Ajker Patrika

খালে-বিলে নেই পানি, খেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২, ১৪: ৩৭
খালে-বিলে নেই পানি, খেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ

মাগুরার মহম্মদপুরে চলতি বছর পাটের আবাদ ভালো হলেও সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় খেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ। খালে-বিলে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া যাচ্ছে না। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষকেরা।

মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। দাম বেশি পেয়ে গত দুই বছরে পাট চাষে ঝুঁকেছেন এই অঞ্চলের কৃষকেরা।

এ বছর উপজেলার আট ইউনিয়নের বাবুখালী, দীঘা, বিনোদপুর, বালিদিয়া, নহাটা, রাজাপুর, পলাশবাড়িয়া ও মহম্মদপুর সদর ইউনিয়নে পাটের ভালো আবাদ হয়েছে। খরা সহিষ্ণু রবি-১ জাতের পাটের চাষ বেশি করা হয়েছে। তবে এবারের খরায় পাটখেত বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা।

সরেজমিনে উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কিছু খেতে পাটগাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। যেসব জমিতে বেলেমাটির পরিমাণ বেশি, সেসব খেতের পাটগাছ শুকিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, আর মাত্র কয়েক দিন পরে পাট কাটা শুরু হবে। ভরা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খালবিল, ডোবা-নালায় পানি জমেনি। ফলে পাট কেটে জাগ দেওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া নিয়ে শঙ্কার মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের।

চালিমিয়া গ্রামের চাষি হাফিজ বলেন, ‘আমি তিন বিঘায় পাট চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছিল, কিন্তু বৃষ্টির অভাবে ২৫ কাঠা জমির পাটগাছ শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় পাট কেটে ফেলব বলে ভাবছি, কিন্তু খাল-বিল শুকনা থাকায় সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বলেন, ‘শুধু খরা নয়, নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পাটগাছ মারা যেতে পারে। সেচ সুবিধা অব্যাহত রাখতে চাষিদের আমরা গভীর নলকূপগুলো চালু করার পরামর্শ দিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত