নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
জানা গেছে, নগরের বিভিন্ন সড়কের দুই পাশের নালাগুলোতে ময়লা-আবর্জনা ফলা হচ্ছে এবং ফুটপাতগুলো হকারেরা দখল করে রাখছেন। নগরীর পানি দ্রুত সরে যাওয়ার খালগুলো অবৈধ দখল ও স্থাপনার কারণে নিয়মিত নালাগুলো পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে এসব নালা দিয়ে বৃষ্টির পানি সময়মতো সরছে না। নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
নগরের বাসিন্দারা জানান, একটু ভারী বৃষ্টি হলেই নগরের বেশ কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানগুলো হচ্ছে বেনী বাবু রোড, স্যার ইকবাল রোড, রেলওয়ে হাসপাতাল রোড, মিস্ত্রিপাড়া রোড, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, আহসান আহমেদ রোড, বাবুখান রোড, টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোড, নতুন বাজার, টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, রয়েলের মোড়, সিমেট্রি রোড, কেডিএ অ্যাভিনিউ, ডাকবাংলো মোড়, খালিশপুর লাল হাসপাতাল মোড়, কবির বটতলা, দেয়ানা প্রধান সড়ক, মহেশ্বরপাশা বণিক পাড়া, তেলিগাতি প্রধান সড়ক, বাদামতলা, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, মীরেরডাঙ্গা প্রধান সড়ক ও বাদামতলা কেবল শিল্প এলাকার একাংশ।
কেসিসির পরিচ্ছন্নতা (কনজারভেন্সি) বিভাগের কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ আগে থেকেই শুরু করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নালাগুলোর প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। এ ছাড়া গত নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে ছোট, মাঝারি, বড় নালার মাটি কাটার কাজ। সেই সঙ্গে স্লুইসগেট এবং বড় আউটলেট, খালের সঙ্গে নালার যুক্ত অংশ এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটা চলছে। নগরীর সব ওয়ার্ডে শ্রমিকেরা নিয়মিত নালা পরিষ্কার করছেন। শেরেবাংলা রোডের চার লেনের নালার কাজ শেষ হওয়ার পর নর্থ খালের সঙ্গে এই নালা যুক্ত হলে নগরীর পানি দ্রুত নেমে যাবে বলে তিনি মনে করেন। এর ফলে এবার বর্ষা মৌসুমে নগরীতে জলাবদ্ধতা খুব একটা হবে না।
খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা নগরের মানুষের জন্য জলাবদ্ধতা একটি বড় সমস্যা। আগে নগরের ভেতর ও পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি সহজে সরে যেত। এখন ইজারার নামে এসব খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে এবং খালের ওপর অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এ কারণে নগরে বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি এসব খাল দিয়ে নিষ্কাশন করা যাচ্ছে না। এতে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বাঁধগুলো অপসারণ করতে না পারলে বর্ষা মৌসুমে কমপক্ষে নগরের অর্ধশত স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। নগরের পানি সরে যাওয়ার পথগুলো অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছে। এ কারণে পানি নামতে না পেরে নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে না পারলে বর্ষায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। তবে কেসিসি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করেছে। এসব প্রকল্প যথাযথ বাস্তবায়ন হলে নগরীর জলাবদ্ধতা দূর হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে যা যা করার দরকার, তিনি তা করবেন। প্রকল্পের কাজও বেশ আগে থেকেই শুরু হয়েছে। পানি বের হওয়ার খালগুলোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খনন করা হচ্ছে। এ ছাড়া পানি নামার ৮ কিলোমিটার খাল খননের কাজ শিগগির শুরু হবে। যেটি ময়ূর নদের সঙ্গে যুক্ত হবে। এই সঙ্গে ময়ূর নদও পুনঃখনন করা হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। কিন্তু বর্তমানে ইট-রডসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজের গতি কিছুটা কমে গেছে। তবে এটা সাময়িক। জলাবদ্ধতা দূর করার স্বার্থে শিগগির নালা প্রশস্তকরণ, খালগুলো পুনঃখনন, নতুন চার লেনের নালার কাজ সম্পন্ন হলে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন হবে বলে তিনি মনে করেন। তবে মেয়র নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নগরবাসী যেন নালা-নর্দমায় প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ও শক্ত বর্জ্য না ফেলেন।
জানা গেছে, নগরের বিভিন্ন সড়কের দুই পাশের নালাগুলোতে ময়লা-আবর্জনা ফলা হচ্ছে এবং ফুটপাতগুলো হকারেরা দখল করে রাখছেন। নগরীর পানি দ্রুত সরে যাওয়ার খালগুলো অবৈধ দখল ও স্থাপনার কারণে নিয়মিত নালাগুলো পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে এসব নালা দিয়ে বৃষ্টির পানি সময়মতো সরছে না। নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
নগরের বাসিন্দারা জানান, একটু ভারী বৃষ্টি হলেই নগরের বেশ কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানগুলো হচ্ছে বেনী বাবু রোড, স্যার ইকবাল রোড, রেলওয়ে হাসপাতাল রোড, মিস্ত্রিপাড়া রোড, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, আহসান আহমেদ রোড, বাবুখান রোড, টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোড, নতুন বাজার, টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, রয়েলের মোড়, সিমেট্রি রোড, কেডিএ অ্যাভিনিউ, ডাকবাংলো মোড়, খালিশপুর লাল হাসপাতাল মোড়, কবির বটতলা, দেয়ানা প্রধান সড়ক, মহেশ্বরপাশা বণিক পাড়া, তেলিগাতি প্রধান সড়ক, বাদামতলা, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, মীরেরডাঙ্গা প্রধান সড়ক ও বাদামতলা কেবল শিল্প এলাকার একাংশ।
কেসিসির পরিচ্ছন্নতা (কনজারভেন্সি) বিভাগের কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ আগে থেকেই শুরু করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নালাগুলোর প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। এ ছাড়া গত নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে ছোট, মাঝারি, বড় নালার মাটি কাটার কাজ। সেই সঙ্গে স্লুইসগেট এবং বড় আউটলেট, খালের সঙ্গে নালার যুক্ত অংশ এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটা চলছে। নগরীর সব ওয়ার্ডে শ্রমিকেরা নিয়মিত নালা পরিষ্কার করছেন। শেরেবাংলা রোডের চার লেনের নালার কাজ শেষ হওয়ার পর নর্থ খালের সঙ্গে এই নালা যুক্ত হলে নগরীর পানি দ্রুত নেমে যাবে বলে তিনি মনে করেন। এর ফলে এবার বর্ষা মৌসুমে নগরীতে জলাবদ্ধতা খুব একটা হবে না।
খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা নগরের মানুষের জন্য জলাবদ্ধতা একটি বড় সমস্যা। আগে নগরের ভেতর ও পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি সহজে সরে যেত। এখন ইজারার নামে এসব খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে এবং খালের ওপর অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এ কারণে নগরে বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি এসব খাল দিয়ে নিষ্কাশন করা যাচ্ছে না। এতে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বাঁধগুলো অপসারণ করতে না পারলে বর্ষা মৌসুমে কমপক্ষে নগরের অর্ধশত স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। নগরের পানি সরে যাওয়ার পথগুলো অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছে। এ কারণে পানি নামতে না পেরে নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে না পারলে বর্ষায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। তবে কেসিসি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করেছে। এসব প্রকল্প যথাযথ বাস্তবায়ন হলে নগরীর জলাবদ্ধতা দূর হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে যা যা করার দরকার, তিনি তা করবেন। প্রকল্পের কাজও বেশ আগে থেকেই শুরু হয়েছে। পানি বের হওয়ার খালগুলোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খনন করা হচ্ছে। এ ছাড়া পানি নামার ৮ কিলোমিটার খাল খননের কাজ শিগগির শুরু হবে। যেটি ময়ূর নদের সঙ্গে যুক্ত হবে। এই সঙ্গে ময়ূর নদও পুনঃখনন করা হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। কিন্তু বর্তমানে ইট-রডসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজের গতি কিছুটা কমে গেছে। তবে এটা সাময়িক। জলাবদ্ধতা দূর করার স্বার্থে শিগগির নালা প্রশস্তকরণ, খালগুলো পুনঃখনন, নতুন চার লেনের নালার কাজ সম্পন্ন হলে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন হবে বলে তিনি মনে করেন। তবে মেয়র নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নগরবাসী যেন নালা-নর্দমায় প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ও শক্ত বর্জ্য না ফেলেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে