পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে সুরমা নদীর ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসব পানি ছড়িয়ে পড়েছে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস গত দুদিন ধরে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে হল ছাড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

গতকাল শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্র হল থেকে বাসে শিক্ষার্থীদের কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে যেতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বাসযোগে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ক্যাম্পাস থেকে বের করে নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আবাসিক ছাত্রী হল থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে কাজ করেন বিজিবি কর্মকর্তারা। ফলে ওই ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা নিরাপদে হল ছাড়তে পেরেছেন।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কাজ করতে দেখা যায়। আজও তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

জানা গেছে, গত ১৪ মে সিলেটে প্রথম বন্যা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজারো মানুষ। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও বন্যার কবলে পড়ে এ এলাকার বাসিন্দারা। গত কিছুদিন ধরে আবারও টানা বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় নগরের বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে লোকালয়ের মানুষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাকিম জানান, বন্যার কারণে ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ না থাকায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে কদমতলী বাস স্ট্যান্ডে চলে যাচ্ছি। সেখান থেকে অন্য বাসে বাড়িতে চলে যাব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের বাড়ি যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নিরাপদে হল ছাড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সার্ভিস চালু রয়েছে।

উল্লেখ্য, বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত সমস্ত ক্লাস পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।