বিপ্লব রায়, শাল্লা (সুনামগঞ্জ)
দুশ্চিন্তায় সুনামগঞ্জের শাল্লার হাওরপারের মানুষ। কাটছে নির্ঘুম রাত। বাড়ির চারদিকে পানি। আফাল (ঢেউ) থেকে হাওরপারের বাড়িগুলো টিকিয়ে রাখতে জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন এলাকাবাসী। এই আফাল এখন হাওর এলাকার মানুষের আতঙ্কের নাম। ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওরে পানি বৃদ্ধিতে আফাল আছড়ে পড়ছে বসতঘরে।
হাওরের উত্তাল আফালের কবল থেকে ঘর রক্ষায় নানা কৌশলে কাজ করেও টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। উপজেলার বড় বড় হাওরের পারে বসবাসরত মানুষের চোখের সামনেই ঘরবাড়ি বিলীন হচ্ছে। ইতিমধ্যে আফালের আগ্রাসী থাবায় বিলীনের পথে উপজেলার শতাধিক বাড়িঘর। হঠাৎ এমন দুর্ভোগে ভিটেমাটি হারানোর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।
ছায়ার হাওর, কালিয়াকোটা, ভান্ডারবিল, বরাম হাওর এলাকায় গেলে চোখে পড়ে মানুষের এমন দুর্দশার চিত্র। ওই এলাকার অধিকাংশ লোকই ঘর ফেলে কোনো জায়গায় যেতে চাচ্ছেন না। তবে উপজেলায় কোনো আশ্রয়ণকেন্দ্র না থাকায় ভোগান্তি বেড়ে গেছে তাঁদের।
উপজেলার মামুদনগর গ্রামের মজনু মিয়া বলেন, ‘রাত-দিন আফালের ভয়ে থাকতে হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে উত্তাল হাওর আমার সব কেড়ে নিয়েছে।’
হরিপুর গ্রামের প্রদ্যুৎ দাস জানান, তাঁদের পরিবারে সদস্য ১১ জন। পরিবারের উপার্জনকারী একজন। এখন কাজ নেই, টাকা নেই। ঘরে চালও নেই। তাই পেট ভরে খাবার খেতে পারেন না।
তিনি বলেন, ‘এত দিন কোনোরকম নিজের বসতবাড়িতে পানিবন্দী অবস্থায় টিকে ছিলাম। এখন আফালের জন্য বসতভিটাও আর রক্ষা করা যাবে না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
মামুদনগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের চারপাশে কচুরিপানা, গাছের ডাল ও বাঁশের পালা দিয়ে আফালের কবল থেকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন কয়েকজন।
বাড়ির লোকজন জানালেন, বানের পানি শরীরে লাগলে চুলকায়। তা ছাড়া রয়েছে সাপ ও জোঁকের ভয়। গেল কয়েক দিন থেকে আফাল শক্তিশালী হয়েছে। তাই ঘরের ভেতরে থাকতে যেমন ভয় হচ্ছে। তেমনি বাড়ি ছেড়ে যেতেও মন চাচ্ছে না। কারণ বাড়ি ছেড়ে গেলে চারপাশে কচুরিপানা দেওয়া যাবে না। এ সুযোগে আফাল বাড়ি নিশ্চিহ্ন করে দেবে। তাই তাঁরা বসতভিটার মায়ায় বাড়ি ছাড়ছেন না।
নাইন্দ্যা গ্রামের প্রবোধ দাস বলেন, ‘আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। হাওরের বিশাল ঢেউ ঘরের বেড়া আর ভিটার মাটি ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী বলেন, বর্ষার সময় হাওরবাসীর একটাই আতঙ্ক আফাল। এই আফালের কারণে ঘর ভাঙন দিন দিন বেড়েই চলছে। তবে হাওরপারের এসব গ্রামের জন্য সরকারিভাবে প্রতিরক্ষা দেয়ালের উদ্যোগ নিলে হয়তো হাওরপারে বসবাসরত মানুষেরা কিছুটা উপকৃত হবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব বলেন, ‘এ সময় হাওরপারের মানুষের জন্য বিপজ্জনক। পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে হাওরে বড় বড় ঢেউ সৃষ্টি হয়। আর এই ঢেউয়ের কারণে ঘর বেঁধেও রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এই বিষয়ে এলজিইডি কার্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলা হবে। আগামী মৌসুমে ভাঙন এলাকা চিহ্নিত করে প্রতিরক্ষা দেয়ালের ব্যবস্থা করা হবে।’
দুশ্চিন্তায় সুনামগঞ্জের শাল্লার হাওরপারের মানুষ। কাটছে নির্ঘুম রাত। বাড়ির চারদিকে পানি। আফাল (ঢেউ) থেকে হাওরপারের বাড়িগুলো টিকিয়ে রাখতে জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন এলাকাবাসী। এই আফাল এখন হাওর এলাকার মানুষের আতঙ্কের নাম। ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওরে পানি বৃদ্ধিতে আফাল আছড়ে পড়ছে বসতঘরে।
হাওরের উত্তাল আফালের কবল থেকে ঘর রক্ষায় নানা কৌশলে কাজ করেও টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। উপজেলার বড় বড় হাওরের পারে বসবাসরত মানুষের চোখের সামনেই ঘরবাড়ি বিলীন হচ্ছে। ইতিমধ্যে আফালের আগ্রাসী থাবায় বিলীনের পথে উপজেলার শতাধিক বাড়িঘর। হঠাৎ এমন দুর্ভোগে ভিটেমাটি হারানোর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।
ছায়ার হাওর, কালিয়াকোটা, ভান্ডারবিল, বরাম হাওর এলাকায় গেলে চোখে পড়ে মানুষের এমন দুর্দশার চিত্র। ওই এলাকার অধিকাংশ লোকই ঘর ফেলে কোনো জায়গায় যেতে চাচ্ছেন না। তবে উপজেলায় কোনো আশ্রয়ণকেন্দ্র না থাকায় ভোগান্তি বেড়ে গেছে তাঁদের।
উপজেলার মামুদনগর গ্রামের মজনু মিয়া বলেন, ‘রাত-দিন আফালের ভয়ে থাকতে হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে উত্তাল হাওর আমার সব কেড়ে নিয়েছে।’
হরিপুর গ্রামের প্রদ্যুৎ দাস জানান, তাঁদের পরিবারে সদস্য ১১ জন। পরিবারের উপার্জনকারী একজন। এখন কাজ নেই, টাকা নেই। ঘরে চালও নেই। তাই পেট ভরে খাবার খেতে পারেন না।
তিনি বলেন, ‘এত দিন কোনোরকম নিজের বসতবাড়িতে পানিবন্দী অবস্থায় টিকে ছিলাম। এখন আফালের জন্য বসতভিটাও আর রক্ষা করা যাবে না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
মামুদনগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের চারপাশে কচুরিপানা, গাছের ডাল ও বাঁশের পালা দিয়ে আফালের কবল থেকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন কয়েকজন।
বাড়ির লোকজন জানালেন, বানের পানি শরীরে লাগলে চুলকায়। তা ছাড়া রয়েছে সাপ ও জোঁকের ভয়। গেল কয়েক দিন থেকে আফাল শক্তিশালী হয়েছে। তাই ঘরের ভেতরে থাকতে যেমন ভয় হচ্ছে। তেমনি বাড়ি ছেড়ে যেতেও মন চাচ্ছে না। কারণ বাড়ি ছেড়ে গেলে চারপাশে কচুরিপানা দেওয়া যাবে না। এ সুযোগে আফাল বাড়ি নিশ্চিহ্ন করে দেবে। তাই তাঁরা বসতভিটার মায়ায় বাড়ি ছাড়ছেন না।
নাইন্দ্যা গ্রামের প্রবোধ দাস বলেন, ‘আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। হাওরের বিশাল ঢেউ ঘরের বেড়া আর ভিটার মাটি ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী বলেন, বর্ষার সময় হাওরবাসীর একটাই আতঙ্ক আফাল। এই আফালের কারণে ঘর ভাঙন দিন দিন বেড়েই চলছে। তবে হাওরপারের এসব গ্রামের জন্য সরকারিভাবে প্রতিরক্ষা দেয়ালের উদ্যোগ নিলে হয়তো হাওরপারে বসবাসরত মানুষেরা কিছুটা উপকৃত হবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব বলেন, ‘এ সময় হাওরপারের মানুষের জন্য বিপজ্জনক। পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে হাওরে বড় বড় ঢেউ সৃষ্টি হয়। আর এই ঢেউয়ের কারণে ঘর বেঁধেও রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এই বিষয়ে এলজিইডি কার্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলা হবে। আগামী মৌসুমে ভাঙন এলাকা চিহ্নিত করে প্রতিরক্ষা দেয়ালের ব্যবস্থা করা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে