নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রস্তাবিত আনসার ব্যাটালিয়ন আইন নিয়ে পুলিশ বাহিনীতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই অসন্তোষ জানাতে পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) শীর্ষ পর্যায়ের ২৫ কর্মকর্তা গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এই আইন পাস হলে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হবে।
সূত্র বলেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে পুলিশ কর্মকর্তারা প্রস্তাবিত আইনটির কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি জানান। বিশেষ করে আনসারকে ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়াসংক্রান্ত ধারা নিয়ে। বৈঠকে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের ২৫ কর্মকর্তা অংশ নেন।
অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিএমপির কমিশনার হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইন নিয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণগুলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
বৈঠকে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসান, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কর্মরত) মীর শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশীদ, কাউন্টার টেররিজমের প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এতে আনসার ব্যাটালিয়নে বিদ্রোহ সংঘটন ও প্ররোচনাসহ অন্যান্য অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি (৭ ও ৮) ধারায় আনসার বাহিনীকে ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটি চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে বিল আকারে উত্থাপন ও পাস হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) সদর দপ্তর থেকে একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়। প্রস্তাবে আইন সংশোধন করে আনসার বাহিনীকে ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের ক্ষমতা এবং পুলিশের মতো গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে পুলিশ বাহিনীর আপত্তির কারণে প্রস্তাবটি এত দিন আটকে ছিল।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের সূত্র জানায়, পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী আটক, গ্রেপ্তার ও তল্লাশির ক্ষমতা প্রয়োগ করে। ফৌজদারি কার্যবিধিতে এ বিষয়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে। পুলিশের কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা কী কাজ করবেন, তা-ও বলা আছে। কিন্তু প্রস্তাবিত আনসার আইনের ৭ ও ৮ ধারায় আনসারকে তল্লাশি, গ্রেপ্তার ও তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মূলত এই দুটি ধারা নিয়েই পুলিশের আপত্তি।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো আইন প্রয়োগে একাধিক বাহিনীকে একই এখতিয়ার দেওয়া হলে আইনটি প্রয়োগকালে পারস্পরিক ভুল-বোঝাবুঝি এবং দায়বদ্ধতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতভেদ ও নানা সমস্যাসহ দুই বাহিনীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হবে। পুলিশের ক্ষমতা খর্ব করতেই এই আইন করার চেষ্টা চলছে। আইনটি হলে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএসএ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের প্রতিটি বাহিনী কে কী কাজ করবে, তা আইনে বলা আছে। পুলিশ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করে। এটা দেশের আইন ও সংবিধানস্বীকৃত। পুলিশের সহায়ক বাহিনী হিসেবে আনসার কাজ করে। ভবিষ্যতেও করবে।
প্রস্তাবিত আনসার ব্যাটালিয়ন আইন নিয়ে পুলিশ বাহিনীতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই অসন্তোষ জানাতে পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) শীর্ষ পর্যায়ের ২৫ কর্মকর্তা গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এই আইন পাস হলে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হবে।
সূত্র বলেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে পুলিশ কর্মকর্তারা প্রস্তাবিত আইনটির কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি জানান। বিশেষ করে আনসারকে ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়াসংক্রান্ত ধারা নিয়ে। বৈঠকে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের ২৫ কর্মকর্তা অংশ নেন।
অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিএমপির কমিশনার হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইন নিয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণগুলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
বৈঠকে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসান, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কর্মরত) মীর শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশীদ, কাউন্টার টেররিজমের প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এতে আনসার ব্যাটালিয়নে বিদ্রোহ সংঘটন ও প্ররোচনাসহ অন্যান্য অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি (৭ ও ৮) ধারায় আনসার বাহিনীকে ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটি চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে বিল আকারে উত্থাপন ও পাস হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) সদর দপ্তর থেকে একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়। প্রস্তাবে আইন সংশোধন করে আনসার বাহিনীকে ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের ক্ষমতা এবং পুলিশের মতো গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে পুলিশ বাহিনীর আপত্তির কারণে প্রস্তাবটি এত দিন আটকে ছিল।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের সূত্র জানায়, পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী আটক, গ্রেপ্তার ও তল্লাশির ক্ষমতা প্রয়োগ করে। ফৌজদারি কার্যবিধিতে এ বিষয়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে। পুলিশের কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা কী কাজ করবেন, তা-ও বলা আছে। কিন্তু প্রস্তাবিত আনসার আইনের ৭ ও ৮ ধারায় আনসারকে তল্লাশি, গ্রেপ্তার ও তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মূলত এই দুটি ধারা নিয়েই পুলিশের আপত্তি।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো আইন প্রয়োগে একাধিক বাহিনীকে একই এখতিয়ার দেওয়া হলে আইনটি প্রয়োগকালে পারস্পরিক ভুল-বোঝাবুঝি এবং দায়বদ্ধতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতভেদ ও নানা সমস্যাসহ দুই বাহিনীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হবে। পুলিশের ক্ষমতা খর্ব করতেই এই আইন করার চেষ্টা চলছে। আইনটি হলে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএসএ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের প্রতিটি বাহিনী কে কী কাজ করবে, তা আইনে বলা আছে। পুলিশ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করে। এটা দেশের আইন ও সংবিধানস্বীকৃত। পুলিশের সহায়ক বাহিনী হিসেবে আনসার কাজ করে। ভবিষ্যতেও করবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে