কর্মসূচিতে বাধা দেবে না পুলিশ, অনুমতি লাগবে

আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৮: ৩৯

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালনে আর বাধা দেবে না পুলিশ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি এড়াতে সড়কের বদলে খোলা মাঠে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিতে চায়। কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি জেলা-উপজেলায় পালনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।

তবে মামলা ও পরোয়ানা থাকা নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে ছাড় দেবে না পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিভিন্ন রেঞ্জের প্রধান ও ইউনিটগুলোর প্রধানদের এ-সংক্রান্ত মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন সূত্র এই নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, পুলিশ তাদের (বিএনপি) কোথাও বাধা দিচ্ছে না। পরোয়ানা থাকা আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলেছে, এ বছর জানুয়ারি থেকে বিএনপি যত কর্মসূচির অনুমতি চেয়েছে, সবগুলোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় সমাবেশ, জেলা ও উপজেলার কোনো কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ গুরুতর অভিযোগে মামলা রয়েছে, আদালতের পরোয়ানা রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের একজন কর্মকর্তা বলেন, জননিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে। কোনো জায়গায় জননিরাপত্তার হুমকি হলে সেখানে কর্মসূচি পালন না করতে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। এ ছাড়া দেশজুড়ে একযোগে সড়ককেন্দ্রিক সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ, এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টানা রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়েও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, খোলা মাঠকেন্দ্রিক সভা-সমাবেশের অনুমতি দিতে পুলিশ সুপার (এসপি) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ, খোলা মাঠে সহিংসতার ঝুঁকি কম থাকে।

পুলিশের সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে দলই রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে, তাদের স্থানীয়ভাবে অনুমতি নিতে হবে। সহিংসতার আশঙ্কা না থাকলে অনুমতি দেওয়া হবে। এ জন্য থানার ওসি বা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দলগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কথা বলতে হবে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকুক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা যাবে না।’

রংপুর রেঞ্জের একজন কর্মকর্তা জানান, রংপুরে গত কয়েক দিনের কর্মসূচিতে সহিংসতা হয়নি। সহিংসতা হলে তখন সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৮ ও ১৯ জুলাই বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ ১১টি জেলায় দলটির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা হয়েছে।এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিসহ আসামি প্রায় ১৫ হাজার। সারা দেশে দলটির সাড়ে তিন শর বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার ঢাকায় বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ থেকে ফেরার সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শাহাদাত হোসেন বাশার, ইউনিট যুগ্ম সম্পাদক আবু তালেব ও সদস্য মো. সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা দিয়ে চলমান আন্দোলনকে দমন করা যাবে না।’

তবে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এ পর্যন্ত তাদের (বিএনপি) যত নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো না কোনো মামলায় পরোয়ানা আছে। এ কারণে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।’ তিনি বলেন, পুলিশ তাদের (বিএনপি) কোথাও কোনো ধরনের বাধা দিচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত