ষষ্ঠ ও একাদশ শ্রেণিতে উপবৃত্তি পাবে সবাই

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, ১৪: ৫২
Thumbnail image

রংপুর বিভাগের সাত উপজেলার ষষ্ঠ এবং একাদশ শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের বাস্তবায়নাধীন সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির নীতিমালা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি থেকে ৬ মার্চ জারি করা একটি পত্রে চলতি বছরে ষষ্ঠ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি নেওয়ার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পূরণ করা আবেদন যাচাইবাছাই করে নির্ধারিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। ১০ এপ্রিলের মধ্যে যাচাইবাছাই করা শিক্ষার্থীদের তথ্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে।

একই পত্রে বলা হয়েছে, সারা দেশের মধ্যে মাত্র ১০ উপজেলার ষষ্ঠ ও একাদশ শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে সমন্বিত উপবৃত্তির আওতায় নেওয়া হবে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর জেলার সাতটি উপজেলা রয়েছে। এগুলো হলো কুড়িগ্রাম সদর, চর রাজিবপুর, চিলমারী, উলিপুর ও ভূরুঙ্গামারী এবং দিনাজপুরের কাহারোল ও খানসামা।

দেশের অপর তিন উপজেলা হলো চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম এবং ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর।

দারিদ্র্যের ভিত্তিতে উল্লেখিত ১০ উপজেলার দুই শ্রেণির সব শিক্ষার্থী সমন্বিত উপবৃত্তির জন্য সরাসরি মনোনীত হবে। দেশের অন্যান্য উপজেলার কত শতাংশ শিক্ষার্থীকে এই সুবিধার আওতায় নেওয়া হবে এ বিষয়ে জারি করা পত্রে কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য শর্তাবলি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিঠাপুকুরের হেনা মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. খাজানুর রহমান। তিনি জানান, সব শিক্ষার্থীকে আবেদন ফরম দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ফরম পূরণ করে জমা দেওয়ার পর সেগুলো যাচাইবাছাই করে শিক্ষার্থীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।

সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় এর আগে মোট শিক্ষার্থীর ৪০ শতাংশকে উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান খাজানুর রহমান।

একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুল আজম মিয়া বলেন, উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী দরিদ্র। শতভাগ শিক্ষার্থীকে বিশেষ করে ছাত্রীদের উপবৃত্তি না দিলে কাকে দেওয়া হবে তা বাছাই করার সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, অতি দরিদ্র, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত, প্রতিবন্ধী, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের সন্তানদের উপবৃত্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত