মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখে বিমোহিত হন পর্যটকেরা। তবে নতুন করে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ায় ও সরকারের বিধিনিষেধ আরোপের কারণে আবারও ক্ষতির মুখে পড়েছেন কুয়াকাটার হোটেল-মোটেলসহ পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে পর্যটকদের উপস্থিতি যেমন কমেছে তেমনি অনেক পর্যটক তাঁদের আগাম বুকিংও বাতিল করেছেন।
প্রতি বছর শীতের আগমনে পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে পর্যটকদের পদচারণে মুখর হয়ে কুয়াকাটা। ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে থাকে উপচে পড়া ভিড়। বিজয় দিবস, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা ছুটে আসেন এখানে। গত বছরের শেষ দিকে করোনার সংক্রমণ কমে আসায় সরকার বিধিনিষেধ তুলে দিলে পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট ছিল সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। তবে সেই প্রাণচাঞ্চল্যে আবারও ভাটা পড়েছে।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করলে পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের সমাগম কমতে থাকে। হোটেল-মোটেল সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে পর্যটকদের সেবা দিলেও প্রতিদিনই বুকিং বাতিল হচ্ছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, কুয়াকাটায় শতাধিক হোটেল-মোটেল ও পর্যটননির্ভর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন সহস্রাধিক মানুষ। পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেলে মালিকদের ক্ষতির পাশাপাশি এসব শ্রমিকের জীবন-জীবিকাও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।
কুয়াকাটা হোটেল সি ক্রাউন ইন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান রনি বলেন, ‘এ মৌসুমে আমাদের হোটেলে কোনো রুম ফাঁকা থাকে না। কিন্তু এই শুক্র ও শনিবার হোটেলে অতিথিই নাই। মূল কারণ সরকারের বিধিনিষেধ। যার কারণে পর্যটক আসছে না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।’
শিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল-আমিন খান বলেন, ‘আমাদের রিসোর্টে এক মাস আগেই বুকিং হয়ে যায়। কিন্তু এখন করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় আমাদের অগ্রিম বুকিংগুলো প্রতিদিনই বাতিল হয়ে যাচ্ছে। গত বছর করোনার সংক্রমণের কারণে আমাদের অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল।’
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি এম মোতালেব শরীফ বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্তই আমরা ভালো থাকি তবে এবার ডিসেম্বর ভালো কাটালেও জানুয়ারিতে এসে আবার থমকে গেছে করোনার কারণে। করোনায় বিগত দিনের ক্ষতিটাই ব্যবসায়ীরা কাটিয়ে উঠতে পারে নাই এই মুহূর্তে আবারও থাবা এটি ব্যবসায়ীদের জন্য খারাপ।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের সুরক্ষা দিতে স্থানীয় ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, ব্যবসায়ী, হোটেল-মোটেল ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাই পর্যটকদের সুরক্ষায় কাজ করছে। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সর্বদা আমরা সচেতন করছি।’
রুমান ইমতিয়াজ তুষার আরও বলেন, ‘শতভাগ সরকারি নির্দেশনা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। পর্যটকরাও যাতে বিধিনিষেধ মেনে চলেন এবং প্রকৃতি দেখার পাশাপাশি আতিথেয়তা গ্রহণ করতে পারেন, সে জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখে বিমোহিত হন পর্যটকেরা। তবে নতুন করে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ায় ও সরকারের বিধিনিষেধ আরোপের কারণে আবারও ক্ষতির মুখে পড়েছেন কুয়াকাটার হোটেল-মোটেলসহ পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে পর্যটকদের উপস্থিতি যেমন কমেছে তেমনি অনেক পর্যটক তাঁদের আগাম বুকিংও বাতিল করেছেন।
প্রতি বছর শীতের আগমনে পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে পর্যটকদের পদচারণে মুখর হয়ে কুয়াকাটা। ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে থাকে উপচে পড়া ভিড়। বিজয় দিবস, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা ছুটে আসেন এখানে। গত বছরের শেষ দিকে করোনার সংক্রমণ কমে আসায় সরকার বিধিনিষেধ তুলে দিলে পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট ছিল সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। তবে সেই প্রাণচাঞ্চল্যে আবারও ভাটা পড়েছে।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করলে পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের সমাগম কমতে থাকে। হোটেল-মোটেল সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে পর্যটকদের সেবা দিলেও প্রতিদিনই বুকিং বাতিল হচ্ছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, কুয়াকাটায় শতাধিক হোটেল-মোটেল ও পর্যটননির্ভর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন সহস্রাধিক মানুষ। পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেলে মালিকদের ক্ষতির পাশাপাশি এসব শ্রমিকের জীবন-জীবিকাও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।
কুয়াকাটা হোটেল সি ক্রাউন ইন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান রনি বলেন, ‘এ মৌসুমে আমাদের হোটেলে কোনো রুম ফাঁকা থাকে না। কিন্তু এই শুক্র ও শনিবার হোটেলে অতিথিই নাই। মূল কারণ সরকারের বিধিনিষেধ। যার কারণে পর্যটক আসছে না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।’
শিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল-আমিন খান বলেন, ‘আমাদের রিসোর্টে এক মাস আগেই বুকিং হয়ে যায়। কিন্তু এখন করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় আমাদের অগ্রিম বুকিংগুলো প্রতিদিনই বাতিল হয়ে যাচ্ছে। গত বছর করোনার সংক্রমণের কারণে আমাদের অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল।’
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি এম মোতালেব শরীফ বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্তই আমরা ভালো থাকি তবে এবার ডিসেম্বর ভালো কাটালেও জানুয়ারিতে এসে আবার থমকে গেছে করোনার কারণে। করোনায় বিগত দিনের ক্ষতিটাই ব্যবসায়ীরা কাটিয়ে উঠতে পারে নাই এই মুহূর্তে আবারও থাবা এটি ব্যবসায়ীদের জন্য খারাপ।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের সুরক্ষা দিতে স্থানীয় ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, ব্যবসায়ী, হোটেল-মোটেল ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাই পর্যটকদের সুরক্ষায় কাজ করছে। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সর্বদা আমরা সচেতন করছি।’
রুমান ইমতিয়াজ তুষার আরও বলেন, ‘শতভাগ সরকারি নির্দেশনা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। পর্যটকরাও যাতে বিধিনিষেধ মেনে চলেন এবং প্রকৃতি দেখার পাশাপাশি আতিথেয়তা গ্রহণ করতে পারেন, সে জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪