ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে গতকাল সোমবার সিলেটে শত শিশুর কণ্ঠে ধ্বনিত হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ। অন্যদিকে জেলার গোয়াইনঘাট, বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্মমাল্য অর্পণসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

সিলেট: ৫১ বছর পর, ২০২২ সালের ৭ মার্চ সিলেটে আবার যেন ফিরে এল সেই কণ্ঠ-‘৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই ভাষণ শত শিশুর কণ্ঠে ধ্বনিত হলো সিলেটে। সকাল সাড়ে আটটায় সিলেটের জেলা প্রশাসক ভবনের পাশে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে শত শিশুর কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ছবির সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রিয় কোট পড়ে তাঁর মতো করেই তর্জনী উঁচিয়ে শিশুরা সমস্বরে বলে ওঠে-এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।

জেলা প্রশাসক মো. মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনায় এবং জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশ গুপ্তের পরিচালনায় আয়োজন করা হয় এক শ শিশুর অংশগ্রহণে এই ঐতিহাসিক ভাষণের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রপ্ত) শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

গোয়াইনঘাট: দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় ইউএনও তাহমিলুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফিয়া বেগম, এসি ল্যান্ড তানভীর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া হেলাল, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর ফারুক প্রমুখ।

বিয়ানীবাজার: উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। ইউএনও আশিক নূর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাই আমাদের কাছে ৭ মার্চের গুরুত্ব অপরিসীম।’

কোম্পানীগঞ্জ: সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে ইউএনও লুসিকান্ত হাজংয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা করা হয়। উপজেলা পরিষদের সিএ ফাইজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক অস্থায়ী চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম নজরুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অখিল বিশ্বাস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার শফি উদ্দিন রেনু, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান আহমদ প্রমুখ।

কানাইঘাট: উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা করা হয়। সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী, ইউএনও সুমন্ত ব্যানার্জি, কানাইঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, থানার ওসি তাজুল ইসলাম পিপিএম, পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা বেগম প্রমুখ।

জৈন্তাপুর: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আল বশিরুল ইসলাম, এসি ল্যান্ড রিপামনী দেবী, মডেল থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমেদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মো. হানিফ প্রমুখ।