দাকোপ প্রতিনিধি
মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ার কারণে আমন ধানের ফলন নিয়ে আশঙ্কা ছিল খুলনার দাকোপ উপজেলার কৃষকদের। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এসে সে শঙ্কা হাওয়ায় মিলে গেছে। আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বর্তমানে আমন ধান কাটা বা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। অনুকূল আবহাওয়া ও পোকা মাকড়ের উপদ্রব কম থাকায় এ বছর ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে মনে করছেন তাঁরা।
দাকোপের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমন মৌসুমের প্রথম দিকটা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অতি বৃষ্টির কারণে এলাকার বেশিরভাগ বিল তলিয়ে গিয়েছিল তখন। এতে অধিকাংশ বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক। এ সব কারণে আমন চাষ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। এ অবস্থায় কৃষকেরা পুনরায় বীজতলা তৈরির করে আবারও খেতে আমনের চারা রোপণ করা শুরু করে। কৃষকের নিবিড় পরিচর্যার ফলে সবুজ ধানের খেত এখন সোনালি ফসলে ভরে উঠেছে। কয়েক সপ্তাহ পর খেতের সোনালি ধান উঠবে কৃষকের বাড়িতে।
এ বছর আবহাওয়া তুলনামূলক অনুকূলে থাকায় দাকোপের কৃষকেরা বাম্পার ফলন ঘরে তোলার সম্ভাবনা দেখছেন। কৃষকেরা প্রস্তুতি নিচ্ছে ধান কাটার জন্য। দাকোপে প্রধান ফসল আমন ধান। এলাকায় কৃষকেরা এক সময় শুধু আমন ধান চাষ করত। আমন মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ধান কাটার কাজ করতে আসে। বর্তমানে আমন মৌসুমে দাকোপের হাট-বাজারে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজ করতে আসা মানুষের ভিড়।
তবে কৃষকেরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে শ্রমিকের দাম অনেক চড়া। ফলে কৃষককে ধান কাটার খরচ জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দাকোপে চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদি জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪৮০ হেক্টর। এর মধ্যে স্থানীয় জাতের ধান চার হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে ও উপশী জাতের ধান ১৫ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে চাষবাদ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ অঞ্চলে সাধারণত আষাঢ় মাসের শুরু থেকে শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কৃষকেরা আমনের বীজতলা তৈরি করেন। আর শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি থেকে ১৫ ভাদ্র পর্যন্ত আমন ধানের চারা রোপণ করে থাকেন। পৌষ মাসের শুরুতে পাকা ধান কাটা শুরু হয়।
চালনা পৌরসভা এলাকার কৃষক শিবপদ অধিকারী বলেন, এ বছর ১০ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করছি। বীজ, সার ও শ্রমিকের দাম বেশি থাকায় খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। তার পরে আবার বৃষ্টিতে বীজতলা তলিয়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে পরবর্তীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন বেশ ভালো। সব মিলিয়ে এ বছর ভালো ফসল পাবার আশা করছি।
উপজেলার খাটাইল এলাকার কৃষক আলামিন শেখ বলেন, ছয় বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। তিন বার সার ও কীটনাশক ছিটিয়েছি। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে খরচ গত বছরের তুলনায় একটু বেশি হয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো ফলন পাবেন বলে তিনিও জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান বলেন, ‘এ বছর ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। এতে কৃষকেরা ইতিমধ্যেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।’
মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ার কারণে আমন ধানের ফলন নিয়ে আশঙ্কা ছিল খুলনার দাকোপ উপজেলার কৃষকদের। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এসে সে শঙ্কা হাওয়ায় মিলে গেছে। আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বর্তমানে আমন ধান কাটা বা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। অনুকূল আবহাওয়া ও পোকা মাকড়ের উপদ্রব কম থাকায় এ বছর ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে মনে করছেন তাঁরা।
দাকোপের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমন মৌসুমের প্রথম দিকটা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অতি বৃষ্টির কারণে এলাকার বেশিরভাগ বিল তলিয়ে গিয়েছিল তখন। এতে অধিকাংশ বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক। এ সব কারণে আমন চাষ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। এ অবস্থায় কৃষকেরা পুনরায় বীজতলা তৈরির করে আবারও খেতে আমনের চারা রোপণ করা শুরু করে। কৃষকের নিবিড় পরিচর্যার ফলে সবুজ ধানের খেত এখন সোনালি ফসলে ভরে উঠেছে। কয়েক সপ্তাহ পর খেতের সোনালি ধান উঠবে কৃষকের বাড়িতে।
এ বছর আবহাওয়া তুলনামূলক অনুকূলে থাকায় দাকোপের কৃষকেরা বাম্পার ফলন ঘরে তোলার সম্ভাবনা দেখছেন। কৃষকেরা প্রস্তুতি নিচ্ছে ধান কাটার জন্য। দাকোপে প্রধান ফসল আমন ধান। এলাকায় কৃষকেরা এক সময় শুধু আমন ধান চাষ করত। আমন মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ধান কাটার কাজ করতে আসে। বর্তমানে আমন মৌসুমে দাকোপের হাট-বাজারে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজ করতে আসা মানুষের ভিড়।
তবে কৃষকেরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে শ্রমিকের দাম অনেক চড়া। ফলে কৃষককে ধান কাটার খরচ জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দাকোপে চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদি জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪৮০ হেক্টর। এর মধ্যে স্থানীয় জাতের ধান চার হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে ও উপশী জাতের ধান ১৫ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে চাষবাদ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ অঞ্চলে সাধারণত আষাঢ় মাসের শুরু থেকে শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কৃষকেরা আমনের বীজতলা তৈরি করেন। আর শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি থেকে ১৫ ভাদ্র পর্যন্ত আমন ধানের চারা রোপণ করে থাকেন। পৌষ মাসের শুরুতে পাকা ধান কাটা শুরু হয়।
চালনা পৌরসভা এলাকার কৃষক শিবপদ অধিকারী বলেন, এ বছর ১০ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করছি। বীজ, সার ও শ্রমিকের দাম বেশি থাকায় খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। তার পরে আবার বৃষ্টিতে বীজতলা তলিয়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে পরবর্তীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন বেশ ভালো। সব মিলিয়ে এ বছর ভালো ফসল পাবার আশা করছি।
উপজেলার খাটাইল এলাকার কৃষক আলামিন শেখ বলেন, ছয় বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। তিন বার সার ও কীটনাশক ছিটিয়েছি। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে খরচ গত বছরের তুলনায় একটু বেশি হয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো ফলন পাবেন বলে তিনিও জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান বলেন, ‘এ বছর ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। এতে কৃষকেরা ইতিমধ্যেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে