আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
শেষ সময়ে দিনাজপুরে লিচুর বাজার জমে উঠলেও দামে হতাশ ক্রেতা। দাম বেশি পাওয়ায় খুশি চাষি ও ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফলন কম হওয়ায় দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। এতে আগের বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশা করছেন তাঁরা।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. খালেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশে কম-বেশি লিচু উৎপাদন হলেও দিনাজপুরের লিচুর চাহিদা বেশি থাকে। এবারে হেক্টরপ্রতি ৫ দশমিক ৩ মেট্রিক টন লিচুর উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর জেলায় ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী জেলায় ৫ হাজার ৪৮১ হেক্টর জমিতে লিচুবাগান রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার ৪১৮টি। এর মধ্যে বোম্বাই লিচু ৩ হাজার ১৭০ হেক্টর, মাদ্রাজি ১ হাজার ১৬৬, চায়না থ্রি ৭০২ দশমিক ৫, বেদানা ২৯৪ দশমিক ৫, কাঁঠালি ২১ হেক্টর এবং মোজাফফরপুরী লিচু ১ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। আর বসতবাড়ির উঠানসহ বাগানগুলোতে লিচুগাছ রয়েছে ৭ লক্ষাধিক।
শহরের গোর-এ-শহীদ মাঠে লিচুর অস্থায়ী পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই ভ্যান ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে আড়তে লিচু নিয়ে আসছেন চাষিরা। এ ছাড়া বরাবরের মতো শহরের বাহাদুর বাজার, হাসপাতাল মোড় ও থানা মোড়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে বিকিকিনি।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আর বেশি হলে ৮ থেকে ১০ দিন লিচু পাওয়া যাবে। ধীরে ধীরে একদিকে সরবরাহ কমছে, অন্যদিকে এ জেলার লিচুর সারা দেশে চাহিদা থাকায় বাজার সরগরম। পাইকারি বাজারে প্রতি এক হাজার বোম্বাই লিচু বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত। আর চায়না থ্রি ১৭ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। লিচুর আকার ও কোয়ালিটিভেদে প্রতি হাজার বেদানা লিচু বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা দরে। এ ছাড়া হাঁড়িয়া লিচু ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, এবার লিচুর ফলন কম। কয়েক বছর রমজান আর করোনার কারণে লিচুর বাজার খারাপ ছিল। এবার একদিকে ফলন কম, আরেক দিকে সারা দেশে চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি।
পাইকারি লিচু ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, তিনি ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লিচু সরবরাহ করছেন। এবার লিচুর চাহিদা বেশি, আবার ফলনও কম, তাই দাম চড়া।
শহরের রামনগরের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম জানান, ‘আমার নিজের লিচুগাছ নেই। মৌসুমি ফল বাচ্চাদের জন্য কিনি। কিন্তু এ বছর লিচুর দাম অবাক করার মতো। আমার ৪০ বছরের জীবনে লিচুর এত দাম কখনো দেখিনি।
লক্ষ্মীপুর থেকে আসা আশিকুর রহমান তন্ময় জানান, দিনাজপুরের লিচুবাগান আর বাজারে টসটসে লিচু দেখে আমি আপ্লুত। এখানকার লিচু অনেক সুস্বাদু। এবারই প্রথম বেদানা লিচু খেলাম। খেয়ে বেশ ভালো লাগছে। বাসার জন্য লিচু কিনেছি। কিন্তু দাম অনেক বেশি।
শেষ সময়ে দিনাজপুরে লিচুর বাজার জমে উঠলেও দামে হতাশ ক্রেতা। দাম বেশি পাওয়ায় খুশি চাষি ও ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফলন কম হওয়ায় দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। এতে আগের বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশা করছেন তাঁরা।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. খালেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশে কম-বেশি লিচু উৎপাদন হলেও দিনাজপুরের লিচুর চাহিদা বেশি থাকে। এবারে হেক্টরপ্রতি ৫ দশমিক ৩ মেট্রিক টন লিচুর উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর জেলায় ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী জেলায় ৫ হাজার ৪৮১ হেক্টর জমিতে লিচুবাগান রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার ৪১৮টি। এর মধ্যে বোম্বাই লিচু ৩ হাজার ১৭০ হেক্টর, মাদ্রাজি ১ হাজার ১৬৬, চায়না থ্রি ৭০২ দশমিক ৫, বেদানা ২৯৪ দশমিক ৫, কাঁঠালি ২১ হেক্টর এবং মোজাফফরপুরী লিচু ১ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। আর বসতবাড়ির উঠানসহ বাগানগুলোতে লিচুগাছ রয়েছে ৭ লক্ষাধিক।
শহরের গোর-এ-শহীদ মাঠে লিচুর অস্থায়ী পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই ভ্যান ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে আড়তে লিচু নিয়ে আসছেন চাষিরা। এ ছাড়া বরাবরের মতো শহরের বাহাদুর বাজার, হাসপাতাল মোড় ও থানা মোড়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে বিকিকিনি।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আর বেশি হলে ৮ থেকে ১০ দিন লিচু পাওয়া যাবে। ধীরে ধীরে একদিকে সরবরাহ কমছে, অন্যদিকে এ জেলার লিচুর সারা দেশে চাহিদা থাকায় বাজার সরগরম। পাইকারি বাজারে প্রতি এক হাজার বোম্বাই লিচু বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত। আর চায়না থ্রি ১৭ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। লিচুর আকার ও কোয়ালিটিভেদে প্রতি হাজার বেদানা লিচু বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা দরে। এ ছাড়া হাঁড়িয়া লিচু ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, এবার লিচুর ফলন কম। কয়েক বছর রমজান আর করোনার কারণে লিচুর বাজার খারাপ ছিল। এবার একদিকে ফলন কম, আরেক দিকে সারা দেশে চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি।
পাইকারি লিচু ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, তিনি ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লিচু সরবরাহ করছেন। এবার লিচুর চাহিদা বেশি, আবার ফলনও কম, তাই দাম চড়া।
শহরের রামনগরের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম জানান, ‘আমার নিজের লিচুগাছ নেই। মৌসুমি ফল বাচ্চাদের জন্য কিনি। কিন্তু এ বছর লিচুর দাম অবাক করার মতো। আমার ৪০ বছরের জীবনে লিচুর এত দাম কখনো দেখিনি।
লক্ষ্মীপুর থেকে আসা আশিকুর রহমান তন্ময় জানান, দিনাজপুরের লিচুবাগান আর বাজারে টসটসে লিচু দেখে আমি আপ্লুত। এখানকার লিচু অনেক সুস্বাদু। এবারই প্রথম বেদানা লিচু খেলাম। খেয়ে বেশ ভালো লাগছে। বাসার জন্য লিচু কিনেছি। কিন্তু দাম অনেক বেশি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪