বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলার বিএনপির তিন নেতার ওপর স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার গৌরনদী কাঁচাবাজার, পিংলাকাঠি বাজার ও টরকী বন্দরে পৃথক তিনটি হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান মিন্টু, নলচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জামাল ফকির ও উপজেলা বিএনপির নেতা মো. শাহাবুব শরীফ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বদিউজ্জামানকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও জামাল ফকিরকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বদিউজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ‘শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গৌরনদী কাঁচাবাজারের রবিন শীলের সেলুনে বসে ছিলাম। এ সময় সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মাহমুদের নেতৃত্বে ১৫-২০ সন্ত্রাসী জিআই পাইপ নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে পিটিয়ে আহত করে।’

মো. জামাল ফকির বলেন, রাতে পিংলাকাঠি বাজারে পৌঁছলে যুবলীগ ক্যাডার মো. মামুন ওরফে টাইগার মামুনের নেতৃত্বে ১০-১২ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে পিটিয়ে জখম করে।

মো. শাহাবুব শরীফ বলেন, ‘আমি আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ছিলাম। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১০-১২ জন সন্ত্রাসী রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে মারধর করে জখম করে।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সুমন মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বদিউজ্জামান মিন্টুর ওপর হামলার ঘটনায় আমার সম্পৃক্ততা নেই। তবে শুনেছি, এলাকার ছোট ভাইদের সঙ্গে কী ঝামেলা নিয়ে জুনিয়ররা তাঁকে মারধর করেছে।’ জামাল ফকিরের ওপর হামলাকারী মো. মামুন ওরফে টাইগার মামুন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানি না। কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’