সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে লবণাক্ততার কারণে জনসাধারণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। কিন্তু চট্টগ্রাম ওয়াসা তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। তারা বলছে, বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত পানিতে লবণ সমস্যা সমাধানের অন্য কোনো উপায় নেই।
কর্ণফুলী নদী থেকে নেওয়া পানি পরিশোধনের পর নগরবাসীকে সরবরাহ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। বর্তমানে নদীর উজান থেকে নিচে প্রবাহ তেমন না থাকায় বাধাহীনভাবে সমুদ্রের নোনাপানি ঢুকে পড়ছে নদীতে।
নোনাপানি নদীতে ঢোকার কারণে জোয়ারের সময় পরিশোধনের জন্য পানি নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আমিন। তিনি বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। বৃষ্টিই এ লবণাক্ততার একমাত্র সমাধান।’
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সংগ্রহের উৎসস্থলে গতকাল বৃহস্পতিবার পানিতে লবণের মাত্রা ছিল প্রতি লিটারে ৩ হাজার মিলিগ্রামের ওপরে। এ মাত্রাকে সহনীয় করে প্রতি লিটারে ৪০০ মিলিগ্রাম লবণসম্পন্ন পানি সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
লবণাক্ততা ছাড়াও আরেক সমস্যায় আছে ওয়াসা। কাপ্তাই রাবার ড্যাম থেকে শেওলা ঢুকে পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এখান থেকে পরিশোধনের জন্য পানি নিতে গেলে শেওলা আটকে যাচ্ছে লাইনে। এতে ব্যাহত হচ্ছে পানি পরিশোধন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীতে দিনে ৪৬ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে গতকাল উৎপাদিত হয়েছে ৪১ কোটি লিটার। এ ক্ষেত্রে ৫ কোটি লিটার কম উৎপাদিত হয়েছে। প্রতিদিনই এ ধরনের ঘাটতি হচ্ছে। তাই পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে আমাদের এলাকাভিত্তিক রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম ওয়াসার তথ্যমতে, বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি এবং বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি। ৭৭০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে সংস্থাটি পানি সরবরাহ করে। বেশির ভাগ লাইন পুরোনো হওয়ায় এমনিতেই সংকটে থাকতে হয় গ্রাহকদের। লাইনে লিকেজ বা ছিদ্রের কারণে পানি নষ্ট হয়।
লবণাক্ততা সমস্যার জন্য এখন সংকট আরও প্রকট হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর, ষোলোশহর, ফিরোজ শাহ, আগ্রাবাদ, আশকার দিঘি এলাকা, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, বাকলিয়া, দেওয়ান বাজার, মাদারবাড়ীসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে রেশনিং করে নগরীতে পানি পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে।
নগরবাসীরা বলছেন, এমনিতে পানি সরবরাহ কমে গেছে। তার ওপর যেটুকু সরবরাহ করা হচ্ছে তাতেও লবণাক্ততা। এ পানি পান করে ডায়রিয়া ও চর্মরোগসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। পানিতে লবণের কারণে দৈনন্দিন রান্না-বান্না ও গোসল করাও অনেক ক্ষেত্রে দায় হয়ে উঠেছে।
পানি নিয়ে ভোগান্তি সম্পর্কে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার সরবরাহ করা নোনাপানিতে মারাত্মক ভোগান্তি হচ্ছে। প্রতিদিনকার ব্যবহার ও খাবার পানি জোগাড় করতে হচ্ছে অন্য উৎস থেকে। এতে অনেক অর্থও ব্যয় হচ্ছে।
সমস্যা সমাধানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মাঠে নেমে প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
পানি সমস্যার সমাধান না পেয়ে নাগরিক ফোরামের ব্যানারে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, তিন মাস ধরে ক্ষতিকর লবণাক্ত পানি সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। নিরাপদ খাবার পানির জন্য মানুষ সংকটে রয়েছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সার্বিক বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন জানান, পানিতে শেওলা ও কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে যাওয়ার মতো পুরোনো সমস্যাগুলোকে নতুন করে দেখানো হচ্ছে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আছে। তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
চট্টগ্রামে ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে লবণাক্ততার কারণে জনসাধারণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। কিন্তু চট্টগ্রাম ওয়াসা তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। তারা বলছে, বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত পানিতে লবণ সমস্যা সমাধানের অন্য কোনো উপায় নেই।
কর্ণফুলী নদী থেকে নেওয়া পানি পরিশোধনের পর নগরবাসীকে সরবরাহ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। বর্তমানে নদীর উজান থেকে নিচে প্রবাহ তেমন না থাকায় বাধাহীনভাবে সমুদ্রের নোনাপানি ঢুকে পড়ছে নদীতে।
নোনাপানি নদীতে ঢোকার কারণে জোয়ারের সময় পরিশোধনের জন্য পানি নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আমিন। তিনি বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। বৃষ্টিই এ লবণাক্ততার একমাত্র সমাধান।’
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সংগ্রহের উৎসস্থলে গতকাল বৃহস্পতিবার পানিতে লবণের মাত্রা ছিল প্রতি লিটারে ৩ হাজার মিলিগ্রামের ওপরে। এ মাত্রাকে সহনীয় করে প্রতি লিটারে ৪০০ মিলিগ্রাম লবণসম্পন্ন পানি সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
লবণাক্ততা ছাড়াও আরেক সমস্যায় আছে ওয়াসা। কাপ্তাই রাবার ড্যাম থেকে শেওলা ঢুকে পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এখান থেকে পরিশোধনের জন্য পানি নিতে গেলে শেওলা আটকে যাচ্ছে লাইনে। এতে ব্যাহত হচ্ছে পানি পরিশোধন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীতে দিনে ৪৬ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে গতকাল উৎপাদিত হয়েছে ৪১ কোটি লিটার। এ ক্ষেত্রে ৫ কোটি লিটার কম উৎপাদিত হয়েছে। প্রতিদিনই এ ধরনের ঘাটতি হচ্ছে। তাই পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে আমাদের এলাকাভিত্তিক রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম ওয়াসার তথ্যমতে, বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি এবং বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি। ৭৭০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে সংস্থাটি পানি সরবরাহ করে। বেশির ভাগ লাইন পুরোনো হওয়ায় এমনিতেই সংকটে থাকতে হয় গ্রাহকদের। লাইনে লিকেজ বা ছিদ্রের কারণে পানি নষ্ট হয়।
লবণাক্ততা সমস্যার জন্য এখন সংকট আরও প্রকট হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর, ষোলোশহর, ফিরোজ শাহ, আগ্রাবাদ, আশকার দিঘি এলাকা, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, বাকলিয়া, দেওয়ান বাজার, মাদারবাড়ীসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে রেশনিং করে নগরীতে পানি পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে।
নগরবাসীরা বলছেন, এমনিতে পানি সরবরাহ কমে গেছে। তার ওপর যেটুকু সরবরাহ করা হচ্ছে তাতেও লবণাক্ততা। এ পানি পান করে ডায়রিয়া ও চর্মরোগসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। পানিতে লবণের কারণে দৈনন্দিন রান্না-বান্না ও গোসল করাও অনেক ক্ষেত্রে দায় হয়ে উঠেছে।
পানি নিয়ে ভোগান্তি সম্পর্কে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার সরবরাহ করা নোনাপানিতে মারাত্মক ভোগান্তি হচ্ছে। প্রতিদিনকার ব্যবহার ও খাবার পানি জোগাড় করতে হচ্ছে অন্য উৎস থেকে। এতে অনেক অর্থও ব্যয় হচ্ছে।
সমস্যা সমাধানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মাঠে নেমে প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
পানি সমস্যার সমাধান না পেয়ে নাগরিক ফোরামের ব্যানারে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, তিন মাস ধরে ক্ষতিকর লবণাক্ত পানি সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। নিরাপদ খাবার পানির জন্য মানুষ সংকটে রয়েছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সার্বিক বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন জানান, পানিতে শেওলা ও কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে যাওয়ার মতো পুরোনো সমস্যাগুলোকে নতুন করে দেখানো হচ্ছে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আছে। তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে