘সোনার পাখি রুপার পাখি’ নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পাই। সুযোগ পাওয়ার পর মনে হলো, শুরু যখন হয়েই গেল, তাহলে ভালো করেই করতে হবে।
মোবারকনামা সিরিজে আপনার অভিনীত সুরাইয়া চরিত্রটি বেশ উচ্ছৃঙ্খল, একপর্যায়ে যে ধর্ষণের শিকার হয়। এ ধরনের চরিত্রে অনেকে অভিনয়ের আগ্রহ দেখান না। আপনি রাজি হলেন কী ভেবে?
কোনো স্ক্রিপ্ট পড়ার সময় আমি দেখি, যে চরিত্রটি করব, গল্পে সেই চরিত্রের প্রভাব কেমন। সেই সঙ্গে দেখি, চরিত্রটির সঙ্গে আমি বাস করতে পারব কি না। সুরাইয়া চরিত্রে অভিনয় করার সময়েও এ বিষয়গুলো ভেবেছি। যখন শুনলাম, এখানে রেপের বিষয়টি থাকবে, তখন সংলাপ ও দৃশ্যগুলো গল্পের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা জানার চেষ্টা করেছি। আমার মধ্যেও প্রশ্ন জেগেছিল, চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে কি এভাবেই উপস্থাপন করতে হবে? সবকিছু জেনে বুঝতে পারি, সুরাইয়াকে দর্শকের সামনে বাস্তবরূপে ফুটিয়ে তুলতে এভাবেই করতে হবে। এককথায়, চরিত্রটি ঠিকঠাকভাবে ফুটিয়ে তুলতে যা দরকার, সেটাই করেছি।
এ সিরিজে আপনার চরিত্রের মুখে অনেক ‘বোল্ড’ সংলাপ আছে। এটা নিয়ে দর্শকের কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসতে পারে এটা বুঝতে পেরেছি রিলিজের পর। গল্প নিয়ে সবাই পজিটিভ বলছে। অনেককে দেখলাম আমাকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। এ সিরিজে সমালোচনা করার মতো কোনো দৃশ্য নেই। তবে হ্যাঁ, কিছু সংলাপ অনেক বোল্ড ছিল। যাঁরা দেখেছেন তাঁরা নিশ্চয় বুঝবেন, সংলাপগুলো গল্পের প্রয়োজনেই এসেছে।
পোশাক দিয়ে নারীর চরিত্র বিচার করা হয়, নারীর ‘না’ মানে সমাজ ‘হ্যাঁ’ ভেবে নেয়—এ রকম কিছু বিষয় উঠে এসেছে মোবারকনামায়। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?
সব ক্ষেত্রে নয়, একটা অংশে এই কথার সঙ্গে আমি একমত। পোশাক দিয়ে কখনোই কোনো মানুষের ব্যক্তিত্ব যাচাই করা যায় না।মেয়েদের জায়গা থেকে বলি, পোশাক শরীরের সুরক্ষা, মানসিক শান্তি, কাজের কমফোর্ট ও স্টাইলের বহিঃপ্রকাশ। এ ছাড়া আবহাওয়া অনুযায়ী আমরা পোশাক পরে থাকি। এখনো অনেকে পোশাক দিয়ে নারীর চরিত্র যাচাইয়ের চেষ্টা করেন বা এমন ধারণা পোষণ করেন। তবে ধীরে ধীরে এ মানসিকতা কমছে। সামনে আরও কমবে।
মোবারকনামায় মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করলেন। সহশিল্পী হিসেবে তিনি কেমন?
সেটে প্রতিদিন তাঁকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। উনি এমন একজন মানুষ, যিনি পুরো ইউনিটকে নিয়ে একসঙ্গে এগোতে চান। সেটে উনি একজন লিডারের মতো। আর মানুষ হিসেবে একেবারে মাটির কাছাকাছি।
দেশে ওয়েব মাধ্যম এখন চলছে সিন্ডিকেট। নির্দিষ্ট দলে না থাকলে কাজ পাওয়া যায় না—এমন অভিযোগ করেন অনেকে। এ বিষয়টি নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
যাঁদের সঙ্গে আমার চলাফেরা আছে, তাঁদের প্রতি টান বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এ কারণেই হয়তো নির্মাতাদের কাছের মানুষেরা বেশি কাজ পাচ্ছেন। আমি এখনো কারও কাছের মানুষ হতে পারিনি। কিন্তু দর্শকেরা আমাকে পছন্দ করেন বলেই কিছু কাজ পাচ্ছি। সব মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
আপনি তো নৃত্যশিল্পী। অভিনয়ে এলেন কীভাবে?
ছোটবেলায় টিভিতে নাচের অনুষ্ঠান দেখতাম। বিশেষ করে লায়লা হাসান, অপি করিম, শাবনূর, রিচি সোলায়মান, বিজরী বরকতউল্লাহ, মাধুরী দীক্ষিতের নাচ দেখেই নাচের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। উনারা তো একই সঙ্গে অভিনয়শিল্পী। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের অভিনয় আমাকে আকৃষ্ট করে। আমার অভিনয়ের শুরুটা হয়েছে ২০১৫ সালে। সালাউদ্দিন লাভলুর ‘সোনার পাখি রুপার পাখি’ নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পাই। সুযোগ পাওয়ার পর মনে হলো, শুরু যখন হয়েই গেল, তাহলে ভালো করেই করতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে