প্রেক্ষাগৃহে ‘শ্যামা কাব্য’ মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটির গল্প কী নিয়ে?
শ্যামা কাব্য সিনেমাটি একটা সাইকোলজিক্যাল ড্রামা। একটা দম্পতির গল্প, সম্পর্কের গল্প। সেখানে টানাপোড়েন আছে। সেই টানাপোড়েন থেকে ছেলেটির মধ্যে সাইকোলজিক্যাল কিছু সমস্যা তৈরি হয়। সেটাই দেখা যাবে সিনেমার গল্পে। গত নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল সিনেমাটি। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে ৩ মে মুক্তি পাচ্ছে শ্যামা কাব্য।
আপনার অভিনীত চরিত্রটি কেমন?
আমি আজাদ চরিত্রে অভিনয় করেছি। একটি ব্রোকেন ফ্যামিলিতে বড় হয় আজাদ। মা-বাবার বিচ্ছেদ তার জীবনে বড় একটা প্রভাব ফেলে। বড় হয়ে সে যখন সম্পর্কে জড়ায়, সেখানে আসে বিচ্ছেদ। তার মাঝে হতাশা জন্ম নেয়, একধরনের ট্রমায় চলে যায় সে। একসময় তার জীবনে শ্যামার আগমন ঘটে। নানা রকম সম্পর্কের ঘটনার মধ্য দিয়েই গল্প এগিয়ে যায়। সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন নীলাঞ্জনা নীলা, ইন্তেখাব দিনার, নওরীন হাসান খান জেনীসহ অনেকে।
ব্যক্তিগত জীবনে কখনো আজাদের মতো মানসিক অবসাদে ভুগেছেন?
মানসিক অবসাদ তো সব মানুষের মধ্যেই থাকে। কারও কম, কারও বেশি। সেই সমস্যা থেকে উত্তরণটাই আসল। সে সময়ে চারপাশের মানুষের সাপোর্টটা খুব প্রয়োজন হয়। আমার জীবনে এমন অবসাদের ঘটনা আছে। তবে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছি, এটাই বড় কথা।
প্যারিসে গঁজ সুর্ সেইন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শ্যামা কাব্যের প্রিমিয়ার হয়েছিল। পুরস্কৃতও হয়েছিল। দেশে কেমন প্রত্যাশা করছেন সিনেমাটি নিয়ে?
পরিবার নিয়ে দেখার মতো সিনেমা। আজাদ আমাদের চারপাশের একটা চরিত্র। গল্পটা এতটাই পরিচিত যে দর্শক নিজের সঙ্গে রিলেট করতে পারবেন, উপভোগ করবেন।
সম্প্রতি ফিল্মফেয়ার বাংলায় সেরা নবাগতর পুরস্কার জিতেছেন। সেই অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করবেন?
‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার জন্য পুরস্কারটা পেয়েছি। পুরস্কার সব সময় আনন্দের। তবে আমার কাছে এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। যাঁদের সঙ্গে নমিনেশন পেয়েছিলাম, তাঁদের সঙ্গে একই তালিকায় থাকাটাও পুরস্কারের মতো।
পুরস্কারটি থিয়েটারকর্মীদের উৎসর্গ করার কী কারণ?
থিয়েটারকর্মীদের একধরনের স্ট্রাগল থাকে। যাঁরা মঞ্চে কাজ করেন, তাঁদের দীর্ঘ চর্চার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেক প্রস্তুতি নিয়ে তাঁরা কাজ করেন। কিন্তু সেভাবে তাঁদের মেধার মূল্যায়ন হয় না। থিয়েটার দিয়েই আমার অভিনয়ের পথচলা শুরু। আমি থিয়েটারের মানুষদের গল্পটা জানি। সে জায়গা থেকেই তাঁদের উৎসর্গ করা।
আপনাকে আগের মতো নিয়মিত মঞ্চে পাওয়া যাচ্ছে না কেন?
আমি প্রাচ্যনাট নাট্যদলের কর্মী। মঞ্চ ভালোবাসি। এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন, আমি মঞ্চ ছাড়ব না। মঞ্চে তো সময় নিয়ে কাজ করতে হয়। সেখানে অনেক মানুষ একসঙ্গে কাজ করেন। একটি নতুন প্রোডাকশন তৈরি করতে তিন-চার মাস সময় লাগে। প্রস্তুতিটা ঠিকভাবে না হলে কাজটা ভালো হয় না। টিভি, ওটিটি ও সিনেমার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় সেই সময়টা দিতে পারি না। তারপরও আমার পুরোনো কাজগুলোতে থাকার চেষ্টা করি। ‘লেট মি ডাউন’ নাটকটির প্রদর্শনী থাকলে থাকার চেষ্টা করি।
দেশের অনেক অভিনয়শিল্পী পশ্চিমবঙ্গে কাজ করেছেন। ফিল্মফেয়ার পাওয়ার পর নতুন কোনো কাজের প্রস্তাব পেয়েছেন কি?
পুরস্কার পাওয়ার আগেই বেশ কয়েকটি কাজ নিয়ে কথা হয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে বলিউডের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজটি হয়নি। তবে, কলকাতার কয়েকটি কাজ নিয়ে কথা চলছে।
নতুন আর কী সিনেমা আসছে?
মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ‘বনলতা সেন’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। এখন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। যেহেতু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি, তাই এর বেশি আর বলতে পারছি না। আশা করছি, চলতি বছরেই দর্শক সিনেমাটি দেখতে পারবেন।
ওটিটি দিয়েই আপনার উত্থান। সেই ওটিটিতেও এখন কম দেখা যাচ্ছে আপনাকে। কেন বলুন তো?
গত বছর পুরোটা সময় বনলতা সেনের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই ওটিটির কাজে যুক্ত হতে পারিনি। এখন আবার ওটিটি কনটেন্ট নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে।
প্রেক্ষাগৃহে ‘শ্যামা কাব্য’ মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটির গল্প কী নিয়ে?
শ্যামা কাব্য সিনেমাটি একটা সাইকোলজিক্যাল ড্রামা। একটা দম্পতির গল্প, সম্পর্কের গল্প। সেখানে টানাপোড়েন আছে। সেই টানাপোড়েন থেকে ছেলেটির মধ্যে সাইকোলজিক্যাল কিছু সমস্যা তৈরি হয়। সেটাই দেখা যাবে সিনেমার গল্পে। গত নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল সিনেমাটি। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে ৩ মে মুক্তি পাচ্ছে শ্যামা কাব্য।
আপনার অভিনীত চরিত্রটি কেমন?
আমি আজাদ চরিত্রে অভিনয় করেছি। একটি ব্রোকেন ফ্যামিলিতে বড় হয় আজাদ। মা-বাবার বিচ্ছেদ তার জীবনে বড় একটা প্রভাব ফেলে। বড় হয়ে সে যখন সম্পর্কে জড়ায়, সেখানে আসে বিচ্ছেদ। তার মাঝে হতাশা জন্ম নেয়, একধরনের ট্রমায় চলে যায় সে। একসময় তার জীবনে শ্যামার আগমন ঘটে। নানা রকম সম্পর্কের ঘটনার মধ্য দিয়েই গল্প এগিয়ে যায়। সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন নীলাঞ্জনা নীলা, ইন্তেখাব দিনার, নওরীন হাসান খান জেনীসহ অনেকে।
ব্যক্তিগত জীবনে কখনো আজাদের মতো মানসিক অবসাদে ভুগেছেন?
মানসিক অবসাদ তো সব মানুষের মধ্যেই থাকে। কারও কম, কারও বেশি। সেই সমস্যা থেকে উত্তরণটাই আসল। সে সময়ে চারপাশের মানুষের সাপোর্টটা খুব প্রয়োজন হয়। আমার জীবনে এমন অবসাদের ঘটনা আছে। তবে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছি, এটাই বড় কথা।
প্যারিসে গঁজ সুর্ সেইন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শ্যামা কাব্যের প্রিমিয়ার হয়েছিল। পুরস্কৃতও হয়েছিল। দেশে কেমন প্রত্যাশা করছেন সিনেমাটি নিয়ে?
পরিবার নিয়ে দেখার মতো সিনেমা। আজাদ আমাদের চারপাশের একটা চরিত্র। গল্পটা এতটাই পরিচিত যে দর্শক নিজের সঙ্গে রিলেট করতে পারবেন, উপভোগ করবেন।
সম্প্রতি ফিল্মফেয়ার বাংলায় সেরা নবাগতর পুরস্কার জিতেছেন। সেই অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করবেন?
‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার জন্য পুরস্কারটা পেয়েছি। পুরস্কার সব সময় আনন্দের। তবে আমার কাছে এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। যাঁদের সঙ্গে নমিনেশন পেয়েছিলাম, তাঁদের সঙ্গে একই তালিকায় থাকাটাও পুরস্কারের মতো।
পুরস্কারটি থিয়েটারকর্মীদের উৎসর্গ করার কী কারণ?
থিয়েটারকর্মীদের একধরনের স্ট্রাগল থাকে। যাঁরা মঞ্চে কাজ করেন, তাঁদের দীর্ঘ চর্চার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেক প্রস্তুতি নিয়ে তাঁরা কাজ করেন। কিন্তু সেভাবে তাঁদের মেধার মূল্যায়ন হয় না। থিয়েটার দিয়েই আমার অভিনয়ের পথচলা শুরু। আমি থিয়েটারের মানুষদের গল্পটা জানি। সে জায়গা থেকেই তাঁদের উৎসর্গ করা।
আপনাকে আগের মতো নিয়মিত মঞ্চে পাওয়া যাচ্ছে না কেন?
আমি প্রাচ্যনাট নাট্যদলের কর্মী। মঞ্চ ভালোবাসি। এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন, আমি মঞ্চ ছাড়ব না। মঞ্চে তো সময় নিয়ে কাজ করতে হয়। সেখানে অনেক মানুষ একসঙ্গে কাজ করেন। একটি নতুন প্রোডাকশন তৈরি করতে তিন-চার মাস সময় লাগে। প্রস্তুতিটা ঠিকভাবে না হলে কাজটা ভালো হয় না। টিভি, ওটিটি ও সিনেমার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় সেই সময়টা দিতে পারি না। তারপরও আমার পুরোনো কাজগুলোতে থাকার চেষ্টা করি। ‘লেট মি ডাউন’ নাটকটির প্রদর্শনী থাকলে থাকার চেষ্টা করি।
দেশের অনেক অভিনয়শিল্পী পশ্চিমবঙ্গে কাজ করেছেন। ফিল্মফেয়ার পাওয়ার পর নতুন কোনো কাজের প্রস্তাব পেয়েছেন কি?
পুরস্কার পাওয়ার আগেই বেশ কয়েকটি কাজ নিয়ে কথা হয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে বলিউডের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজটি হয়নি। তবে, কলকাতার কয়েকটি কাজ নিয়ে কথা চলছে।
নতুন আর কী সিনেমা আসছে?
মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ‘বনলতা সেন’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। এখন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। যেহেতু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি, তাই এর বেশি আর বলতে পারছি না। আশা করছি, চলতি বছরেই দর্শক সিনেমাটি দেখতে পারবেন।
ওটিটি দিয়েই আপনার উত্থান। সেই ওটিটিতেও এখন কম দেখা যাচ্ছে আপনাকে। কেন বলুন তো?
গত বছর পুরোটা সময় বনলতা সেনের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই ওটিটির কাজে যুক্ত হতে পারিনি। এখন আবার ওটিটি কনটেন্ট নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪