আগাম আমন রোপণের ধুম

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২২, ১৩: ৫৪

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভুট্টা কাটা ও মাড়াই শেষে আগাম জাতের আমন ধানের চারা রোপণের ধুম পড়েছে। বিশেষ করে উঁচু জমিতে হালচাষ দিয়ে চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে ১৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে আগাম ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকেরা ১০৫ থেকে ১১০ দিনের স্বল্প জীবনকালের উচ্চফলনশীল (উফশী) বিনা ১৬ ও ২০ এবং ব্রি-৭৯, ৮৭, ৯৩, ৯৪ ও ৯৫ ধানসহ বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, কোনো জমি অনাবাদি না রেখে মাঠের পর মাঠ চলছে চাষাবাদ। উপজেলার উত্তর দুড়াকুটি হাঁড়িবেচাপাড়া গ্রামের ছফিল উদ্দিন জানান, তিনি ভুট্টা সংগ্রহের পর ১০ বিঘা জমিতে আগাম আমন চাষ করছেন। বৃষ্টিনির্ভর এ ধান চাষে খরচ কম, উৎপাদন ভালো। প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২৫ মণ ফলন হয়। খড় বিক্রি করেই চাষের খরচ উঠে যায়। ধান কেটে আগাম আলুসহ অন্যান্য রবি ফসল চাষ করা যায়।

মধুপুর গ্রামের কৃষক হাসেম আলী বলেন, আগাম জাতগুলো চাষের ফলে মরা আশ্বিন-কার্তিক মাসেও ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের ঘরে খাবার থাকে। আগের দেশি জাতগুলোর ফলন ছিল বিঘাপ্রতি পাঁচ থেকে ছয় মণ। তখন এ অঞ্চলে মঙ্গা বা আকাল দেখা দিত। এখন উন্নত জাতের জীবনকাল কম হওয়ায় আশ্বিন-কার্তিক মাসেই ফসল ঘরে উঠে যায়। এতে মঙ্গা বিতাড়িত হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, উফশী আগাম জাতের ধান চাষ করে কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ফসল অগ্রিম ঘরে ওঠায় মঙ্গার সময় খাদ্যনিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের জাতগুলোর জীবনকাল বেশি হওয়ায় কৃষকেরা বছরে দুটি ফসলের বেশি চাষাবাদ করতে পারতেন না। এখন ধান কাটার পর কৃষকেরা সহজে এক থেকে দুবার আলু চাষ করে থাকেন। এ অঞ্চলের জমি উঁচু এবং মাটি বেলে দো-আঁশ হওয়ায় আগাম আলু ও আমন চাষে খুবই উপযোগী। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত