জুরাছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
প্রথম দেখায় মনে হয়, খেতে রোগ লেগে ধানের পাতা বিবর্ণ হয়ে গেছে। আসলে ধানের পাতার রং বেগুনি। এমনকি এর ধান ও চালের রং বেগুনি (পার্পল) হবে। রাঙামাটির জুরাছড়িতে এই প্রথম চাষাবাদ হচ্ছে বেগুনি ধানের। এ নিয়ে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কৃষকদের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। এই ধান চাষে পাহাড়ের কৃষকদের অধিক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের দাবি, এটা বিদেশি কোনো জাত নয়, দেশি ধানের জার্মপ্লাজম।
উপজেলা সদরের চার শতাংশ জমিতে জার্মপ্লাজমসমৃদ্ধ ধানের চাষ করেন রুপেন্দু চাকমা। এ বিষয়ে রুপেন্দু চাকমা বলেন, ‘হাইব্রিড ধান চাষ করায় দিন দিন স্থানীয় জাতের বীজ হারিয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া সবসময় একই ধানের বীজ চাষাবাদে ফলনও কমে গেছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় নতুন বীজ চাষে উৎসাহী হই। শখের বশে চলতি বোরো মৌসুমে চার শতাংশ জমিতে বেগুনি ধানের চাষ করেছি।’
কৃষক রুপেন্দু চাকমা বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বোরো মৌসুমে বেগুনি ধানের চাষাবাদের খবর নজরে আসে। কৌতূহল দমাতে না পেরে বেগুনি ধান চাষাবাদ বিষয়ে কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে চাষাবাদের পরামর্শ নিই। এ জন্য স্থানীয় ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেন।’
চাষের প্রক্রিয়া সম্পর্কে রুপেন্দু জানান, যত্নসহকারে পেট্রিডিসে অঙ্কুরোদ্গম করে তারপর বীজতলায় ফেলেন। পরে ৪০ দিন বয়সের চারা প্রতি গুছিতে একটি করে দিয়ে চার শতাংশ জমিতে রোপণ করেন। প্রতি গুছিতে ১০ থেকে ১৪টি কুশি রয়েছে। গাছের উচ্চতা ৮০ সেন্টিমিটার। ধানগাছগুলো গাঢ় বেগুনি রঙের। কিন্তু কচি পাতাগুলো সবুজ। এই সবুজ পাতায় পর্যায়ক্রমে বেগুনি রং ধারণ করে।
জুরাছড়ি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশিষ চাকমা বলেন, জুরাছড়িতে ৪৯২ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করা হয়েছে; যা থেকে আনুমানিক উৎপাদন হাইব্রিড ৪ দশমিক ৫ মেট্রিক টন, উফশী ৩ দশমিক ৮২ মেট্রিক টন আশা করা যাচ্ছে। তবে নতুন চাষ হওয়ায় বেগুনি ধানের ফলন কত হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
রুপেন্দু চাকমার পার্পল ধানের জমিটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ব্রি-এর বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভক্ষণ খীসার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মাঠপর্যায়ের অবস্থা বিবেচনায় ধানটির জীবৎকাল আনুমানিক ১৫৫ দিন। প্রতি শতাংশে ২০ কেজি হিসেবে হেক্টরপ্রতি ফলন পাঁচ টন পর্যন্ত হতে পারে। তাই সব বিষয় জানতে ধান কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের রাঙামাটি অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক পবন কুমার চাকমা মোবাইল ফোনে বলেন, পার্বত্য এলাকার জন্য এটি নতুন জাতের ধান। এ জাতের চাল বেগুনি রং হয়। পাহাড়ের জমিতে এই ধান কী পরিমাণ উৎপাদন হবে, তা এখনো ধারণা করা যাচ্ছে না। তবে বাজারে এ চালের দাম বেশি। এই জাতের ধানে উৎপাদন ভালো হলে কৃষকদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ফলন ভালো দেখা যায়।
প্রথম দেখায় মনে হয়, খেতে রোগ লেগে ধানের পাতা বিবর্ণ হয়ে গেছে। আসলে ধানের পাতার রং বেগুনি। এমনকি এর ধান ও চালের রং বেগুনি (পার্পল) হবে। রাঙামাটির জুরাছড়িতে এই প্রথম চাষাবাদ হচ্ছে বেগুনি ধানের। এ নিয়ে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কৃষকদের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। এই ধান চাষে পাহাড়ের কৃষকদের অধিক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের দাবি, এটা বিদেশি কোনো জাত নয়, দেশি ধানের জার্মপ্লাজম।
উপজেলা সদরের চার শতাংশ জমিতে জার্মপ্লাজমসমৃদ্ধ ধানের চাষ করেন রুপেন্দু চাকমা। এ বিষয়ে রুপেন্দু চাকমা বলেন, ‘হাইব্রিড ধান চাষ করায় দিন দিন স্থানীয় জাতের বীজ হারিয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া সবসময় একই ধানের বীজ চাষাবাদে ফলনও কমে গেছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় নতুন বীজ চাষে উৎসাহী হই। শখের বশে চলতি বোরো মৌসুমে চার শতাংশ জমিতে বেগুনি ধানের চাষ করেছি।’
কৃষক রুপেন্দু চাকমা বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বোরো মৌসুমে বেগুনি ধানের চাষাবাদের খবর নজরে আসে। কৌতূহল দমাতে না পেরে বেগুনি ধান চাষাবাদ বিষয়ে কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে চাষাবাদের পরামর্শ নিই। এ জন্য স্থানীয় ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেন।’
চাষের প্রক্রিয়া সম্পর্কে রুপেন্দু জানান, যত্নসহকারে পেট্রিডিসে অঙ্কুরোদ্গম করে তারপর বীজতলায় ফেলেন। পরে ৪০ দিন বয়সের চারা প্রতি গুছিতে একটি করে দিয়ে চার শতাংশ জমিতে রোপণ করেন। প্রতি গুছিতে ১০ থেকে ১৪টি কুশি রয়েছে। গাছের উচ্চতা ৮০ সেন্টিমিটার। ধানগাছগুলো গাঢ় বেগুনি রঙের। কিন্তু কচি পাতাগুলো সবুজ। এই সবুজ পাতায় পর্যায়ক্রমে বেগুনি রং ধারণ করে।
জুরাছড়ি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশিষ চাকমা বলেন, জুরাছড়িতে ৪৯২ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করা হয়েছে; যা থেকে আনুমানিক উৎপাদন হাইব্রিড ৪ দশমিক ৫ মেট্রিক টন, উফশী ৩ দশমিক ৮২ মেট্রিক টন আশা করা যাচ্ছে। তবে নতুন চাষ হওয়ায় বেগুনি ধানের ফলন কত হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
রুপেন্দু চাকমার পার্পল ধানের জমিটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ব্রি-এর বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভক্ষণ খীসার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মাঠপর্যায়ের অবস্থা বিবেচনায় ধানটির জীবৎকাল আনুমানিক ১৫৫ দিন। প্রতি শতাংশে ২০ কেজি হিসেবে হেক্টরপ্রতি ফলন পাঁচ টন পর্যন্ত হতে পারে। তাই সব বিষয় জানতে ধান কাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের রাঙামাটি অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক পবন কুমার চাকমা মোবাইল ফোনে বলেন, পার্বত্য এলাকার জন্য এটি নতুন জাতের ধান। এ জাতের চাল বেগুনি রং হয়। পাহাড়ের জমিতে এই ধান কী পরিমাণ উৎপাদন হবে, তা এখনো ধারণা করা যাচ্ছে না। তবে বাজারে এ চালের দাম বেশি। এই জাতের ধানে উৎপাদন ভালো হলে কৃষকদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ফলন ভালো দেখা যায়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে