আজিজুর রহমান, চৌগাছা
চৌগাছায় সরকারি মৎস্য প্রকল্পের অধীন মর্জাদ বাঁওড় থেকে পাঁচ হাজার ডাম্প ট্রাকেরও বেশি মাটি একাধিক ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গতকাল রোববার বাঁওড়ের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান এবং নৈশ প্রহরী লাল্টুর বিরুদ্ধে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বাঁওড়ের হ্যাচারি অংশ ইজারা নেওয়া মাছচাষি মো. ভুট্টো মিয়া।
গতকাল ভুট্টো তাঁর লিখিত অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), বাঁওড় মৎস্য প্রকল্পের যশোর কার্যালয়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। তা ছাড়া মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, খুলনার ডিআইজিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে ভুট্টো মিয়া উল্লেখ করেন, তিন-চার বছর আগে মর্জাদ বাঁওড়ের পড়ে থাকা হ্যাচারি অংশের ৪০ বিঘা ভেড়ি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। চার লাখ টাকা বাৎসরিক মৌখিক চুক্তিতে ওই জায়গা ইজারা নেন। সম্প্রতি বাঁওড় ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান ও নৈশপ্রহরী লাল্টু স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী একটি মহলের সহায়তায় এক্সকাভেটর দিয়ে বাঁওড়ের হ্যাচারি অংশের ভেড়ির পাড়ের মাটি কাটা শুরু করেন। সেখান থেকে মাহবুবুর ও লাল্টু পাঁচ হাজার ট্রাকের বেশি মাটি স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটা এবং হাকিমপুর বড় মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেছেন। মাটি কাটায় ভুট্টো মিয়া বাধা দিলে বাঁওড়ের ব্যবস্থাপক ক্ষিপ্ত হয়ে ভুট্টোকে ইজারা নেওয়া অংশ ছেড়ে দিতে নোটিশ দেন। নোটিশ পেয়ে ভুট্টো ভেড়ি থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বাঁওড় থেকে পানি সেচা শুরু করেন।
গত বৃহস্পতিবার ভেড়ি থেকে মাছ ধরে বিক্রি করার কথা ছিল ভুট্টোর। এরই মধ্যে ব্যবস্থাপক মাহবুব ও নৈশপ্রহরী লাল্টু তাঁদের স্থানীয় সহযোগীসহ আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষুব্ধ হয়ে বাঁওড় ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান ও নৈশ প্রহরী লাল্টুর নির্দেশে গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টা-৯টার মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন ভেড়িতে গ্যাস ট্যাবলেট ছিটিয়ে সব মাছ মেরে ফেলেন। ভুট্টোর দাবি স্থানীয় হেলাল, জসিম, রুবেল, হাসান মেম্বার, জাহিদ ও বিপ্লব ভেড়ির প্রহরীরা সকালের খাবার খেতে গেলে এ কাজ করেন।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘বাঁওড় থেকে আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে মাটি কাটতে দেখছি। এই মাটি এলাকার বিভিন্ন ইটভাটায় ও মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হয় বলে শুনেছি। তবে, এ কাজের সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা কিছু বলতে পারি না।’
এদিকে বাঁওড়ের মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে দেওয়ার মৌখিক অভিযোগ পেয়ে গত শুক্রবার ইউএনও ইরুফা সুলতানা হাকিমপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দলীল উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে পাঠান। ঘটনাস্থলে গিয়ে দলীল উদ্দিন বাঁওড়ের বিপুল পরিমাণ মাটি কেটে করে বিক্রি করার বিষয়টির প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
হাকিমপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দলীল উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ইউএনওর নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁওড়ের মাটি কেটে বিক্রির ঘটনার প্রমাণ পেয়েছি। আমি যাওয়ার আগেও তাঁরা এ মাটি বিক্রি করেছেন বলে শুনেছি। তবে আমি ঘটনাস্থলে কোনো এক্সকাভেটর বা ট্রাক পাইনি। ইউএনও নির্দেশ দিলে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও অভিযুক্ত বাঁওড় ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
ইউএনও ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিক তদন্তে সরকারি বাঁওড়ের মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে মামলা করা হবে।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পাওয়ার আগে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর আমি নিজে বাঁওড় ব্যবস্থাপককে একাধিকবার কল দিয়েছি। কিন্তু, তিনি তিনি মোবাইল বন্ধ রেখেছেন।’
এর আগে চৌগাছার ভৈরব নদ থেকে মাটি কাটা এবং কপোতাক্ষ নদ থেকে বালু তোলার ঘটনায় একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও ফল না আসায় এবং অভিযানের সময় মাটি ও বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় ৩টি মামলা করে উপজেলা ভূমি কার্যালয়। এসব ঘটনায় দুটি ট্রাক, একটি মোটরসাইকেল এবং ৮টি বালু তোলা মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
চৌগাছায় সরকারি মৎস্য প্রকল্পের অধীন মর্জাদ বাঁওড় থেকে পাঁচ হাজার ডাম্প ট্রাকেরও বেশি মাটি একাধিক ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গতকাল রোববার বাঁওড়ের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান এবং নৈশ প্রহরী লাল্টুর বিরুদ্ধে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বাঁওড়ের হ্যাচারি অংশ ইজারা নেওয়া মাছচাষি মো. ভুট্টো মিয়া।
গতকাল ভুট্টো তাঁর লিখিত অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), বাঁওড় মৎস্য প্রকল্পের যশোর কার্যালয়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। তা ছাড়া মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, খুলনার ডিআইজিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে ভুট্টো মিয়া উল্লেখ করেন, তিন-চার বছর আগে মর্জাদ বাঁওড়ের পড়ে থাকা হ্যাচারি অংশের ৪০ বিঘা ভেড়ি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। চার লাখ টাকা বাৎসরিক মৌখিক চুক্তিতে ওই জায়গা ইজারা নেন। সম্প্রতি বাঁওড় ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান ও নৈশপ্রহরী লাল্টু স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী একটি মহলের সহায়তায় এক্সকাভেটর দিয়ে বাঁওড়ের হ্যাচারি অংশের ভেড়ির পাড়ের মাটি কাটা শুরু করেন। সেখান থেকে মাহবুবুর ও লাল্টু পাঁচ হাজার ট্রাকের বেশি মাটি স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটা এবং হাকিমপুর বড় মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেছেন। মাটি কাটায় ভুট্টো মিয়া বাধা দিলে বাঁওড়ের ব্যবস্থাপক ক্ষিপ্ত হয়ে ভুট্টোকে ইজারা নেওয়া অংশ ছেড়ে দিতে নোটিশ দেন। নোটিশ পেয়ে ভুট্টো ভেড়ি থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বাঁওড় থেকে পানি সেচা শুরু করেন।
গত বৃহস্পতিবার ভেড়ি থেকে মাছ ধরে বিক্রি করার কথা ছিল ভুট্টোর। এরই মধ্যে ব্যবস্থাপক মাহবুব ও নৈশপ্রহরী লাল্টু তাঁদের স্থানীয় সহযোগীসহ আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষুব্ধ হয়ে বাঁওড় ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান ও নৈশ প্রহরী লাল্টুর নির্দেশে গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টা-৯টার মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন ভেড়িতে গ্যাস ট্যাবলেট ছিটিয়ে সব মাছ মেরে ফেলেন। ভুট্টোর দাবি স্থানীয় হেলাল, জসিম, রুবেল, হাসান মেম্বার, জাহিদ ও বিপ্লব ভেড়ির প্রহরীরা সকালের খাবার খেতে গেলে এ কাজ করেন।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘বাঁওড় থেকে আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে মাটি কাটতে দেখছি। এই মাটি এলাকার বিভিন্ন ইটভাটায় ও মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হয় বলে শুনেছি। তবে, এ কাজের সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা কিছু বলতে পারি না।’
এদিকে বাঁওড়ের মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে দেওয়ার মৌখিক অভিযোগ পেয়ে গত শুক্রবার ইউএনও ইরুফা সুলতানা হাকিমপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দলীল উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে পাঠান। ঘটনাস্থলে গিয়ে দলীল উদ্দিন বাঁওড়ের বিপুল পরিমাণ মাটি কেটে করে বিক্রি করার বিষয়টির প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
হাকিমপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দলীল উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ইউএনওর নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁওড়ের মাটি কেটে বিক্রির ঘটনার প্রমাণ পেয়েছি। আমি যাওয়ার আগেও তাঁরা এ মাটি বিক্রি করেছেন বলে শুনেছি। তবে আমি ঘটনাস্থলে কোনো এক্সকাভেটর বা ট্রাক পাইনি। ইউএনও নির্দেশ দিলে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও অভিযুক্ত বাঁওড় ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
ইউএনও ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিক তদন্তে সরকারি বাঁওড়ের মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে মামলা করা হবে।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পাওয়ার আগে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর আমি নিজে বাঁওড় ব্যবস্থাপককে একাধিকবার কল দিয়েছি। কিন্তু, তিনি তিনি মোবাইল বন্ধ রেখেছেন।’
এর আগে চৌগাছার ভৈরব নদ থেকে মাটি কাটা এবং কপোতাক্ষ নদ থেকে বালু তোলার ঘটনায় একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও ফল না আসায় এবং অভিযানের সময় মাটি ও বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় ৩টি মামলা করে উপজেলা ভূমি কার্যালয়। এসব ঘটনায় দুটি ট্রাক, একটি মোটরসাইকেল এবং ৮টি বালু তোলা মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৮ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪