সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কিছু অসাধু চিকিৎসক, পল্লিচিকিৎসক ও দালাল একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ ভুক্তভোগী মানুষের। এই দালাল চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে আছে স্বাস্থ্যসেবা।
‘সরকারি হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা হয় না, হলেও চিকিৎসাসেবা ভালো না’—এসব বুঝিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সুকৌশলে রোগীদের পাঠায় চক্রটি। এর মাধ্যমে মেলে কমিশন। কমিশনের লোভে গ্রাম-গঞ্জের অসচেতন মানুষ এবং কখনো কখনো শিক্ষিত মানুষকে ভুল বুঝিয়ে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে যায় চক্রটি। পরে সেখানে চলে রোগী ও স্বজনদের পকেট কাটা।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগনির্ণয় কেন্দ্রের দায়িত্বরত রিকতুনন্নেসা বলেন, হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাফি (হোল এপডোমিন) করাতে ২২০ টাকা, আলট্রাসনোগ্রাফি (গর্ভবতী) ১১০, এক্স-রে করাতে ২০০, ইসিজিতে ৮০, রক্তের পরীক্ষা (সিবিসি) ১৫০, সিটি স্ক্যান (ব্রেইন) ২০০০, চেস্ট ২ হাজার ৫০০, সিটি স্ক্যান (হোল এপডোমিন) করাতে ৪০০০ টাকা খরচ হয়।
অন্যদিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, সিটি স্ক্যান করাতে ৪ হাজার থেকে ১২ হাজার, এক্স-রে ৬০০ থেকে ২ হাজার ৫০০, ইসিজি ৭০০ টাকা, সিবিসি ২ হাজার টাকা খরচ হয়। অর্থাৎ সরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে বাইরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গেলে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা বেশি খরচ হয়। আর লাভের অংশ কমিশনের ভিত্তিতে ভাগ-বাঁটোয়ারা হয় মালিকপক্ষ, চিকিৎসক, দালালদের মাঝে।
জেলার স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৯০ ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সরকারি চিকিৎসক। তবে খাতাপত্রে মালিক তাঁদের স্ত্রী, ভাই, বোন, সন্তান ও নিকটাত্মীয়রা। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে তাঁদের নিয়োজিত দালালদের আনাগোনা থাকে। তাঁদের সহযোগিতা করেন হাসপাতালগুলোর আউটসোর্সিংয়ে কর্মরতরা।
সূত্র জানায়, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত অন্তত ৩০ জন বিকেলে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করেন। তাঁদের বেশির ভাগই এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ও প্যাথলজি বিভাগে চাকরি করেন। তাঁরাই বিকেলে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করেন। তাঁরা রোগীদের উদ্বিগ্নতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে দেন। এমনকি হাসপাতাল আউটডোর ও ইনডোরের চিকিৎসকেরা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেন বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, সরকারি হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরতরা মুচলেকা দিয়ে চাকরি নিলে এমন ঘটত না। যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করত, তবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতেন তাঁরা।
রোগীদের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারমুখী হওয়ার বিষয়ে একাধিক চিকিৎসক বলেন, রোগী যখন ঝুঁকিতে থাকে, তখন তাঁদের আত্মীয়স্বজনের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। সেই সুযোগটাই দালালেরা লুফে নিয়ে পাঠিয়ে দেয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে।
নাম গোপন রাখার শর্তে দালাল চক্রের এক সদস্য বলেন, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ও নিয়োজিত কিছু লোক নিয়ে একটি দালাল চক্র তৈরি করে। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা লিখে দেওয়ার পর দালালেরা রোগীদের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে দালালেরা প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ কমিশন পায়। তবে গড়ে রোগীপ্রতি ৩০ কমিশন এবং বিভিন্ন ধরনের মেজর, মাইনর ও প্রসূতি অস্ত্রোপচারের রোগীর বেলায় ৩৫ শতাংশ কমিশন নেয় দালালেরা।
জেলা সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দালাল প্রতিরোধে সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। প্রতিটি হাসপাতালে সাইনবোর্ডে লিখে দেওয়া হয়েছে। এটি প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি।’
কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দালালেরা তো আর আমাদের চোখের সামনে আসে না। আমরা সংবাদ পেলে ব্যবস্থা নিই। আনসার বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া আছে দালালদের প্রতিরোধ করার জন্য।’
কিশোরগঞ্জে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কিছু অসাধু চিকিৎসক, পল্লিচিকিৎসক ও দালাল একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ ভুক্তভোগী মানুষের। এই দালাল চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে আছে স্বাস্থ্যসেবা।
‘সরকারি হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা হয় না, হলেও চিকিৎসাসেবা ভালো না’—এসব বুঝিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সুকৌশলে রোগীদের পাঠায় চক্রটি। এর মাধ্যমে মেলে কমিশন। কমিশনের লোভে গ্রাম-গঞ্জের অসচেতন মানুষ এবং কখনো কখনো শিক্ষিত মানুষকে ভুল বুঝিয়ে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে যায় চক্রটি। পরে সেখানে চলে রোগী ও স্বজনদের পকেট কাটা।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগনির্ণয় কেন্দ্রের দায়িত্বরত রিকতুনন্নেসা বলেন, হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাফি (হোল এপডোমিন) করাতে ২২০ টাকা, আলট্রাসনোগ্রাফি (গর্ভবতী) ১১০, এক্স-রে করাতে ২০০, ইসিজিতে ৮০, রক্তের পরীক্ষা (সিবিসি) ১৫০, সিটি স্ক্যান (ব্রেইন) ২০০০, চেস্ট ২ হাজার ৫০০, সিটি স্ক্যান (হোল এপডোমিন) করাতে ৪০০০ টাকা খরচ হয়।
অন্যদিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, সিটি স্ক্যান করাতে ৪ হাজার থেকে ১২ হাজার, এক্স-রে ৬০০ থেকে ২ হাজার ৫০০, ইসিজি ৭০০ টাকা, সিবিসি ২ হাজার টাকা খরচ হয়। অর্থাৎ সরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে বাইরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গেলে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা বেশি খরচ হয়। আর লাভের অংশ কমিশনের ভিত্তিতে ভাগ-বাঁটোয়ারা হয় মালিকপক্ষ, চিকিৎসক, দালালদের মাঝে।
জেলার স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৯০ ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সরকারি চিকিৎসক। তবে খাতাপত্রে মালিক তাঁদের স্ত্রী, ভাই, বোন, সন্তান ও নিকটাত্মীয়রা। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে তাঁদের নিয়োজিত দালালদের আনাগোনা থাকে। তাঁদের সহযোগিতা করেন হাসপাতালগুলোর আউটসোর্সিংয়ে কর্মরতরা।
সূত্র জানায়, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত অন্তত ৩০ জন বিকেলে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করেন। তাঁদের বেশির ভাগই এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ও প্যাথলজি বিভাগে চাকরি করেন। তাঁরাই বিকেলে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করেন। তাঁরা রোগীদের উদ্বিগ্নতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে দেন। এমনকি হাসপাতাল আউটডোর ও ইনডোরের চিকিৎসকেরা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেন বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, সরকারি হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরতরা মুচলেকা দিয়ে চাকরি নিলে এমন ঘটত না। যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করত, তবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতেন তাঁরা।
রোগীদের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারমুখী হওয়ার বিষয়ে একাধিক চিকিৎসক বলেন, রোগী যখন ঝুঁকিতে থাকে, তখন তাঁদের আত্মীয়স্বজনের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। সেই সুযোগটাই দালালেরা লুফে নিয়ে পাঠিয়ে দেয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে।
নাম গোপন রাখার শর্তে দালাল চক্রের এক সদস্য বলেন, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ও নিয়োজিত কিছু লোক নিয়ে একটি দালাল চক্র তৈরি করে। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা লিখে দেওয়ার পর দালালেরা রোগীদের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে দালালেরা প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ কমিশন পায়। তবে গড়ে রোগীপ্রতি ৩০ কমিশন এবং বিভিন্ন ধরনের মেজর, মাইনর ও প্রসূতি অস্ত্রোপচারের রোগীর বেলায় ৩৫ শতাংশ কমিশন নেয় দালালেরা।
জেলা সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দালাল প্রতিরোধে সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। প্রতিটি হাসপাতালে সাইনবোর্ডে লিখে দেওয়া হয়েছে। এটি প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি।’
কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দালালেরা তো আর আমাদের চোখের সামনে আসে না। আমরা সংবাদ পেলে ব্যবস্থা নিই। আনসার বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া আছে দালালদের প্রতিরোধ করার জন্য।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে