বেহাল সড়কে সীমাহীন ভোগান্তি মানুষের

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২২, ০৬: ৩২
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৪: ৪৪

ময়মনসিংহের ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। সাড়ে ছয় কিলোমিটার সড়কটি চার বছর আগে মেরামত করা হয়। কিন্তু কাজের মান ভালো না হওয়ায় সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে পথচারীদের।

ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলছে সাধারণ মানুষ। অনেক সময় সড়কের বড় বড় গর্তে পড়ে আটকে যায় ছোট ছোট গাড়ি। এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন স্কুল-কলেজে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

সাধারণ মানুষ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করছে। তাদের প্রতিনিয়ত সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উপজেলা প্রকৌশল অফিস বলছে, সড়কটি মেরামতের অনুমোদন পাওয়া গেছে। শিগগিরই দরপত্র হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তাটিতে প্রচুর খানাখন্দ। স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ কয়েকবার রাস্তায় ইট ফেলে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করে। তারপরও রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির মেরামতকাজ করা হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো কাজ না করেই বিল তুলে নেয়। কাজের মান ভালো না হওয়ায় তিন-চার বছরের মধ্যই রাস্তাটি আবার বেহাল হয়।

সাড়ে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তা উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ত সড়ক। এ সড়কে পণ্য পরিবহনকাজে শত শত ভারী যানবাহন চলাচল করে। এর মধ্যে মাছ পরিবহনে ব্যবহৃত যানবাহনই বেশি। বাজারজাত করতে পানিভর্তি ড্রামে এসব মাছ পরিবহন করতে হয় বিধায় ঝাঁকিতে নিয়মিত সড়কে পড়ছে পানি। এতে বৃষ্টি না থাকলেও বা অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি থাকে এবং কোথাও কোথাও কাদাযুক্ত হয়। খানাখন্দে ঝুঁকি নিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল বলেন, এটি ত্রিশাল, ভালুকা ও টাঙ্গাইলের সংযোগ সড়ক। সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। এ সড়ক দিয়ে তিন উপজেলার মানুষ যাতায়াত করে। যতই দিন যাচ্ছে সড়কটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এটি দ্রুত মেরামত করা না হলে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।

স্থানীয় শাহীন হোসাইন সাজ্জাদ বলেন, দীর্ঘ সময়ের ভোগান্তির পর তিন-চার বছর আগে সড়কটি মেরামত করা হলেও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছিল।

তখন ইট, বালু ফেলে সাময়িক চলাচলের উপযোগী করা হলেও এখন আবারও বেশ কয়েক জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত মেরামত করা না হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সড়কটি শিগগিরই আবারও মেরামত করা হবে। সড়কটি মেরামতের অনুমোদন পাওয়া গেছে। শিগগিরই টেন্ডার হবে। আশা করছি, এ বছরই কাজ শুরু করতে পারব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত