রাহুল শর্মা, ঢাকা
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের আন্দোলন, যার মধ্য দিয়ে এসেছে মায়ের ভাষার স্বীকৃতি। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই নির্দেশনা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরও (মাউশি)। এরপরও শহীদ মিনার নেই দেশের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে। ফলে ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা, জানছে না ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস।
দেশে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ঠিক কতটিতে শহীদ মিনার আছে, এর কোনো পরিসংখ্যান নেই মাউশি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে। অধিদপ্তরটির তথ্য বলছে, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২২ হাজার ৬২৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। আর বাকি ৪২ হাজার ৯৪৩ বিদ্যালয়ে তা নেই। অর্থাৎ প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই ভাষা আন্দোলনের প্রতীক শহীদ মিনার।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। অনেক স্কুলে কলাগাছ, বাঁশ, কাঠ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার গড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তারা।
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদেরা। শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। মাতৃভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জানা উচিত। আর ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না হওয়া দুঃখজনক। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
ভাষাসৈনিকেরা ক্ষুব্ধ
ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পরও দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও দেশের সব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। মায়ের ভাষার জন্য এ জাতির যে আত্মত্যাগ, বর্তমান প্রজন্ম তো জানেই না। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই ভাষাশহীদদের কথা মনে পড়ে।
হতাশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলোয় ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা আছে কি না তা জানতে কয়েকটি জেলার বেশ কিছু বিদ্যালয় ঘুরে দেখেছেন আজকের পত্রিকার জেলা-উপজেলা প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে ভোলা, নোয়াখালী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নওগাঁ, টাঙ্গাইল, ফেনী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ জেলা অন্যতম। সরেজমিনে দেখে এসব জেলার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার।
শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী শহীদ মিনারেই শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেও জানিয়েছেন কয়েকটি জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিয়ে হতাশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। তাঁদের ভাষ্য, শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা জানে না ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস।
মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদা, আরিফিন, সামিয়া, মুহিদুল, ঝর্ণা, অভি, বাঁধন জানায়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে তারা বইয়ে পড়েছে। কিন্তু কখনো শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ফুল দেওয়া হয়নি। তাদের মধ্যে কয়েকজনের কলাগাছ, বাঁশ, কাপড় ও কাগজ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার কথা জানায়।
শহীদ মিনার না থাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করা হয় বলে জানান সিলেট জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা। সাহেদ আহমদ নামের এক শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকলে শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানবে কীভাবে?’
আল মামুন নামের এক অভিভাবক বললেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা জরুরি। এতে কোমলমতি শিশুরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে পারবে। বড় হয়ে তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
উপেক্ষিত নির্দেশনা
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ২০২০ সালে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ২০১৬ সালে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণেরও নির্দেশনা দিয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, দেশের যে সকল সরকারি/বেসরকারি স্কুলে শহীদ মিনার স্থাপনা নেই, সে সকল স্কুলে অতি দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণ করা এবং যে সকল সরকারি/বেসরকারি স্কুলে শহীদ মিনার জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, সে সকল সরকারি/বেসরকারি স্কুলে শহীদ মিনার যথাসম্ভব দ্রুত সংস্কার করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশি উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস দপ্তরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শাখায় যোগাযোগের পরামর্শ দেন। পরে মাধ্যমিক শাখায় যোগাযোগ করা হলে উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন ও কলেজ শাখার উপপরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। একই উত্তর দেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. সাইফুল ইসলামও।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শহীদ মিনার না থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। পর্যায়ক্রমে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য আমরা শহীদ মিনারের ডিজাইনও চূড়ান্ত করেছি।’
বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠেছিল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। সেদিন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল করে ছাত্রজনতা। সেই মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। শহীদ হন বরকত, রফিক, জব্বার, সালাম, শফিউর, অহিউল্লাহসহ নাম না-জানা অনেকে। সেই শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ২২ ফেব্রুয়ারিতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ২১ ফেব্রুয়ারিকে। গোটা বিশ্ব এ দিন ভাষাশহীদদের স্মরণ করে যথাযোগ্য মর্যাদায়।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের আন্দোলন, যার মধ্য দিয়ে এসেছে মায়ের ভাষার স্বীকৃতি। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই নির্দেশনা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরও (মাউশি)। এরপরও শহীদ মিনার নেই দেশের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে। ফলে ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা, জানছে না ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস।
দেশে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ঠিক কতটিতে শহীদ মিনার আছে, এর কোনো পরিসংখ্যান নেই মাউশি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে। অধিদপ্তরটির তথ্য বলছে, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২২ হাজার ৬২৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। আর বাকি ৪২ হাজার ৯৪৩ বিদ্যালয়ে তা নেই। অর্থাৎ প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই ভাষা আন্দোলনের প্রতীক শহীদ মিনার।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। অনেক স্কুলে কলাগাছ, বাঁশ, কাঠ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার গড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তারা।
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদেরা। শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। মাতৃভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জানা উচিত। আর ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না হওয়া দুঃখজনক। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
ভাষাসৈনিকেরা ক্ষুব্ধ
ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পরও দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও দেশের সব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। মায়ের ভাষার জন্য এ জাতির যে আত্মত্যাগ, বর্তমান প্রজন্ম তো জানেই না। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই ভাষাশহীদদের কথা মনে পড়ে।
হতাশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলোয় ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা আছে কি না তা জানতে কয়েকটি জেলার বেশ কিছু বিদ্যালয় ঘুরে দেখেছেন আজকের পত্রিকার জেলা-উপজেলা প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে ভোলা, নোয়াখালী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নওগাঁ, টাঙ্গাইল, ফেনী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ জেলা অন্যতম। সরেজমিনে দেখে এসব জেলার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার।
শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী শহীদ মিনারেই শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেও জানিয়েছেন কয়েকটি জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিয়ে হতাশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। তাঁদের ভাষ্য, শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা জানে না ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস।
মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদা, আরিফিন, সামিয়া, মুহিদুল, ঝর্ণা, অভি, বাঁধন জানায়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে তারা বইয়ে পড়েছে। কিন্তু কখনো শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ফুল দেওয়া হয়নি। তাদের মধ্যে কয়েকজনের কলাগাছ, বাঁশ, কাপড় ও কাগজ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার কথা জানায়।
শহীদ মিনার না থাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করা হয় বলে জানান সিলেট জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা। সাহেদ আহমদ নামের এক শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকলে শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানবে কীভাবে?’
আল মামুন নামের এক অভিভাবক বললেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা জরুরি। এতে কোমলমতি শিশুরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে পারবে। বড় হয়ে তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
উপেক্ষিত নির্দেশনা
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ২০২০ সালে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ২০১৬ সালে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণেরও নির্দেশনা দিয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, দেশের যে সকল সরকারি/বেসরকারি স্কুলে শহীদ মিনার স্থাপনা নেই, সে সকল স্কুলে অতি দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণ করা এবং যে সকল সরকারি/বেসরকারি স্কুলে শহীদ মিনার জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, সে সকল সরকারি/বেসরকারি স্কুলে শহীদ মিনার যথাসম্ভব দ্রুত সংস্কার করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশি উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস দপ্তরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শাখায় যোগাযোগের পরামর্শ দেন। পরে মাধ্যমিক শাখায় যোগাযোগ করা হলে উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন ও কলেজ শাখার উপপরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। একই উত্তর দেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. সাইফুল ইসলামও।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শহীদ মিনার না থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। পর্যায়ক্রমে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য আমরা শহীদ মিনারের ডিজাইনও চূড়ান্ত করেছি।’
বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠেছিল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। সেদিন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল করে ছাত্রজনতা। সেই মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। শহীদ হন বরকত, রফিক, জব্বার, সালাম, শফিউর, অহিউল্লাহসহ নাম না-জানা অনেকে। সেই শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ২২ ফেব্রুয়ারিতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ২১ ফেব্রুয়ারিকে। গোটা বিশ্ব এ দিন ভাষাশহীদদের স্মরণ করে যথাযোগ্য মর্যাদায়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে