ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
মহানবী (সা.) ও ইবরাহিম (আ.)-এর মধ্যে পৃথিবীতে আগমনের দিক থেকে ব্যবধান থাকলেও আধ্যাত্মিকতা ও আন্তরিকতায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক ও সখ্য। পবিত্র কোরআনে ইবরাহিম (আ.)-এর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে মহানবী (সা.) ও তাঁর উম্মতকে উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনের ভাষ্যমতে, মহানবী (সা.)-এর আগমন ইবরাহিম (আ.)-এরই দোয়ার ফল। তিনিই আমাদের মুসলিম নামকরণ করেন। এসব কারণে ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পরিবারের আল্লাহপ্রেমের মাত্রা নির্ণায়ক অতুলনীয় কিছু আমলের উত্তরসূরি হয়েছেন মুসলমানরা।
ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা অনেক বিষয়ে পরীক্ষা করেন এবং সব বিষয়ে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এসব পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম হলো, পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে মায়ের সঙ্গে মক্কার জনশূন্য প্রান্তরে রেখে যাওয়া, সন্তান বড় হলে তাঁকে নিয়ে কাবাঘর নির্মাণ করা এবং পরে তাঁকে কোরবানি করার নির্দেশ ইত্যাদি। এসব ঘটনাকে স্মরণ করতেই ইসলামের অন্যতম মৌলিক ইবাদত হজ ও কোরবানির বিধান প্রবর্তিত হয়েছে।
কাবাঘর ও মাকামে ইবরাহিম
কাবা পৃথিবীর প্রথম ঘর ও উপাসনালয়। কালক্রমে তা বিধ্বস্ত হয়ে যায়। স্ত্রী হাজেরা ও শিশু ইসমাইলকে যখন ইবরাহিম (আ.) মক্কায় রেখে যান, তখন কাবার কোনো চিহ্ন ছিল না। এর মধ্যে ইসমাইল (আ.) বাবার কাজে সহযোগিতা করার মতো বয়সে পদার্পণ করেন। এরপর আল্লাহর পক্ষ থেকে কাবাঘর পুনর্নির্মাণের নির্দেশ আসে। আল্লাহর নির্দেশনায় ইবরাহিম (আ.) পুত্র ইসমাইলকে নিয়ে কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করেন। আল্লাহ বলেন, ‘স্মরণ করো, যখন ইবরাহিম ও ইসমাইল কাবাঘরের প্রাচীর তুলছিল। তারা বলেছিল, হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের এই আমল কবুল করুন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৭)
বর্তমানে কাবাঘর মুসলিম উম্মাহর পবিত্র কেবলা এবং হজ-ওমরাহর কার্যক্রমের প্রাণকেন্দ্র। ইবরাহিম (আ.)-এর কাবা নির্মাণকালের পদচিহ্নবিশিষ্ট পাথর আজও সেখানে বিদ্যমান, যা মাকামে ইবরাহিম নামে পরিচিত। তাওয়াফের পরে সেখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে নামাজের জায়গা বানাও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৫)
সাফা-মারওয়া ও জমজম কূপ
ইবরাহিম (আ.) ইরাকে জন্মগ্রহণ করলেও আল্লাহর নির্দেশে সিরিয়ায় হিজরত করেন। মাতৃভূমি ও স্বজাতি ত্যাগ করে সিরিয়ায় অবস্থানকালে সন্তান লাভের পর আল্লাহর নির্দেশ আসে যে, স্ত্রী হাজেরা ও শিশু ইসমাইলকে নিয়ে সেখান থেকে স্থানান্তর হতে হবে। জিবরাইল (আ.) তাঁদের নিয়ে রওনা হন। চলতে চলতে শুকনো পাহাড় ও উত্তপ্ত বালুকাময় এক প্রান্তরে এসে পৌঁছান। সেখানেই মহান আল্লাহ বায়তুল্লাহ নির্মাণ ও মক্কা নগরী প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করে রাখেন। জিবরাইল (আ.) তাঁদের থামিয়ে দেন। ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে স্ত্রী হাজেরা ও শিশু ইসমাইলকে একা রেখে সিরিয়ায় ফিরে যান। হাজেরা শিশুপুত্রকে নিয়ে জনশূন্য প্রান্তরে অবস্থান করতে থাকেন। একসময় কঠিন পিপাসা তাঁকে পানির খোঁজে বের হতে বাধ্য করে। তিনি শিশুকে রেখে সাফা-মারওয়া পাহাড়ে বারবার দৌড়ান। সাতবার ছোটাছুটি করেও পানির সন্ধান না পেয়ে শিশুর কাছে ফিরে আসেন। তখনই আল্লাহর রহমত অবতীর্ণ হয়। জিবরাইল (আ.) এসে শুষ্ক মরুভূমিতে পানির একটি ঝরনাধারা বইয়ে দেন। এই ঝরনাধারাই আজকের জমজম কূপ। হাজেরা (আ.)-এর সেই দৌড়ানোর স্মরণেই হাজিদের সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়াতে হয়। আর ইসমাইল (আ.)-এর তৃষ্ণা নিবারণের জন্য প্রদেয় জমজম কূপের পানিই আজকের হাজিদের প্রধান পানীয়।
কোরবানির নির্দেশ ও শয়তানের প্রতারণা
ইসমাইল (আ.) যখন সাবালক হলেন, তখন ইবরাহিম (আ.) স্বপ্নে দেখলেন যে তিনি পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করছেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে ইসমাইলকে কোরবানি করতে হবে। তিনি তাঁকে স্বপ্নের কথা জানালেন। ইসমাইল (আ.) উত্তর দিলেন, ‘হে আমার পিতা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা সাফফাত, আয়াত: ১০২)
ইবরাহিম (আ.) তাঁকে কোরবানির জন্য মিনা প্রান্তরে নিয়ে গেলেন। পথে শয়তান তিনবার ইবরাহিম (আ.)-কে প্রতারিত করার চেষ্টা করে। ইবরাহিম (আ.) প্রতিবারই শয়তানকে সাতটি করে কঙ্কর নিক্ষেপের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেন। প্রশংসনীয় এই কাজের স্মৃতি হিসেবেই হাজিরা মিনায় তিনবার তিন স্থানে সাতটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ করে থাকেন। যা হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য।
পশু কোরবানির প্রেক্ষাপট
ইবরাহিম (আ.) পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে নিয়ে কোরবানির স্থানে পৌঁছান এবং জবাই করতে উদ্যত হন। ইবরাহিম (আ.) ছুরি চালাতে লাগলেন, কিন্তু তা কাজ করছিল না। আর তখনই অদৃশ্য থেকে আওয়াজ আসে, ‘হে ইবরাহিম, তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করলে। এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই এটি এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা’। (সুরা সাফফাত, আয়াত: ১০৪-১০৬) সেই গায়েবি আওয়াজ শুনে ইবরাহিম (আ.) তাকালেন। দেখলেন, জিবরাইল (আ.) একটি দুম্বা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। দুম্বাটি ইবরাহিম (আ.)-কে দেওয়া হলো। তিনি আল্লাহর নির্দেশে পুত্রের পরিবর্তে সেটিই কোরবানি করলেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তাকে মুক্ত করলাম এক কোরবানির বিনিময়ে।’ (সুরা সাফফাত, আয়াত: ১০৭)
সেই ধারাবাহিকতায় মিনার প্রান্তরে হাজিরা কোরবানি করে থাকেন। আর পুরো মুসলিম উম্মাহ নিজ নিজ অবস্থানে কোরবানি করেন। আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-এর ঐতিহাসিক কোরবানি প্রসঙ্গ বর্ণনা করার পর বলেন, ‘আর আমি এটি পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। ইবরাহিমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।’ (সুরা আস-সাফফাত, আয়াত: ১০৮-১০৯)
আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-এর এই কর্মকে আল্লাহপ্রেমের প্রতীক হিসেবে কেয়ামত পর্যন্ত উম্মতের জন্য আদর্শ সাব্যস্ত করেছেন। তাই তো কোরবানি দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে আমরা বলি, ‘আল্লাহুম্মা তাকববালহু কামা তাকববালতা মিন হাবিবিকা মুহাম্মাদ ওয়া খলিলিকা ইবরাহিম আলাইহিমাস সালাতু ওয়াস সালাম’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, তুমি এই কোরবানি আমার পক্ষ থেকে কবুল করো, যেমন তুমি কবুল করেছ তোমার হাবিব মুহাম্মদ (সা.) ও তোমার খলিল ইবরাহিম (আ.)-এর পক্ষ থেকে।’
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা, সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মহানবী (সা.) ও ইবরাহিম (আ.)-এর মধ্যে পৃথিবীতে আগমনের দিক থেকে ব্যবধান থাকলেও আধ্যাত্মিকতা ও আন্তরিকতায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক ও সখ্য। পবিত্র কোরআনে ইবরাহিম (আ.)-এর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে মহানবী (সা.) ও তাঁর উম্মতকে উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনের ভাষ্যমতে, মহানবী (সা.)-এর আগমন ইবরাহিম (আ.)-এরই দোয়ার ফল। তিনিই আমাদের মুসলিম নামকরণ করেন। এসব কারণে ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পরিবারের আল্লাহপ্রেমের মাত্রা নির্ণায়ক অতুলনীয় কিছু আমলের উত্তরসূরি হয়েছেন মুসলমানরা।
ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা অনেক বিষয়ে পরীক্ষা করেন এবং সব বিষয়ে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এসব পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম হলো, পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে মায়ের সঙ্গে মক্কার জনশূন্য প্রান্তরে রেখে যাওয়া, সন্তান বড় হলে তাঁকে নিয়ে কাবাঘর নির্মাণ করা এবং পরে তাঁকে কোরবানি করার নির্দেশ ইত্যাদি। এসব ঘটনাকে স্মরণ করতেই ইসলামের অন্যতম মৌলিক ইবাদত হজ ও কোরবানির বিধান প্রবর্তিত হয়েছে।
কাবাঘর ও মাকামে ইবরাহিম
কাবা পৃথিবীর প্রথম ঘর ও উপাসনালয়। কালক্রমে তা বিধ্বস্ত হয়ে যায়। স্ত্রী হাজেরা ও শিশু ইসমাইলকে যখন ইবরাহিম (আ.) মক্কায় রেখে যান, তখন কাবার কোনো চিহ্ন ছিল না। এর মধ্যে ইসমাইল (আ.) বাবার কাজে সহযোগিতা করার মতো বয়সে পদার্পণ করেন। এরপর আল্লাহর পক্ষ থেকে কাবাঘর পুনর্নির্মাণের নির্দেশ আসে। আল্লাহর নির্দেশনায় ইবরাহিম (আ.) পুত্র ইসমাইলকে নিয়ে কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করেন। আল্লাহ বলেন, ‘স্মরণ করো, যখন ইবরাহিম ও ইসমাইল কাবাঘরের প্রাচীর তুলছিল। তারা বলেছিল, হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের এই আমল কবুল করুন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৭)
বর্তমানে কাবাঘর মুসলিম উম্মাহর পবিত্র কেবলা এবং হজ-ওমরাহর কার্যক্রমের প্রাণকেন্দ্র। ইবরাহিম (আ.)-এর কাবা নির্মাণকালের পদচিহ্নবিশিষ্ট পাথর আজও সেখানে বিদ্যমান, যা মাকামে ইবরাহিম নামে পরিচিত। তাওয়াফের পরে সেখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে নামাজের জায়গা বানাও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৫)
সাফা-মারওয়া ও জমজম কূপ
ইবরাহিম (আ.) ইরাকে জন্মগ্রহণ করলেও আল্লাহর নির্দেশে সিরিয়ায় হিজরত করেন। মাতৃভূমি ও স্বজাতি ত্যাগ করে সিরিয়ায় অবস্থানকালে সন্তান লাভের পর আল্লাহর নির্দেশ আসে যে, স্ত্রী হাজেরা ও শিশু ইসমাইলকে নিয়ে সেখান থেকে স্থানান্তর হতে হবে। জিবরাইল (আ.) তাঁদের নিয়ে রওনা হন। চলতে চলতে শুকনো পাহাড় ও উত্তপ্ত বালুকাময় এক প্রান্তরে এসে পৌঁছান। সেখানেই মহান আল্লাহ বায়তুল্লাহ নির্মাণ ও মক্কা নগরী প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করে রাখেন। জিবরাইল (আ.) তাঁদের থামিয়ে দেন। ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে স্ত্রী হাজেরা ও শিশু ইসমাইলকে একা রেখে সিরিয়ায় ফিরে যান। হাজেরা শিশুপুত্রকে নিয়ে জনশূন্য প্রান্তরে অবস্থান করতে থাকেন। একসময় কঠিন পিপাসা তাঁকে পানির খোঁজে বের হতে বাধ্য করে। তিনি শিশুকে রেখে সাফা-মারওয়া পাহাড়ে বারবার দৌড়ান। সাতবার ছোটাছুটি করেও পানির সন্ধান না পেয়ে শিশুর কাছে ফিরে আসেন। তখনই আল্লাহর রহমত অবতীর্ণ হয়। জিবরাইল (আ.) এসে শুষ্ক মরুভূমিতে পানির একটি ঝরনাধারা বইয়ে দেন। এই ঝরনাধারাই আজকের জমজম কূপ। হাজেরা (আ.)-এর সেই দৌড়ানোর স্মরণেই হাজিদের সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়াতে হয়। আর ইসমাইল (আ.)-এর তৃষ্ণা নিবারণের জন্য প্রদেয় জমজম কূপের পানিই আজকের হাজিদের প্রধান পানীয়।
কোরবানির নির্দেশ ও শয়তানের প্রতারণা
ইসমাইল (আ.) যখন সাবালক হলেন, তখন ইবরাহিম (আ.) স্বপ্নে দেখলেন যে তিনি পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করছেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে ইসমাইলকে কোরবানি করতে হবে। তিনি তাঁকে স্বপ্নের কথা জানালেন। ইসমাইল (আ.) উত্তর দিলেন, ‘হে আমার পিতা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা সাফফাত, আয়াত: ১০২)
ইবরাহিম (আ.) তাঁকে কোরবানির জন্য মিনা প্রান্তরে নিয়ে গেলেন। পথে শয়তান তিনবার ইবরাহিম (আ.)-কে প্রতারিত করার চেষ্টা করে। ইবরাহিম (আ.) প্রতিবারই শয়তানকে সাতটি করে কঙ্কর নিক্ষেপের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেন। প্রশংসনীয় এই কাজের স্মৃতি হিসেবেই হাজিরা মিনায় তিনবার তিন স্থানে সাতটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ করে থাকেন। যা হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য।
পশু কোরবানির প্রেক্ষাপট
ইবরাহিম (আ.) পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে নিয়ে কোরবানির স্থানে পৌঁছান এবং জবাই করতে উদ্যত হন। ইবরাহিম (আ.) ছুরি চালাতে লাগলেন, কিন্তু তা কাজ করছিল না। আর তখনই অদৃশ্য থেকে আওয়াজ আসে, ‘হে ইবরাহিম, তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করলে। এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই এটি এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা’। (সুরা সাফফাত, আয়াত: ১০৪-১০৬) সেই গায়েবি আওয়াজ শুনে ইবরাহিম (আ.) তাকালেন। দেখলেন, জিবরাইল (আ.) একটি দুম্বা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। দুম্বাটি ইবরাহিম (আ.)-কে দেওয়া হলো। তিনি আল্লাহর নির্দেশে পুত্রের পরিবর্তে সেটিই কোরবানি করলেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তাকে মুক্ত করলাম এক কোরবানির বিনিময়ে।’ (সুরা সাফফাত, আয়াত: ১০৭)
সেই ধারাবাহিকতায় মিনার প্রান্তরে হাজিরা কোরবানি করে থাকেন। আর পুরো মুসলিম উম্মাহ নিজ নিজ অবস্থানে কোরবানি করেন। আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-এর ঐতিহাসিক কোরবানি প্রসঙ্গ বর্ণনা করার পর বলেন, ‘আর আমি এটি পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। ইবরাহিমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।’ (সুরা আস-সাফফাত, আয়াত: ১০৮-১০৯)
আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-এর এই কর্মকে আল্লাহপ্রেমের প্রতীক হিসেবে কেয়ামত পর্যন্ত উম্মতের জন্য আদর্শ সাব্যস্ত করেছেন। তাই তো কোরবানি দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে আমরা বলি, ‘আল্লাহুম্মা তাকববালহু কামা তাকববালতা মিন হাবিবিকা মুহাম্মাদ ওয়া খলিলিকা ইবরাহিম আলাইহিমাস সালাতু ওয়াস সালাম’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, তুমি এই কোরবানি আমার পক্ষ থেকে কবুল করো, যেমন তুমি কবুল করেছ তোমার হাবিব মুহাম্মদ (সা.) ও তোমার খলিল ইবরাহিম (আ.)-এর পক্ষ থেকে।’
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা, সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে