আজকের পত্রিকা
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিজয়ের অর্ধশত বছর পূর্ণ হয়। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীকে বরণ করতে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে নানা আয়োজন করা হয়। স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে:
সুনামগঞ্জ: দিনের প্রথম প্রহরে সূর্যোদয়ের পর পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয় সুনামগঞ্জে। জেলার আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুনামগঞ্জে দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন।
সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ হয়। বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারও এতে অংশ। বেলা ১১টায় শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমন, পৌর মেয়র নাদের বখতসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্যে পালন করা হয়।
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) : ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বীর শহীদের স্মৃতির উদ্দেশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজন করে। এ সময় উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংঘটনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) : যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে ছাতকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা দিনটি বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করে। দিবসের প্রথম প্রহরে ছাতক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও ভোরে শিখা সতেরো স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সতেরো শিখা স্মৃতিসৌধে ইউএনও মামুনুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান জাতীয় দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে নানা কর্মসূচিতে পালন করা হয়েছে। সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বেলুন উড়িয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান জাতীয় দিবস পালিত হয়।
জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) : যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয় এ উপজেলায়। এদিন সকালে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা দিনটি বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করেন। ৩৩ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়।
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) : এ দুই উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপিত হয়েছে। সকালে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা দিনটিকে বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
হবিগঞ্জ: এদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে সর্বস্তরের মানুষ। দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর ‘দুর্জয় হবিগঞ্জ’-এ শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ও পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলিসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। পরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানান।
সকাল ৮টায় শহরের জালাল স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক ডিসপ্লে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পুলিশ, আনসাররা অংশ নেয়। দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজার: বীরত্বগাথা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পঞ্চাশতম বার্ষিকীতে মৌলভীবাজারে ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের। ভোরের আলো ফোটার আগেই শীত উপেক্ষা করে জেলার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিভিন্ন সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষেরা।
সকালে জেলা শহরের সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, প্রেসক্লাব মৌলভীবাজার ও জেলা বিএনপিসহ অন্যান্য ব্যক্তি সংগঠন। এ ছাড়া শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিট এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) : বড়লেখায় যথাযথ মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপিত হয়েছে। বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বড়লেখা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় শহীদ মিনারে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এতে বড়লেখা উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
সকালে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পৌর শহরের পাথারিয়া ছোটলিখা সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসারসহ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী হয়। দুপুরে বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা হয়।
এদিকে দুপুরে পৌর শহরে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠন পৌর শহরের পৃথক শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভা হয়। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযথ মর্যাদায় সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করে।
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) : মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে উপজেলায় ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপিত হয়। উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে ও বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। সকাল ৯টায় কমলগঞ্জ মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
রাজনগর (মৌলভীবাজার): বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর রাজনগর পোর্টিয়াস মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিজয়ের অর্ধশত বছর পূর্ণ হয়। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীকে বরণ করতে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে নানা আয়োজন করা হয়। স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে:
সুনামগঞ্জ: দিনের প্রথম প্রহরে সূর্যোদয়ের পর পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয় সুনামগঞ্জে। জেলার আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুনামগঞ্জে দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন।
সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ হয়। বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারও এতে অংশ। বেলা ১১টায় শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমন, পৌর মেয়র নাদের বখতসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্যে পালন করা হয়।
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) : ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বীর শহীদের স্মৃতির উদ্দেশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজন করে। এ সময় উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংঘটনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) : যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে ছাতকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা দিনটি বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করে। দিবসের প্রথম প্রহরে ছাতক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও ভোরে শিখা সতেরো স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সতেরো শিখা স্মৃতিসৌধে ইউএনও মামুনুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান জাতীয় দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জে নানা কর্মসূচিতে পালন করা হয়েছে। সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বেলুন উড়িয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান জাতীয় দিবস পালিত হয়।
জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) : যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয় এ উপজেলায়। এদিন সকালে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা দিনটি বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করেন। ৩৩ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়।
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) : এ দুই উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপিত হয়েছে। সকালে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা দিনটিকে বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
হবিগঞ্জ: এদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে সর্বস্তরের মানুষ। দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর ‘দুর্জয় হবিগঞ্জ’-এ শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ও পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলিসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। পরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানান।
সকাল ৮টায় শহরের জালাল স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক ডিসপ্লে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পুলিশ, আনসাররা অংশ নেয়। দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজার: বীরত্বগাথা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পঞ্চাশতম বার্ষিকীতে মৌলভীবাজারে ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের। ভোরের আলো ফোটার আগেই শীত উপেক্ষা করে জেলার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিভিন্ন সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষেরা।
সকালে জেলা শহরের সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, প্রেসক্লাব মৌলভীবাজার ও জেলা বিএনপিসহ অন্যান্য ব্যক্তি সংগঠন। এ ছাড়া শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিট এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) : বড়লেখায় যথাযথ মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপিত হয়েছে। বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বড়লেখা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় শহীদ মিনারে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এতে বড়লেখা উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
সকালে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পৌর শহরের পাথারিয়া ছোটলিখা সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসারসহ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী হয়। দুপুরে বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা হয়।
এদিকে দুপুরে পৌর শহরে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠন পৌর শহরের পৃথক শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভা হয়। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযথ মর্যাদায় সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করে।
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) : মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে উপজেলায় ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপিত হয়। উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে ও বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। সকাল ৯টায় কমলগঞ্জ মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
রাজনগর (মৌলভীবাজার): বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর রাজনগর পোর্টিয়াস মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে