রং-তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠেছেন দেবী দুর্গা

মো. মাহবুব-উল-আহসান উল্লাস, খোকসা (কুষ্টিয়া) 
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ১৩
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২১, ১৯: ১২

দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার সময় ঘনিয়ে আসায় শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার খোকসার প্রতিমাশিল্পীরা।

গত ৬ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা প্রচারিত হয়েছে মর্ত্যলোকে। চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে স্বর্গালোক থেকে মর্ত্যলোকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেবীর ভক্তকুল।

ইতিমধ্যে বাঁশ-খড়ের কাঠামোতে মাটির আস্তরণে অবয়ব পেয়েছেন দেবী দুর্গা। এখন চলছে প্রতিমা রঙের কাজ। শিল্পী নিপুণ হাতে রংতুলির আঁচড়ে ফুটে উঠেছে দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ অসুরসহ অন্যান্য প্রতিমা।

সনাতন শাস্ত্রমতে, এ বছর মহামায়া দশভুজা দেবী দুর্গার আগমন ঘোটকে, গমন দোলায় চড়ে। পণ্ডিতেরা বলেছেন, দেবীর ঘোড়ায় চড়ে আগমন খুব একটা শুভ নয়। শাস্ত্রমতে মহাময়া দুর্গা দেবীর ঘোড়ায় চড়ে আগমন দুর্যোগ আসার সম্ভাবনা থাকে।

কথা হয় পৌর এলাকার কমলাপুরের প্রতিমাশিল্পী শ্রী সুকুমার ভাস্কর (৫৫) এর সঙ্গে। তিনি খোকসা কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির করছে। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। তিনি বলেন, গত বছর থেকে এই বছর কাজের চাপ একটু বেশি। এ বছর খোকসা কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা সহ ১৫টি প্রতিমা তৈরির কাজ করছি।

প্রতিমাশিল্পী শ্রী প্রবীর বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছি। এখন প্রতিমা রং ও সাজসজ্জার কাজ করছি। আশা করছি সব কাজ শেষ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মণ্ডপে প্রতিমা বসানো হবে। তিনি আরও বলেন, একটি বড় মূর্তি তৈরি করতে সময় লাগে সাত থেকে ১০ দিন। অন্যদিকে এক একটি ছোট মূর্তি তৈরি করতে সময় লাগে ৪ থেকে ৬ দিন।

কথা হয় খোকসা কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি প্রদীপ বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গা পূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও উৎসবটি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হবে। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার পূজা উদযাপন করা হবে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জয়দেব কুমার বিশ্বাস বলেন, গত বছর খোকসা উপজেলায় ৫৮টি মন্দিরে দুর্গা পূজা উদযাপন হয়। এ বছর বৃদ্ধি পেয়ে ৬৩টি মন্দিরে দুর্গাপূজা উদযাপন হবে।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. আশিকুর রহমান জানান, পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত